Showing posts with label বরিশাল. Show all posts
Showing posts with label বরিশাল. Show all posts

9 November 2010

বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারতের পর এবার জামায়াত ত্যাগ: নিয়াজ বেগ আ. লীগে যাচ্ছেন?

রফিকুল ইসলাম, বরিশাল

জামায়াতে ইসলামী বরিশাল নগরীর কাশিপুর অঞ্চলের সাবেক আমির ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নিয়াজ মাহমুদ বেগ জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। বিষয়টি জানিয়ে গত সোমবার তিনি বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। গত আগস্টে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছিলেন এবং খবরটি পত্রপত্রিকায় আসে। জামায়াত নেতা হয়ে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারতের পর থেকেই অনেকের সন্দেহ, নিয়াজ মাহমুদ আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন। তবে এখনো এ গুঞ্জনের কোনো সত্যতা মেলেনি।
গত সোমবার রাতে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়াজ মাহমুদ বলেন, এর আগে তিনি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন কর্মী ছিলেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী তিনি দল থেকে অব্যাহতিপত্র নিয়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেন। বর্তমানে তিনি একজন কাউন্সিলর হিসেবে দলমত নির্বিশেষে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করছেন। এখন থেকে তাঁর সঙ্গে জামায়াতের কোনো সাংগঠনিক যোগাযোগ নেই বলেও তিনি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়াজ মাহমুদ বেগ গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় আমি নগরীর কাশিপুর অঞ্চল জামায়াতের আমিরের দায়িত্বে ছিলাম। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় জামায়াতের নীতিনির্ধারকরা তখন দল থেকে আমাকে অব্যাহতি দেন। তবুও অনেকে জামায়াতের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছি বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাই এ অপপ্রচার বন্ধ করে সমাজসেবায় বেশি সময় ব্যয় করার জন্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেই।'
আওয়ামী লীগে যোগদানের খবরটিকে তিনি ভিত্তিহীন দাবি করেন। নিয়াজ মাহমুদ বেগ বলেন, 'মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সিটি মেয়র অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন হিরনের আমন্ত্রণেই গত আগস্টে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত ও তাঁর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশ নিয়েছিলাম। তাই বলে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই।'
এদিকে নিয়াজ মাহমুদ বেগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জামায়াত নেতারা দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। ৩০ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির সাবের আহম্মেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নির্বাচনে জয়ের পর জামায়াতের অভ্যন্তরীণ সভায় তিনি (নিয়াজ) অংশ নিতেন। এখনো দলীয় যেকোনো সমস্যায় তাঁর পরামর্শ নিয়েই অধিকাংশ কাজ করি। তবে আগের মতো তিনি এখন আর দলের জন্য সময় দেন না।' তবে বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল জানান, নিয়াজ মাহমুদ বেগ কখনো তাঁদের নেতা বা কর্মী ছিলেন না। তাঁর অভিযোগ, নিয়াজ মাহমুদ এ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
তবে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিয়াজ মাহমুদের আওয়ামী লীগে যোগদানের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন হিরন। তিনি গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দলমত নির্বিশেষে আমি সব কাউন্সিলরকে চিঠি দিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত অনুষ্ঠানে অংশ দিতে। এতে সাড়া দিয়ে জামায়াতের একসময়ের কর্মী নিয়াজ মাহমুদ বেগ শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।'

6 October 2010

পিরোজপুরে মাদ্রাসা থেকে জিহাদি বই, অস্ত্র উদ্ধার অধ্যক্ষসহ আটক ৩

বরিশাল অফিস ও পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের চান সিরাজিয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসা থেকে জেএমবির জিহাদি বই, লিফলেট, প্যাড ও অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে এগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মাদ্রাসা অধ্যক্ষসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা হচ্ছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও বালিপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা শরীফ সুলতান মাহমুদ, মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক আনোয়ার হোসেন ফরাজী এবং ওই প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আবদুল খালেক শেখ।

জিয়ানগর থানার উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন জানান, অভিযানে জেএমবির ১১ সদস্যের একটি তালিকাও উদ্ধার করা হয়। অধ্যক্ষ শরীফ সুলতান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাকে ফাঁসানোর জন্যই এ কাজ করা হয়েছে।'

21 September 2010

ছারছিনা দরবার শরিফের বধ্যভূমিতে তদন্তদল শুনল হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও পিরোজপুর প্রতিনিধি

মুক্তিযুদ্ধের সময় দক্ষিণাঞ্চলে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের সবচেয়ে বড় আস্তানা ছিল পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার ছারছিনার পীরের দরবার শরিফে। তৎকালীন পীর শাহ আবু জাফর মোহম্মদ ছালেহ পাকিস্তানি বাহিনীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। দরবার শরিফের ভেতরে রয়েছে অরক্ষিত এক বধ্যভূমি। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের লোকজন এ কথা জানান। ছারছিনা পীর জীবদ্দশায় 'স্বাধীনতা পদক' ও 'একুশে পদক' পেয়েছিলেন।

পিরোজপুর জেলা প্রশাসন স্বাধীনতাবিরোধীদের যে তালিকা তৈরি করেছিল, সেখানে ছারছিনা পীর শাহ আবু জাফর মোহম্মদ ছালেহর নাম রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তদল গতকাল মঙ্গলবার দরবার শরিফের ভেতরের অরক্ষিত বধ্যভূমি পরিদর্শন করে। পীরের দরবার শরিফের বধ্যভূমিতে এটাই প্রথম কোনো সরকারি তদন্তদলের সফর। দরবার শরিফের ভেতরে মানুষ ধরে এনে কিভাবে হত্যা করা হতো, তদন্তদল শহীদদের পরিবারের কাছ থেকে তার বর্ণনা শুনে লিপিবদ্ধ করে।

