দিনাজপুর অফিস | তারিখ: ১৪-০৭-২০১০
দিনাজপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে গতকাল মঙ্গলবার ধারালো অস্ত্রসহ ছাত্রশিবিরের একজন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক শিবিরের কর্মীর নাম আবদুস সবুর। তিনি অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে সবুর, কাইয়ুম, আবু বক্কর ও মতিনসহ চার-পাঁচজন শিবিরের কর্মী ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কর্নারে আসেন। তাঁরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সহ-সম্পাদক এম এ বারী ও মুসলিম হল শাখার সভাপতি জয়নুল আবেদীনসহ ১০-১৫ জন নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁদের দেখে শিবিরের কর্মীরা সটকে পড়েন। তবে সবুরকে ধরে তাঁর দেহ তল্লাশি করে একটি ছুরি পাওয়া যায়।
Showing posts with label দিনাজপুর. Show all posts
Showing posts with label দিনাজপুর. Show all posts
14 July 2010
17 March 2010
নীলফামারীতে অধ্যক্ষকে হত্যার হুমকি
নীলফামারী প্রতিনিধি | তারিখ: ১৮-০৩-২০১০
একটি মাদ্রাসায় পিওন নিয়োগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তাঁর দলবল নিয়ে গত সোমবার বিকেলে নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকারের সরকারি বাসভবনে এসে তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এ সময় তাঁরা নিয়োগসংক্রান্ত কাগজে জোরপূর্বক গৌরাঙ্গ চন্দ্রের স্বাক্ষর নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত মঙ্গলবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, জলঢাকা উপজেলার খুটামারা আলিম মাদ্রাসার পিওন জয়নাল আবেদীন গত ৪ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করলে ওই পদে নতুন করে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। এতে ১৫টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। গত ১৫ মার্চ নীলফামারী সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় প্রয়াত জয়নাল আবেদীনের ছেলে ওবায়দুল হক প্রথম হন। কিন্তু রেদোয়ান হোসেন নামের একজনকে নিয়োগের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) প্রতিনিধি অধ্যক্ষ গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আকবর হোসেন হামিদী। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় ওই দিন বিকেলে দলবলসহ গৌরাঙ্গ চন্দ্রের বাসভবনে গিয়ে হামিদী নিয়োগসংক্রান্ত কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন।
তবে খুটামারা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আকবর হোসেন হামিদী মুঠোফোনে প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ অস্বীকার করেন।
খবরের লিংক
নীলফামারী প্রতিনিধি | তারিখ: ১৮-০৩-২০১০
একটি মাদ্রাসায় পিওন নিয়োগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তাঁর দলবল নিয়ে গত সোমবার বিকেলে নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকারের সরকারি বাসভবনে এসে তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এ সময় তাঁরা নিয়োগসংক্রান্ত কাগজে জোরপূর্বক গৌরাঙ্গ চন্দ্রের স্বাক্ষর নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত মঙ্গলবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, জলঢাকা উপজেলার খুটামারা আলিম মাদ্রাসার পিওন জয়নাল আবেদীন গত ৪ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করলে ওই পদে নতুন করে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। এতে ১৫টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। গত ১৫ মার্চ নীলফামারী সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় প্রয়াত জয়নাল আবেদীনের ছেলে ওবায়দুল হক প্রথম হন। কিন্তু রেদোয়ান হোসেন নামের একজনকে নিয়োগের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) প্রতিনিধি অধ্যক্ষ গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আকবর হোসেন হামিদী। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় ওই দিন বিকেলে দলবলসহ গৌরাঙ্গ চন্দ্রের বাসভবনে গিয়ে হামিদী নিয়োগসংক্রান্ত কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন।
তবে খুটামারা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আকবর হোসেন হামিদী মুঠোফোনে প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ অস্বীকার করেন।
খবরের লিংক
4 March 2010
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ছাত্রলীগের ওপর হামলার ঘটনায় শিবিরকর্মীসহ দুজন গ্রেপ্তার
দিনাজপুর অফিস ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | তারিখ: ০৪-০৩-২০১০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় ছাত্রশিবিরের একজন কর্মীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন শিবিরকর্মী মো. আসলামুজ্জামান (২৩) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নাসির হোসেন।