তদন্তদলের প্রধান কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হেলাল উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা শুনেছি, মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক লোক ধরে নিয়ে ছারছিনা দরবার শরিফের ভেতরে খুন করা হয়েছে। দরবারের পেছনের দিক দিয়ে বয়ে চলা একটি খালের অংশে বাঁধ দিয়ে সেখানে লাশ ফেলে রাখা হতো।' তিনি বলেন, 'অরক্ষিত বধ্যভূমিটি পরিদর্শন শেষে পুরো বিষয়টি নিয়ে দরবার শরিফের ভেতরের আলিয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ শারফত আলীসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। দরবারের বধ্যভূমি সম্পর্কে আগে বিশদ জানা না থাকায় এটি আমাদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল। কিন্তু মতবিনিময় সভায় বিষয়টি উঠে আসায় আমরা তড়িঘড়ি করে বধ্যভূমিটি পরিদর্শন করি।'
হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল্লাহ, নূর হোসেন ও শাহজাহান গতকাল স্বরূপকাঠি উপজেলার কুড়িয়ানা পেয়ারা বাগান ও কুড়িয়ানা আর্যসম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন বধ্যভূমিসহ আটটি বধ্যভূমি পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁরা ২০ জনের সাক্ষ্য নেন। এর আগে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজ, শহীদ পরিবারের সদস্য, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ শারফত আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তদন্তদল আমার কাছে জানতে চেয়েছিল দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছিলেন কি না? আমি তদন্তদলকে জানিয়েছি, ১৯৫৭ সালে সাঈদী সাহেব এ প্রতিষ্ঠান থেকে দাখিলে প্রথম বিভাগে পাস করেন। দাখিল পাসের পর তৎকালীন পীরসাহেব শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাঈদীকে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দিয়েছিলেন বলে শুনেছি। কিন্তু তাঁর প্রমাণাদি প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত নেই।' মরহুম পীরের বিষয় কিংবা অভ্যন্তরের বধ্যভূমির ব্যাপারে তদন্তদল তাঁকে কোনো প্রশ্ন করেনি বলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বরূপকাঠি ও বানারীপাড়া নিয়ে গঠিত বেস কমান্ডার বেনু লাল দাশগুপ্ত কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমার চোখের সামনে থেকে ছারছিনা পীরের অনুসারীরা মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান কাজীকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর আর সহযোদ্ধাকে ফিরে পাইনি। লাশও পাওয়া যায়নি।' তিনি আরো বলেন, 'ভেবেছিলাম, তদন্তদল স্বরূপকাঠিতে আসার আগে আমাদের অবহিত করবে। কিন্তু তারা সেটি করেনি।'

পিরোজপুরে একাত্তরে ৩০ হাজার মানুষ হত্যা, দাবি তদন্তদলের

Mon, Sep 20th, 2010 11:24 pm BdST

পিরোজপুর, সেপ্টেম্বর ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকার-আলবদরদের হাতে পিরোজপুরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ হত্যার তথ্য পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল।

সোমবার জেলার বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের স্থান ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ওপর দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথমদিন চার সদস্যের তদন্ত দল প্রধান এ দাবি করেন।

গত ১৮ অগাস্ট তদন্ত দল প্রথম পিরোজপুরে আসে। এ সময় তারা দু'দিনে ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেন এবং জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

তারা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের পৃথক দু'টি মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

তদন্ত দলের প্রধান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) মো. হেলাল জানান, পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৯ হাজার ৯০৬ জনকে হত্যার তথ্য পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরের পাড়েরহাট, জিয়ানগরসহ এ অঞ্চলে কয়েক হাজার মানুষ হত্যা করা হয়েছে। জেলায় মোট ১২টি বদ্ধভূমি রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনী এ অঞ্চলে অন্তত তিনশ নারীর ওপর নির্যাতন চালায়।

এছাড়া তারা তৎকালীন মহকুমা শহরে ট্রেজারিসহ প্রত্যন্ত এলাকায় ৩৫টি বাড়িতে লুটপাট ও ১৪৬টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বলে জানান তিনি।

তদন্ত দলের অপর তিন সদস্য হলেন- সিআইডির ইন্সপেক্টর ওয়ায়দুল্লাহ, নূর হোসেন ও শাহজাহান।

সোমবার তদন্ত দল জিয়ানগর উপজেলার পাড়েরহাট রাজলক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের পৃথক দু'টি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করে।

সাঈদীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সময় গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দু'টি করা হয়।

এর মধ্যে সদর উপজেলার বাদুরা গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা সইজউদ্দীন পশারীর ছেলে মানিক পশারী গত ২০০৯ সালের ১২ অগাস্ট মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম আদালতে সাঈদীসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

একই বছরের ৩১ অগাস্ট জিয়ানগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের জমিরউদ্দিনের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুল আলম একই অভিযোগে সাঈদী ও তার ভাই মোস্তফা সাঈদীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অপর মামলাটি করেন।

গত ২৯ জুন জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার তদন্ত দল সদরের বলেশ্বর খেয়াঘাট বধ্যভূমি, হুলারহাট স্টিমারঘাট বধ্যভূমি, মণ্ডলপাড়া গণহত্যার স্থান, তেজদাসকাঠী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বধ্যভূমি, জুজখোলা বধ্যভূমি পরিদর্শন করে।

সন্ধ্যায় তারা পিরোজপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

তদন্ত দলের প্রধান জানান, মঙ্গলবার তারা স্বরূপকাঠী উপজেলার কুরিয়ানা পেয়ারা বাগান বদ্ধভূমি পরিদর্শন করবেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/জেবি/ডিডি/এইচএ/২৩১০ ঘ.