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আমিনুল ইসলাম জানান, আসলামুজ্জামান ওই হামলার ঘটনায় মতিহার থানায় করা ২১ নম্বর মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তিনি বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের তিলনা গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার সকালে পুলিশ প্রহরায় তাঁকে রাজশাহী পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন জানান, গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে নাসির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে হামলার ঘটনায় পুলিশের পক্ষে করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নাসির বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। তিনি ফার্মেসি বিভাগে কাজ করেন।
১৬২ জনকে আদালতে হাজির
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির আতাউর রহামন ও সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদসহ জামায়াত-শিবিরের ১৬২ নেতা-কর্মীকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। আসামিদের মধ্যে শামসুল, জিয়া, ওয়াহাব, আবদুস সালাম, আসাদুল, ফাহিম ও মোসলেহ উদ্দিনকে রাজশাহী মহানগর হাকিমের আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়। অন্যদের আদলত চত্ব্বরে প্রিজন ভ্যানে বসিয়ে রেখেই গণনা করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য পাঁচ আসামিকে পরীক্ষার কারণে আদালতে হাজির করা হয়নি।
মামলার মূল নথি না থাকায় বিচারক আমিরুল ইসলাম ৪ এপ্রিল পরবর্তী হাজিরার তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। হামলায় নিহত হন ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হোসেন এবং আহত হন ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতা-কর্মী ও কয়েকজন পুলিশ।
খবরের লিংক
দিনাজপুর অফিস ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | তারিখ: ০৪-০৩-২০১০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় ছাত্রশিবিরের একজন কর্মীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন শিবিরকর্মী মো. আসলামুজ্জামান (২৩) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নাসির হোসেন।
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আমিনুল ইসলাম জানান, আসলামুজ্জামান ওই হামলার ঘটনায় মতিহার থানায় করা ২১ নম্বর মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তিনি বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের তিলনা গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার সকালে পুলিশ প্রহরায় তাঁকে রাজশাহী পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন জানান, গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে নাসির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে হামলার ঘটনায় পুলিশের পক্ষে করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নাসির বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। তিনি ফার্মেসি বিভাগে কাজ করেন।
১৬২ জনকে আদালতে হাজির
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির আতাউর রহামন ও সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদসহ জামায়াত-শিবিরের ১৬২ নেতা-কর্মীকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। আসামিদের মধ্যে শামসুল, জিয়া, ওয়াহাব, আবদুস সালাম, আসাদুল, ফাহিম ও মোসলেহ উদ্দিনকে রাজশাহী মহানগর হাকিমের আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়। অন্যদের আদলত চত্ব্বরে প্রিজন ভ্যানে বসিয়ে রেখেই গণনা করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য পাঁচ আসামিকে পরীক্ষার কারণে আদালতে হাজির করা হয়নি।
মামলার মূল নথি না থাকায় বিচারক আমিরুল ইসলাম ৪ এপ্রিল পরবর্তী হাজিরার তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। হামলায় নিহত হন ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হোসেন এবং আহত হন ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতা-কর্মী ও কয়েকজন পুলিশ।
খবরের লিংক
24 February 2010
ঠাকুরগাঁওয়ে শিবির কর্মী সন্দেহে গ্রেপ্তার ২
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | তারিখ: ২৪-০২-২০১০
ঠাকুরগাঁওয়ে শিবির কর্মী সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান এবং একই কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাসুদ করিম। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহরের হাজিপাড়ার শিবির মেস থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ খানের ভাষ্যমতে, বেশ কয়েকজন শিবির কর্মী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর পরিকল্পনা নিয়ে ওই মেসে গোপন বৈঠক করছিলেন। এ খবর পেয়ে একটি ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোস্তাফিজুর ও মাসুদকে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা পালিয়ে যান। আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের জেলহাজতে পাঠানোর হয়েছে।
খবরের লিংক
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | তারিখ: ২৪-০২-২০১০