20 August 2010

ঝালকাঠিতে বিদ্যুৎ অফিস ভাঙচুর মামলায় জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের বারেদিয়া গ্রাম থেকে জামায়াত নেতা আবু তালেবকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সদর উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য। গত ১০ আগস্ট বিনয়কাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিযোগ কেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

19 August 2010

মানবতাবিরোধী অপরাধ: পিরোজপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত চলছে

পিরোজপুর প্রতিনিধি | তারিখ: ২০-০৮-২০১০

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের দল পিরোজপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত গত বুধবার থেকে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পাড়েরহাট বন্দরে রাজলক্ষ্মী পাইলট হাইস্কুলে বসে তদন্ত দল মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমানের সাক্ষ্য নেয়। মাহাবুবুর রহমান জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে করা একটি হত্যা মামলার বাদী।

তদন্ত দলে রয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন, দুই পরিদর্শক ওবায়েদুল্লাহ ও নুর হোসেন।

তদন্ত দলের প্রধান হেলাল উদ্দিন জানান, তদন্ত দল তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাবে। সে ক্ষেত্রে তাঁরা প্রয়োজনে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তদন্তের স্বার্থে যত দিন প্রয়োজন তত দিন তদন্তকারী দল পিরোজপুরে অবস্থান করে নিরপেক্ষতার সঙ্গে তাদের তদন্তকাজ করবে।

এুর আগে বুধবার সকাল নয়টায় পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামে যায় তদন্ত দল। এ গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা সৈয়জদ্দিন পশারীর ছেলে মানিক পশারীসহ ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের আগস্টে মানিক পশারী পিরোজপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে সাঈদীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

মানিক পশারী বলেন, ‘সাঈদীর নেতৃত্বে আমার বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তারা আমার বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ইব্রাহিমকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। ৩৮ বছর পর মামলা করার সুযোগ হয়েছে। আশা করি, এবার বিচার পাব।’

তদন্ত দল প্রাথমিক আলামত হিসেবে মানিক পশারীর বাড়ির ছবি সংগ্রহ করে। হেলাল উদ্দিন বলেন, তদন্ত দল নিজস্ব প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাবে, সে ক্ষেত্রে তারা প্রয়োজনে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবে।

এদিকে তদন্তের সময় চিথলিয়া গ্রামের অপর পাড় পাড়েরহাট বন্দরে স্থানীয় জনতা এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল থেকে সাঈদীর ফাঁসির দাবি জানানো হয়।

18 August 2010

পিরোজপুরে তদন্ত দল: 'রাজাকার' বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিল ছেলে

পিরোজপুর প্রতিনিধি

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল গতকাল বুধবার পিরোজপুরে সরেজমিনে তদন্ত কাজ চালায়।

তদন্ত দলের প্রধান হেলাল উদ্দিন, দুই সদস্য মো. ওবায়দুল্লাহ (পরিদর্শক) ও নূর হোসেন (পরিদর্শক) গতকাল সকালে সদর উপজেলার বাদুরা গ্রামে যান। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের সময় সাঈদীর নেতৃত্বে যেসব বাড়িতে লুটপাট ও আগুন লাগানো হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে, সেসব ঘরবাড়ি সরেজমিন গিয়ে দেখেন। যাদের স্বজনদের হত্যা, ধর্ষণ করা হয়েছে তাদের বক্তব্য এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ সময় তদন্ত দলের কাছে মামলার বাদী মানিক পশারিসহ ১২ জন যুদ্ধকালীন বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য তুলে ধরে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাড়েরহাট বন্দরের রাজাকার কমান্ডার আবদুল মবিন হাওলাদারের ছেলে কাদের উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তার বাবার কর্মকাণ্ডের বিবরণ দেয়। সে বলে, 'একাত্তরে আমার বাবা এমন কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ নাই, যা করে নাই। আমার মা ও আমরা তাকে ঘৃণা করি। মুক্তিযুদ্ধের সময় সে হত্যা, নারী ধর্ষণ, লুণ্ঠন করেছে। অনেক মা-বোনকে পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছে। মানুষের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। যুদ্ধের পরও গর্ব করে সে এ কথা এলাকার অনেককে বলেছে। সাঈদী ছিল আমার বাবার দোসর।'

প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতেই সাঈদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তদন্ত যথেষ্ট স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক মানের করতে পারব_এমন মনোবল নিয়েই এ কাজ শুরু করেছি। আমরা এখন মানিক পশারির দায়ের করা মামলার ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করার কাজ করছি।' তিনি জানান, মামলার অনেক সাক্ষী মাছ ধরার কাজে সাগরে অবস্থান করছে। এ কারণে জবানবন্দি রেকর্ড করতে দেরি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, তদন্ত দল বাদুরা গ্রামে কাজ শেষে আজ বৃহস্পতিবার সাঈদীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলার তদন্ত কাজে জিয়ানগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের যাচ্ছে। সেখানেও তারা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করবে।

এদিকে গতকাল তদন্ত দল পাড়েরহাট বন্দরে পেঁৗছালে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।

সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ মামলার তদন্ত শুরু

Wed, Aug 18th, 2010 8:25 pm BdST

পিরোজপুর, অগাস্ট ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।

গত বছরের ১২ ও ৩১ অগাস্ট পিরোজপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম আদালতে গণতহ্যা, সংখ্যালঘু স�প্রদায়ের বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগে সাঈদীর বিরুদ্ধে দু'টি মামলা হয়।

বুধবার সকাল ৯টার দিকে তদন্ত দলের তিন সদস্য পিরোজপুর সদর উপজেলার বাদুরা গ্রামে যান।

দলটির প্রধান হলেন- সহকারী পুলিশ সুপার মো. হেলাল উদ্দিন। সদস্যরা হলেন- পুলিশ পরিদর্শক মো. ওবায়দুল্লাহ ও নূর হোসেন।

বাদুরা গ্রামের মানিক পশারি (৬৫) গত বছরের ১২ অগাস্ট সাঈদীসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

তদন্ত দলটি মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই গ্রামে রাজাকার ও আলবাদর বাহিনীর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

এ সময় সেখানে পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. শেখ আবু যাহিদ ও স্থানীয় সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

বাদি মানিকের বাড়ির পাশে খোলা স্থানে বসে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তারা বাদি ও ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আরো ৪/৫ জন সাক্ষী এলাকায় না থাকায় তাদের সাক্ষ্য নেওয়া যায়নি।

জবানবন্দি গ্রহণকালে স্থানীয় নারী-পুরুষ এসে ভিড় করেন। এ সময় অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

সেসব ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কোনো কোনো সাক্ষী কান্নায় ভেঙে পড়েন।

দুপুরের দিকে তদন্ত দলের প্রধান এএসপি হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা মানিক পশারির দায়ের করা মামলার ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছি। আরো কয়েকজন সাক্ষী সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ায় তাদের জবানবন্দি পরে নেওয়া হবে।"

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার তারা অপর মামলাটির তদন্ত করতে জেলার জিয়ানগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামে যাবেন।

ওই মামলাটির বাদি হলেন- টেংরাখালী গ্রামের মাহবুবুল আলম (৫৫)।

জামায়াতের সাবেক সাংসদ সাঈদীর বাড়ি জিয়ানগর উপজেলার সাউথখালী গ্রামে।

সাঈদীর বিরুদ্ধে করা মামলা দুটি গত ২১ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/এমএসবি/২০২২ ঘ.

23 July 2010

বানারীপাড়া থানা জামে মসজিদ জামায়াত নেতাদের নিয়ন্ত্রণে, মসজিদে গোপন বৈঠকের অভিযোগ

এস এম মঈনুল ইসলাম, বরিশাল

জামায়াতের দুই নেতার নিয়ন্ত্রণে চলছে বরিশালের বানারীপাড়া থানা জামে মসজিদ। এর মধ্যে জেলা কমিটির শুরা সদস্য ও উপজেলা কর্মপরিষদের সদস্য মো. শাহা আলম ওই মসজিদের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং ইমাম হিসেবে নিযুক্ত। আর জামায়াতের রোকন ডা. মো. হানিফ মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক; যদিও থানা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি (পদাধিকার বলে) সংশ্লিষ্ট থানার ওসি। দাপ্তরিক কাজে তিনি ব্যস্ত থাকায় ডা. হানিফই মসজিদ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

অভিযোগ রয়েছে, এ দুই জামায়াত নেতা মাঝেমধ্যেই নামাজ শেষে মসজিদে জামায়াত নেতাদের নিয়ে গোপন বৈঠকে বসেন। এমনকি মসজিদের পেছনে ইমাম শাহা আলমের বাসায় প্রায়ই তাঁদের নিয়ে বৈঠক হয়। পুলিশের জামায়াতবিরোধী অভিযানের যেকোনো খবর ইমামের মাধ্যমেই দলীয় নেতারা পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া মসজিদের আয়-ব্যয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে ছলচাতুরীর অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে বানারীপাড়া ফেরিঘাটসংলগ্ন থানা মার্কেটের পরিচালনার দায়িত্বেও রয়েছেন মসজিদের ইমাম।

এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার সদ্য বিদায়ী ওসি (বর্তমানে বেতাগী থানায় কর্মরত) মো. ফারুকুল হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শুনেছি, তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে কোন পদে আছেন, তা জানা নেই। মসজিদ মার্কেট পরিচালনার দায়িত্বে থাকার কারণে ২০০৯ সালের শেষ দিকে তাঁর কাছ থেকে মসজিদ ও মার্কেটের আয়-ব্যয়ের হিসাব নেওয়া হয়েছিল। ওই সময় নির্মাণ ব্যয় বাবদ কত টাকা খরচ হয়েছে, এর কোনো স্বচ্ছ হিসাব দিতে পারেননি তিনি। উল্টো মসজিদের কাছে প্রায় লাখ টাকা পাবেন বলে দাবি করেন ইমাম।'

এদিকে মসজিদ পরিচালনায় জামায়াত নেতাদের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে থানার বর্তমান ওসি (তিনি ছুটিতে আছেন) মো. মেসবাউদ্দিন মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শাহা আলম জামায়াত নেতা কি না এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। মসজিদ মার্কেট ও মসজিদ পরিচালনার দায়িত্ব ওসি হিসেবে নিজেই পালন করছি।' এ প্রসঙ্গটি একান্তই তাঁর দাপ্তরিক উল্লেখ করে এ বিষয়ে তিনি আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

জামায়াতের বরিশাল জেলা (পশ্চিম) কমিটির সহকারী সেক্রেটারি ও বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০০৯-১০ সালের জন্য শাহা আলম বরিশাল জেলার শুরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তা কার্যকর করা হয়নি। তবে তিনি উপজেলা রোকন হিসেবে রয়েছেন। অন্যদিকে ডা. মো. হানিফ একবার জামায়াতের রোকন হওয়ার জন্য প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তাঁকে নির্বাচিত করা হয়নি। জামায়াতের কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই উল্লেখ করে জামায়াত নেতা ও মসজিদের ইমাম মো. শাহা আলম বলেন, 'মাদ্রাসায় পড়াশোনা ও বানারীপাড়া এতিমখানায় চাকরির সুবাদে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেও বর্তমানে জামায়াতের সব পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।' বরিশাল জেলার শুরা সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, 'জেলা কমিটি শুরা সদস্য নির্বাচিত করেছিল সত্য, কিন্তু ওই পদে থাকতে রাজি হইনি।' কয়েক বছর আগে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা ছিল স্বীকার করে ডা. মো. হানিফ বলেন, 'বর্তমানে হোমিও চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত থাকায় জামায়াতের কর্মকাণ্ডে সময় দিতে পারি না।'

21 July 2010

একাত্তরে গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ: নিজামী মুজাহিদ সাঈদীর মামলা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধের সময় তুরাগ নদের তীরে আলোকদি গ্রামে ৩৪৪ জনকে হত্যার মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার আসামি নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলীসহ অনেকে। অন্যদিকে পিরোজপুরে সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলাও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।

পল্লবী গণহত্যা মামলা : মুক্তিযুদ্ধের সময় তুরাগ তীরের আলোকদি গ্রামে ৩৪৪ জনকে হত্যা করে কূপে ফেলে মাটিচাপা দেওয়া হয়। নিহতরা সবাই মুসলমান হলেও কারোরই দাফন-কাফন, জানাজা হয়নি।
আলোচিত গণহত্যার এই মামলাটির তদন্তভার সিআইডি থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনালের প্রধান আইনজীবী গোলাম আরিফ টিপু জানিয়েছেন, সিআইডির তদন্ত দল আসামিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। এ কারণে তারা মামলাটির তদন্ত ভার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়েছে।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিউর রহমান গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে এ বিষয়টি অবহিত করেছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশেই মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