ঠাকুরগাঁওয়ে শিবির কর্মী সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান এবং একই কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাসুদ করিম। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহরের হাজিপাড়ার শিবির মেস থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ খানের ভাষ্যমতে, বেশ কয়েকজন শিবির কর্মী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর পরিকল্পনা নিয়ে ওই মেসে গোপন বৈঠক করছিলেন। এ খবর পেয়ে একটি ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোস্তাফিজুর ও মাসুদকে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা পালিয়ে যান। আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের জেলহাজতে পাঠানোর হয়েছে।
খবরের লিংক
13 February 2010
নীলফামারীতে জামায়াত ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ৭০, জেলা আমির আটক
নীলফামারী প্রতিনিধি | তারিখ: ১৪-০২-২০১০
নীলফামারী শহরে গতকাল শনিবার জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি মিছিল বের করা হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরের অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ জেলা জামায়াতের আমির শাহ মোজাম্মেল হকসহ দলটির ২০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের কার্যালয়ে ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখা গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে মিছিল বের করে। শহরের উকিলপাড়ায় আল হেলাল একাডেমিতে অবস্থিত দলটির কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হওয়ার পরপরই পুলিশ আটকে দেয়। পরে মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যায়।
জামায়াতের ওই মিছিলের খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পাল্টা মিছিল শুরু হয়।
ছাত্রলীগের মিছিলটি শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে আধা কিলোমিটার দূরে জামায়াতের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়। দলীয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা মিছিলটি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। ছাত্রলীগের মিছিল থেকেও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জামায়াতের কার্যালয় ভবনের ফটক ভেঙে ফেলেন। লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে জামায়াতের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০-১২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) সাহাবুদ্দিন, কনস্টেবল আশরাফ আলীসহ পুলিশের ১০ জন সদস্য আহত হন। এ ছাড়া নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমানসহ সংগঠনটির ৫০ জন নেতা-কর্মী এবং জামায়াত-শিবিরের ১০-১২ জন আহত হয়। তাদের নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক বলেন, জামায়াত-শিবিরের মিছিলের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেন। জামায়াত-শিবির ওই মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এ ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রশিদুল হক বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। দায়িত্ব পালনকালে ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। জামায়াতের জেলা আমিরসহ দলের ২০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
খবরের লিংক
নীলফামারী প্রতিনিধি | তারিখ: ১৪-০২-২০১০
নীলফামারী শহরে গতকাল শনিবার জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি মিছিল বের করা হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরের অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ জেলা জামায়াতের আমির শাহ মোজাম্মেল হকসহ দলটির ২০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের কার্যালয়ে ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখা গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে মিছিল বের করে। শহরের উকিলপাড়ায় আল হেলাল একাডেমিতে অবস্থিত দলটির কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হওয়ার পরপরই পুলিশ আটকে দেয়। পরে মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যায়।
জামায়াতের ওই মিছিলের খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পাল্টা মিছিল শুরু হয়।
ছাত্রলীগের মিছিলটি শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে আধা কিলোমিটার দূরে জামায়াতের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়। দলীয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা মিছিলটি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। ছাত্রলীগের মিছিল থেকেও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জামায়াতের কার্যালয় ভবনের ফটক ভেঙে ফেলেন। লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে জামায়াতের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০-১২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) সাহাবুদ্দিন, কনস্টেবল আশরাফ আলীসহ পুলিশের ১০ জন সদস্য আহত হন। এ ছাড়া নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমানসহ সংগঠনটির ৫০ জন নেতা-কর্মী এবং জামায়াত-শিবিরের ১০-১২ জন আহত হয়। তাদের নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক বলেন, জামায়াত-শিবিরের মিছিলের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেন। জামায়াত-শিবির ওই মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এ ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রশিদুল হক বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। দায়িত্ব পালনকালে ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। জামায়াতের জেলা আমিরসহ দলের ২০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