সিআইডি সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল পল্লবীর আলোকদি গ্রামে গণহত্যার ঘটনার বর্ণনাকালে বাদী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া জবানবন্দিতে জামায়াত নেতাদের ভয়াবহ নৃশংসতা উঠে এসেছে। এর মধ্যে কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লাকে গণহত্যা মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ মামলায় নিজামীর রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। তাঁকে কারাগার থেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গণহত্যা মামলার আরেক আসামি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতা মীর কাসেম আলী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

২৪ এপ্রিল ফজরের নামাজের সময় পাকিস্তানি বাহিনী হেলিকপ্টারযোগে তুরাগ নদের তীরে আলোকদি গ্রামের পশ্চিম দিকে নামে আর পূর্বদিক থেকে কাদের মোল্লার নেতৃত্বে অসীম, আকতার, নেওয়াজ, লতিফ, ডোমাসহ প্রায় দেড় শ লোক গ্রামবাসীকে ঘিরে ফেলে। তারা নির্বিচারে গুলি করতে থাকে। একদিকে পাকিস্তানি বাহিনী ও অন্যদিকে কাদের মোল্লাসহ জামায়াত বাহিনীর গুলিবর্ষণে ৬৪ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে গণহত্যা মামলার বাদী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন মোল্লার ২১ জন স্বজন ছিলেন। ওই সময় বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটতে আসা ২৮০ জনকেও হত্যা করা হয়। নিহতরা কৃষিকাজে নিয়োজিত ছিলেন। গণহত্যা মামলার বাদী আমীর হোসেন মোল্লা তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, তাঁর আত্দীয় ২১ জন, গ্রামের ৪৩ জন ও কৃষিকাজে নিয়োজিত ২৮০ জনসহ ৩৪৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মৃতদেহ তিনটি কূপে ফেলে মাটিচাপা দেওয়া হয়।

জবানবন্দিতে তাঁরা বলেছেন, মুসলমান হয়ে মুসলমানদের হত্যা করার পর মৃতদেহের গোসল, জানাজা, দাফন-কাফন না করে লাশগুলো কূপে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এসব কূপ থেকে গণহত্যার ৩৯ বছর পর আজও শহীদদের দেহাবশেষ উদ্ধার হচ্ছে। তাঁরা বলেছেন, এ ঘটনার সময় তাঁদের অনেকেই বিলের পানির কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে থেকে আত্দরক্ষা করেছেন।

জবানবন্দিতে তাঁরা বলেছেন, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী, সরদার সালাম ও কাদের মোল্লার নেতৃত্বে সহস্রাধিক আলবদর, আলশামস, রাজাকার স্বাধীনতা যুদ্ধের ৯ মাস ধরে আলোকদি গ্রাম ছাড়াও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চালিয়েছে।

সাঈদীর দুই মামলা : পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে হত্যা, অগি্নসংযোগ, লুটপাটের অভিযোগে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে। পিরোজপুরের প্রধান বিচারিক হাকিম (ভারপ্রাপ্ত) মাহাবুবুর রহমান গতকাল বুধবার দুপুরে এ আদেশ দেন।

পিরোজপুর সদর থানার ওসি শেখ মো. আবু জাহিদ জানান, জিয়ানগর থানা ও পিরোজপুর থানার পক্ষ থেকে মামলা দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য প্রধান বিচারিক হাকিমের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত গতকাল তা আমলে নিয়ে এ আদেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ১২ আগস্ট সদর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সাইজদ্দিন পশারীর ছেলে মানিক পশারী হত্যা, অগি্নসংযোগ ও লুণ্ঠনের অভিযোগে সাঈদীসহ পাঁচজনকে আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর এ দেশীয় দোসররা সাঈদীর নেতৃত্বে পিরোজপুরের পাড়েরহাটের বাদুড়া নিবাসী ইব্রাহিম হাওলাদারকে গুলি করে হত্যা করে।

একাত্তরে হত্যা, অগি্নসংযোগ, লুটপাটের অভিযোগ এনে জিয়ানগর থানায় সাঈদীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান। এজাহারে বলা হয়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা বেণী মাধব শাহ, নাগরিক শাহ, তারক শাহ, রবি তালুকদার, জহর তালুকদার, হরেন ঠাকুরসহ অনেকের বাড়িতে আগুন দেয়। সংখ্যালঘু বহু পরিবারের সম্পদ লুট করে। দুজনকে নারিকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করে তারা।

18 July 2010

বরিশালে মসজিদে জামায়াতপন্থী কাজিদের বৈঠক!

রফিকুল ইসলাম, বরিশাল

বরিশাল জেলা মুসলিম নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজি) সমিতির জামায়াতপন্থী সদস্যরা গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি মসজিদে বৈঠক করেছেন। নগরীর হেমায়েত উদ্দিন রোডে জামে কসাই মসজিদে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, চলে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত। এতে জেলার ২৬ জন কাজি অংশ নেন, যাঁদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত।

নিজস্ব কার্যালয় থাকতেও মসজিদে কেন বৈঠক করা হলো_জানতে চাইলে কাজি আমানউল্লাহ আমান কোনো উত্তর দেননি। তিনি দাবি করেন, তাঁরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। কিন্তু কোনো অনুমতিপত্র দেখাতে পারেননি। এ ব্যাপারে পুলিশও কিছু জানে না বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মুসলিম নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজি) সমিতির সভাপতি ও জামায়াতের শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা কাজি আমানউল্লাহ আমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মহাজোট সরকারের আমলে আমাদের সমিতির মাধ্যমে অর্জিত কর্মকাণ্ড নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২৪ জুলাই মাননীয় মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সঙ্গে আমাদের সৌজন্য সাক্ষাতের বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।'

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সময় জামায়াতের কর্মসূচিতে যাঁরা নেতৃত্ব দিতেন, তাঁদের অনেককেই বৈঠকে দেখা গেছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের অনুমতি দেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাজি আমানউল্লাহ আমান ২২ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাজি মাওলানা আব্দুল মতিন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজি মাওলানা ফারুক, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাজি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজি মাওলানা আবুল ফারাহ সরাসরি জামায়াতের সঙ্গে জড়িত।

মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম খসরু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কাজি আমানউল্লাহ আমান জামায়াতের শ্রমিক সংগঠনের নেতা। কিন্তু এখন ঠিক কোন পদে আছেন তা বলতে পারব না।' কাজি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক, সদস্য সচিবও জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার আ ফ ম আনোয়ার হোসাইন খান বলেন, 'পুলিশের অনুমতি নিয়ে জামে কসাই মসজিদে কাজি সমিতি সভা করেছে বলে আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমি দেখছি।'

15 July 2010

নাশকতার আশঙ্কা: বরিশালে মহানগর ওলামা লীগের সভাপতিসহ তিন জামায়াত নেতা আটক

বরিশাল অফিস

বরিশালে নাশকতামূলক ঘটনার আশঙ্কায় গতকাল বুধবার মহানগর ওলামা লীগের সভাপতিসহ এক শিবিরকর্মীকে আটক করেছে কোতোয়ালি পুলিশ। অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে সরকারবিরোধী পোস্টার লাগানোর দায়ে অপর এক জামায়াত নেতাকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো_বরিশাল মহানগর ওলামা লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, শিবিরকর্মী শহিদুল ইসলাম ও ১০নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর কবির। জান যায়, গতকাল দুপুরে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাগরদী ইসলামিয়া আলিয়া মাদরাসার সামনে থেকে অধ্যাপক আজাদ ও শহিদকে আটক করে।

10 July 2010

বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের ৪৬ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

কালের কণ্ঠ ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন স্থানে গত দুই দিনে জামায়াত-শিবিরের মোট ৪৬ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০ জন, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদীতে ১৪ জন ও নওগাঁ থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে জয়পুরহাট থেকে সাতজন ও ঝালকাঠি থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানো, গোপনে বৈঠক ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'রাষ্ট্রবিরোধী' গোপন বৈঠক চলাকালে ২০ জামায়াত-শিবির ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পৌর এলাকার কাজীপাড়ার পৌর কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শাহ আলম খন্দকারের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি রাশেদুল কবির রানা, পৌর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি খালেদ সাইফুল্লাহ, জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা লোকমান হোসেন, শিবির ক্যাডার রহমতুল্লাহ, ইমরান, মকবুল, রাহাত, জিয়াউল, সোহেল, আবদুল হামিদ, নাছির, রোমান, ফারুক, সলিম, সাবি্বর, আনাস, আবদুল্লাহ, মুছা, বিল্লাল ও রিফাত। রিফাত ঢাকায় কর্মরত পুলিশের এসবির ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমানের ছেলে।

কিশোরগঞ্জ : জামায়াত নেতা নিজামী, মুজাহিদ ও সাঈদীর মুক্তি দাবি করে পোস্টার লাগানোর সময় গতকাল ভোরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাত নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো জেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক বরকতউল্লাহ, পৌর শাখার সভাপতি আবদুল্লাহ মো. তাহের, মাসুদ, খালিদ, সাজিদ, ইউসুফ ও সাদ্দাম।

নরসিংদী : নরসিংদীতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো শামীম, বোরহান, রুবেল, তরিকুল, আমিনুল, মোবারক ও ইসমাইল। তারা জেলার জামিয়া কাশিমিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তারা পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে নিজেদের শিবিরকর্মী হিসেবে স্বীকার করেছে।

নওগাঁ : নওগাঁয় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো রহিম, হাবিব ও রশীদ। গতকাল ভোর ৬টার দিকে শহরের দয়ালের মোড়ে পোস্টার লাগানোর সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জয়পুরহাট : আক্কেলপুর উপজেলার রোয়ার গ্রামের শাহ সেকেন্দার জামে মসজিদে শুক্রবার রাতে বৈঠক করার সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আক্কেলপুর থানা ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সম্পাদকসহ সাত শিবির ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো আল মামুন, মোতাছিম, হাবিবুর, ফরহাদ, ফরহাদুল, মিজানুর ও আফতাব।

ঝালকাঠি : পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের মামলায় ঝালকাঠিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মজিবুর রহমান ও নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে শহরের কিফাইতনগর ও কৃষ্ণকাঠির বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল ঝালকাঠির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আবু জাফর নোমানী তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

9 July 2010

বরিশালের সাগরদী মাদ্রাসায় তল্লাশি অধ্যক্ষসহ আটক ৩

বরিশাল অফিস

বরিশাল র‌্যাব-৮ কার্যালয় লাগোয়া সাগরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় গতকাল বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আশ্রাব আলী দেওয়ান, উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল হালিম আল মাদানীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আটক অপর ব্যক্তির নাম জানা যায়নি।

থানা সূত্রে জানা যায়, আটক অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত বলে মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক নিশ্চিত করেছেন। তবে তাঁরা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন_এমন দাবি করে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম খসরু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মাওলানা আবদুল হালিম আল মাদানী সৌদি সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্ম প্রচারের কাজে নিয়োজিত। এ ছাড়া তিনি বরিশাল ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা।' পুলিশ মাদ্রাসা থেকে উপাধ্যক্ষের এক অতিথিকে থানায় নিয়ে গেছে বলে তিনি দাবি করেছেন। তবে তিনি তার নাম বলতে পারেননি।

এদিকে আটক তিনজনকে মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার আ ফ ম আনোয়ার হোসাইন খানের গাড়িতে (পিকআপ) করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসা হয়। তবে সে সময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা গেছে, মাদ্রাসার প্রবেশপথে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সেখানকার পুলিশ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এদিকে মাদ্রাসা থেকে কোনো কিছু উদ্ধার কিংবা তল্লাশির ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানানো হয়নি।