খবরের লিংক
16 January 2010
তিনটি সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষ
প্রথম আলো ডেস্ক | তারিখ: ১৬-০১-২০১০
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে গতকাল শুক্রবার তিনটি কলেজে ছাত্রলীগের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ-সাংবাদিকসহ ৭২ জন আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে ২৯ জনকে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুলনা বিএল কলেজ, দিনাজপুর সরকারি কলেজ ও মেহেরপুর সরকারি কলেজে এসব সংঘর্ষ হয়। দিনাজপুর কলেজে ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
খুলনা অফিস জানায়, বিএল কলেজে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫৪ জন আহত হন। ১৫ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএল কলেজে স্নাতক শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে ছাত্রলীগ ও শিবির মিছিল বের করে। মিছিলে দুই পক্ষের কর্মীরা উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকলে একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় দলের নেতা-কর্মীরা হকিস্টিক, রামদা, লোহার রড, পাইপ, লাঠি ও পিস্তল ব্যবহার করে। এ সময় গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে বলে জানা গেছে।
দুপুর একটার দিকে পাঁচ প্লাটুন দাঙ্গা পুলিশ কলেজ চত্বরে ঢোকে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে শিবিরের কর্মীরা পিছু হটে। দুপুর দুইটার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে শিবিরের ব্যানার ও ফেস্টুনে আগুন ধরিয়ে দেন।
সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালান। প্রথম আলোর আলোকচিত্রী শাহনেওয়াজ, দিগন্ত টিভির ক্যামেরাম্যান মো. নয়ন, দেশ টিভির এস এম মিলন, বাংলাভিশনের মতিউর রহমান আহত হন। তাঁরা এনটিভির প্রতিনিধি আবু তৈয়েবকে আটকে রেখে ক্যামেরা থেকে ক্যাসেট বের করে নেন।
বিএল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দোলন কুমার মিস্ত্রি অভিযোগ করেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা শেষে শিবির মিছিল বের করে। কিন্তু তারা মাঠ ও সড়কগুলো এমনভাবে দখল করে রাখে, যাতে আমাদের মিছিল যাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। এর প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা ছাত্রলীগের কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে।’ তাঁর দাবি, সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
ছাত্রশিবিরের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিবিরের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হলে ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এতে শিবিরের ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
কলেজের অধ্যক্ষ আহমেদ রেজা প্রথম আলোকে বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ ঘটনায় কলেজ বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভেতরে ঢুকতে হবে। কলেজে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের উপকমিশনার মোস্তফা কামাল বলেন, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইটের আঘাতে মো. মামুন নামের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। মুহসীন হল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তারা ছাত্র নাকি বহিরাগত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
দিনাজপুর অফিস জানায়, দিনাজপুর সরকারি কলেজে গতকাল ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় কলেজের মুসলিম হোস্টেলের ৩০টি কক্ষ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কর্তৃপক্ষ সম্মান ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীর সব ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ছাত্রদের এবং আজ সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলেজে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল কলেজে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা শেষে দুপুর ১২টার দিকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে মিছিল বের করে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রশিবির মিছিল করার পর ছাত্রলীগ মিছিল বের করে। দুপুর একটার দিকে মিছিলটি কলেজের বাংলা বিভাগের সামনে শিবিরের প্রচারকেন্দ্র অতিক্রম করে বিজ্ঞান ভবনের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় শিবিরের কর্মীরা পেছন থেকে ছাত্রলীগের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে এবং লাঠি নিয়ে মিছিলটিকে ধাওয়া করে। এ সময় সংঘর্ষ বাধে।
মুসলিম হোস্টেল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নুল দাবি করেন, সংঘর্ষে তাঁদের ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। তা ছাড়া শিবিরের কর্মীরা মুসলিম হোস্টেলে নিজেদের ১৫টি কক্ষ ভাঙচুর করেছেন।
কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুমের অভিযোগ, ছাত্রলীগের মিছিল থেকে শিবিরের প্রচারকেন্দ্রে থাকা নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ছাত্রলীগ মুসলিম হলে শিবিরের কর্মীদের ১৫টি কক্ষ ভাঙচুর করে বলে তিনি দাবি করেন।
দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন মিয়া সংঘর্ষের ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় সম্মান ও মাস্টার্সের ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর ক্লাস হওয়ায় সেসব ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সব পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম ইকবাল হাসান বলেন, বহিরাগতদের কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ থাকবে।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানান, মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে গতকাল শহরের বিভিন্ন স্থানে দিনভর সংঘর্ষ হয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ সময় জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হামলা চালানো হয় ছাত্রশিবিরের নিয়ন্ত্রিত দুটি ছাত্রাবাসে। এ ঘটনায় পুলিশ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতিসহ তাদের ২৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষে এর জের ধরে কলেজের বাইরে দুই সংগঠনের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে প্রথম আলোর মেহেরপুর প্রতিনিধি তুহিন আরণ্য, আমার দেশ-এর প্রতিনিধি পলাশ খন্দকার ও দৈনিক দেশতথ্য-এর ফটোসাংবাদিক মিজানুর রহমান আহত হন। তাঁরা সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করেন। শিবিরকর্মীদের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সভাপতি মফিজুর রহমানসহ আরও তিন নেতা সামান্য আহত হন।
একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট অবিডিও মার্ডি উপস্থিত হলে পুলিশ শিবিরের জেলা সভাপতি ইকবাল হোসেনসহ ২৪ জন কর্মীকে আটক করে। তখন ছাত্রলীগের কর্মীরা অবস্থান পরিবর্তন করে মিছিল নিয়ে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, শিবিরের কর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় তাঁদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে। মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির ছমির উদ্দিন বলেন, শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথাকাটাকাটির জের ধরে ছাত্রলীগের কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন।
খবরের লিংক
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে গতকাল শুক্রবার তিনটি কলেজে ছাত্রলীগের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ-সাংবাদিকসহ ৭২ জন আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে ২৯ জনকে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুলনা বিএল কলেজ, দিনাজপুর সরকারি কলেজ ও মেহেরপুর সরকারি কলেজে এসব সংঘর্ষ হয়। দিনাজপুর কলেজে ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
খুলনা অফিস জানায়, বিএল কলেজে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫৪ জন আহত হন। ১৫ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএল কলেজে স্নাতক শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে ছাত্রলীগ ও শিবির মিছিল বের করে। মিছিলে দুই পক্ষের কর্মীরা উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকলে একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় দলের নেতা-কর্মীরা হকিস্টিক, রামদা, লোহার রড, পাইপ, লাঠি ও পিস্তল ব্যবহার করে। এ সময় গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে বলে জানা গেছে।
দুপুর একটার দিকে পাঁচ প্লাটুন দাঙ্গা পুলিশ কলেজ চত্বরে ঢোকে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে শিবিরের কর্মীরা পিছু হটে। দুপুর দুইটার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে শিবিরের ব্যানার ও ফেস্টুনে আগুন ধরিয়ে দেন।
সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালান। প্রথম আলোর আলোকচিত্রী শাহনেওয়াজ, দিগন্ত টিভির ক্যামেরাম্যান মো. নয়ন, দেশ টিভির এস এম মিলন, বাংলাভিশনের মতিউর রহমান আহত হন। তাঁরা এনটিভির প্রতিনিধি আবু তৈয়েবকে আটকে রেখে ক্যামেরা থেকে ক্যাসেট বের করে নেন।
বিএল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দোলন কুমার মিস্ত্রি অভিযোগ করেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা শেষে শিবির মিছিল বের করে। কিন্তু তারা মাঠ ও সড়কগুলো এমনভাবে দখল করে রাখে, যাতে আমাদের মিছিল যাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। এর প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা ছাত্রলীগের কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে।’ তাঁর দাবি, সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