তবে তল্লাশির কথা স্বীকার করে পুলিশের সহকারী কমিশনার আনোয়ার হোসাইন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মাদ্রাসার শিক্ষকদের কারণ ছাড়াই নিয়ে আসা হয়েছে।' এর বেশি কিছু বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

6 July 2010

বরিশালে জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আটক

বরিশাল অফিস

বরিশাল মহানগর জামায়াতের শীর্ষ নেতা সালাহ্ উদ্দিন মাসুমকে গতকাল সোমবার কোর্ট এলাকা থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে নগরীর সাগরদী এলাকায় গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় বিনা পুলিশি বাধায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। অপরদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিনা অনুমতিতে মিছিলের অভিযোগে রবিবার আটক সাত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গতকাল বিকেলে মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য সালাহ্ উদ্দিন মাসুম জজ কোর্ট চত্বর থেকে তাঁর বাংলাবাজারের বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাঁকে আটক করে একটি পিকআপযোগে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিনা অনুমতিতে মিছিলের অপরাধে রবিবার আটক সাত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গতকাল মামলা দায়ের করেন কোতোয়ালি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইউসুফ আলী। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আসামিরা হলেন ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুলের শিক্ষক আ. আজিজ (৪৫), বিএম কলেজের গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এনামুল হক (২১), একই বিভাগ ও বর্ষের মিজানুর রহমান (২১), একই কলেজের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. ফরিদউদ্দিন (২২), দাড়িয়াল কলেজের এইচএসসির ছাত্র সাকিবুল হাসান (১৮) ও হোটেল বয় সোহেল (২০)। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে বরিশালে জামায়াত-শিবিরের ২৫ নেতা-কর্মীকে পুলিশ পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে সকাল সাড়ে ৮টায় সাগরদী কুয়েত প্লাজার সামনে থেকে ১৫-২০ জনের একটি দল মিছিল শুরু করে। কোতোয়ালি থানার এসআই আলী আজিম ঘটনাস্থলে পেঁৗছলে মিছিলকারীরা পালিয়ে যায়।

বরিশালে কাজি নিয়োগ: আ. লীগ-বিএনপি উভয়ের ডিও লেটার পেলেন জামায়াত নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতাকে কাজি পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে ডিও (ডিমান্ড অর্ডার) লেটার দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শওকত হোসেন হিরন। একই আবেদনপত্রের সঙ্গে বিএনপির সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ারের দেওয়া ডিও লেটারও ছিল। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের দুই নেতার ডিও লেটারে ওই জামায়াত নেতা কাজি নির্বাচিত হয়েছেন। বরিশাল জেলা রেজিস্ট্রারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এ নিয়োগ চূড়ান্ত করতে কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে।

আলোচিত এই জামায়াত নেতা হলেন মো. সালেহ উদ্দিন। তিনি বরিশাল মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য (রুকন), তবে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'আমার বড় ভাই মুলাদী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তাঁর মাধ্যমেই মেয়রকে বুঝিয়ে ডিও লেটার নিয়ে সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাজি পদে আবেদন করেছি।'

ডিও লেটার দেওয়ার কথা অস্বীকার করে মেয়র শওকত হোসেন হিরন বলেন, 'আমি ওই ডিও লেটার দিইনি।' তিনি অস্বীকার করলেও নগরীর ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেত্রী কোহিনুর বেগমসহ আওয়ামী লীগ ও জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের একাধিক সূত্র সালেহ উদ্দিনকে মেয়রের ডিও লেটার দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বরিশাল জেলা রেজিস্ট্রার অফিস সূত্র জানিয়েছে, মহানগরীর ২ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাজি ও নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছর থেকে। বেশ কয়েকবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েও নিয়োগ চূড়ান্ত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ চলতি বছরের ৪ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ২০ এপ্রিল ছিল আবেদনের শেষ তারিখ। বাছাই শেষে ১০ জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আবেদনপত্র বাছাইকালে ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. সালেহ উদ্দিনের পক্ষে মেয়র শওকত হোসেন হিরনের ডিও লেটার পাওয়া যায়। ২০০৯ সালের ৭ মে ওই ডিও লেটার দিয়েছিলেন মেয়র হিরন, যার ক্রমিক নম্বর ৫৩। এতে মো. সালেহ উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মেয়র যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য সালেহ উদ্দিন এর আগে আমানতগঞ্জ সাংগঠনিক থানার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি জামায়াতের মতাদর্শে পরিচালিত ইসলামী জীবন বীমা (তাকাফুল) রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স কম্পানি লিমিটেডের বরিশাল বিভাগের নির্বাহী মহাব্যবস্থাপক হিসেবে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি আমার দেশ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল ও মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর দলীয় কার্যালয়ে মহানগর জামায়াতের একটি প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন মাসুমের পাশে থাকা তাঁর একটি স্থিরচিত্র এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

জেলা রেজিস্ট্রার সত্য গোপাল কর্মকার ডিও লেটারের কথা স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা নিয়ে তিন সদস্যের একটি প্যানেল সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। প্যানেলের দ্বিতীয় সারিতে সালেহ উদ্দিনের নাম রয়েছে। প্যানেল নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিল উপস্থিত ছিলেন। এখানে আমাদের কিছু করণীয় নেই।'

এ বিষয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ কে এম মুর্তুজা আবেদীন বলেন, 'জামায়াত নেতাদের মাধ্যমে সালেহ উদ্দিন আমার কাছেও সুপারিশ করিয়েছিল।'

5 July 2010

বরিশালে জামায়াতের মিছিলের চেষ্টা, কর্মী সন্দেহে আটক ১৩


বরিশাল অফিস | তারিখ: ০৫-০৭-২০১০

বরিশাল নগরের লঞ্চঘাট এলাকা থেকে গতকাল রোববার জামায়াতের কর্মী সন্দেহে ১৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে। এদিকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে গতকাল বগুড়া রোড ফাঁড়ির শহর উপপরিদর্শক (টিএসআই) শাহাবুদ্দিনকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে নেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে নগরের লঞ্চঘাট এলাকায় জামায়াতের একটি মিছিল শুরু হলে সেখানে পুলিশের টহল গাড়ি গিয়ে হাজির হয়। পুলিশের গাড়ি দেখে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ জামায়াতের কর্মী সন্দেহে ১৩ জনকে আটক করে নৌপুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।

আটক ব্যক্তিদের ছবি তুলতে গেলে ফাঁড়ির পুলিশ সাংবাদিকদের বাধা দেয় এবং সংবাদকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। পরে আটক ব্যক্তিদের কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ হালদার বলেন, লঞ্চঘাট এলাকায় জামায়াতের মিছিল থেকে জামায়াতের কর্মী সন্দেহে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন সাধারণ মানুষও রয়েছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হবে।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত শনিবার ছাত্রশিবির নগরের হাসপাতাল রোড থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি বগুড়া রোড পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দিয়ে গেলেও পুলিশ কোনো ভূমিকা রাখেনি। পুলিশের সামনে দিয়ে নির্বিঘ্নে মিছিল করে ছাত্রশিবির। এ অভিযোগে টিএসআই শাহাবুদ্দিনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
বরিশাল মহানগর পুলিশের কমিশনার আবদুর রহিম বলেন, শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল। তাই প্রশাসনিক কারণেই তাঁকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

3 July 2010

শিবিরের মুখে 'জয় বাংলা'

বরিশাল অফিস

জামায়াতের শীর্ষ তিন নেতার মুক্তির দাবিতে বরিশাল নগরীতে গতকাল শনিবার দুপুরে লাঠিমিছিল করে শিবিরের নেতা-কর্মীরা। বগুড়া রোড (নতুন বাজার) পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এসে মিছিলকারীরা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগান দিতে থাকে। তবে 'নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদীর মুক্তি চাই' ব্যানার দেখে পুলিশের টনক নড়ে। ততক্ষণে ধাওয়া করেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানায়, নগরীর হাসপাতাল রোড সোনালী হল মোড় থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহানগর সভাপতি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী বেলা ২টার দিকে বিক্ষোভমিছিল শুরু করে। ওই মিছিলের পিছনে ১৫-২০ জন কর্মী লাঠি নিয়ে অংশ নেয়। মিছিলটি বগুড়া রোড পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা অতিক্রমের সময় মিছিলকারীরা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' বলে স্লোগান দেয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বগুড়া রোড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টি এস আই শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ জানান, পুলিশকে বিভ্রান্তি করতেই তারা মিছিল থেকে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগান দেয়। তবে মিছিলের সামনে 'নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদীর মুক্তি চাই' লেখা সংবলিত ব্যানার ছিল। ফলে ছাত্রশিবিরের কৌশল খুব সহজেই পুলিশ বুঝতে পেরে মিছিলটিকে ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

'জয় বাংলা' স্লোগান দেওয়ার কথা অস্বীকার করে মহানগর ছাত্রশিবির সেক্রেটারি কাজী সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, বিষয়টি পুরোটাই কাল্পনিক। বরং বিশাল মিছিল নিয়ে সেখান থেকে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পাঁচজন পুলিশ মিছিল দেখে তাঁরা ফাঁড়ির ভেতরে চলে যান। তিনি অভিযোগ করেন ব্যর্থতা ঢাকতেই পুলিশ এমন সুর তুলেছে। কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, বিক্ষোভ মিছিল শেষে নতুন বাজারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন পশ্চিম জেলার সভাপতি আজম খান, পূর্ব জেলার সভাপতি নাসির উদ্দিন, অফিস সম্পাদক জহির উদ্দিন সরদার প্রমুখ।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, মিছিলকারীরা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগান দিয়েছে। শিবিরের মিছিল দেখামাত্র পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

19 February 2010

বরিশালে শহীদ মিনার ভাঙার প্রতিবাদে মানববন্ধন




বরিশাল অফিস | তারিখ: ১৯-০২-২০১০


বরিশাল নগরের কাশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের শহীদ মিনারটি বুধবার রাত নয়টায় ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শহীদ মিনার ভাঙার প্রতিবাদে এলাকাবাসী এবং স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল বৃহস্পতিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

এ ঘটনায় পুলিশ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আটক করাদের মধ্যে ছয়জনের নাম পুলিশ প্রকাশ করেছে। তাঁরা হলেন: আবদুল কুদ্দুস, কবির হোসেন, জাহাঙ্গীর, মিজানুর রহমান, শামিমুল হক ও আমিনুল ইসলাম। তাঁরা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার রাত নয়টায় কাশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের শহীদ মিনারটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে রাত ১০টায় সিটি মেয়র শওকত হোসেন, স্থানীয় কাউন্সিলর, কলেজ অধ্যক্ষ, সহকারী পুলিশ কমিশনার ও সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। স্থানীয় বাসিন্দা মো. সুলতান আহম্মেদ জানান, রাত নয়টায় কলেজের সামনের মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হলে তিনজনকে দৌড়ে যেতে দেখেন। একটু সামনে গিয়ে দেখতে পান, কলেজের মাঠে শহীদ মিনারের অনেকটা অংশ ভাঙা।

শহীদ মিনার ভাঙার প্রতিবাদে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় কাশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দেড় হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করে। ওই বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে শহীদ মিনার ভাঙায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।



খবরের লিংক

17 February 2010

বরিশালে শহীদ মিনারের স্তম্ভ ভেঙেছে দুর্বৃত্তরা




বরিশাল অফিস | তারিখ: ১৮-০২-২০১০


বরিশাল নগরের কাশীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ গতকাল বুধবার রাতে কে বা কারা ভেঙে ফেলেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, শিবিরের ক্যাডাররা এ কাজ করে থাকতে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান আহমেদ জানান, রাত নয়টার দিকে এশার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে তিনি তিন যুবককে দৌড়ে যেতে দেখেন। তাঁর ধারণা, ওই যুবকেরাই এ কাজ করেছেন। শহীদ মিনারের তিনটি স্তম্ভের মধ্যে পাশের দুটি স্তম্ভের একটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। আরেকটিরও অর্ধেক ভেঙে ফেলেছে।


খবরের লিংক