ছাত্রশিবিরের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিবিরের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হলে ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এতে শিবিরের ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
কলেজের অধ্যক্ষ আহমেদ রেজা প্রথম আলোকে বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ ঘটনায় কলেজ বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভেতরে ঢুকতে হবে। কলেজে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের উপকমিশনার মোস্তফা কামাল বলেন, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইটের আঘাতে মো. মামুন নামের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। মুহসীন হল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তারা ছাত্র নাকি বহিরাগত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
দিনাজপুর অফিস জানায়, দিনাজপুর সরকারি কলেজে গতকাল ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় কলেজের মুসলিম হোস্টেলের ৩০টি কক্ষ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কর্তৃপক্ষ সম্মান ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীর সব ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ছাত্রদের এবং আজ সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলেজে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল কলেজে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা শেষে দুপুর ১২টার দিকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে মিছিল বের করে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রশিবির মিছিল করার পর ছাত্রলীগ মিছিল বের করে। দুপুর একটার দিকে মিছিলটি কলেজের বাংলা বিভাগের সামনে শিবিরের প্রচারকেন্দ্র অতিক্রম করে বিজ্ঞান ভবনের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় শিবিরের কর্মীরা পেছন থেকে ছাত্রলীগের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে এবং লাঠি নিয়ে মিছিলটিকে ধাওয়া করে। এ সময় সংঘর্ষ বাধে।
মুসলিম হোস্টেল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নুল দাবি করেন, সংঘর্ষে তাঁদের ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। তা ছাড়া শিবিরের কর্মীরা মুসলিম হোস্টেলে নিজেদের ১৫টি কক্ষ ভাঙচুর করেছেন।
কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুমের অভিযোগ, ছাত্রলীগের মিছিল থেকে শিবিরের প্রচারকেন্দ্রে থাকা নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ছাত্রলীগ মুসলিম হলে শিবিরের কর্মীদের ১৫টি কক্ষ ভাঙচুর করে বলে তিনি দাবি করেন।
দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন মিয়া সংঘর্ষের ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় সম্মান ও মাস্টার্সের ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর ক্লাস হওয়ায় সেসব ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সব পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম ইকবাল হাসান বলেন, বহিরাগতদের কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ থাকবে।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানান, মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে গতকাল শহরের বিভিন্ন স্থানে দিনভর সংঘর্ষ হয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ সময় জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হামলা চালানো হয় ছাত্রশিবিরের নিয়ন্ত্রিত দুটি ছাত্রাবাসে। এ ঘটনায় পুলিশ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতিসহ তাদের ২৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষে এর জের ধরে কলেজের বাইরে দুই সংগঠনের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে প্রথম আলোর মেহেরপুর প্রতিনিধি তুহিন আরণ্য, আমার দেশ-এর প্রতিনিধি পলাশ খন্দকার ও দৈনিক দেশতথ্য-এর ফটোসাংবাদিক মিজানুর রহমান আহত হন। তাঁরা সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করেন। শিবিরকর্মীদের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সভাপতি মফিজুর রহমানসহ আরও তিন নেতা সামান্য আহত হন।
একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট অবিডিও মার্ডি উপস্থিত হলে পুলিশ শিবিরের জেলা সভাপতি ইকবাল হোসেনসহ ২৪ জন কর্মীকে আটক করে। তখন ছাত্রলীগের কর্মীরা অবস্থান পরিবর্তন করে মিছিল নিয়ে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, শিবিরের কর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় তাঁদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে। মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির ছমির উদ্দিন বলেন, শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথাকাটাকাটির জের ধরে ছাত্রলীগের কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন।
খবরের লিংক
15 January 2010
দিনাজপুরে ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষে আহত ২০, সরকারি কলেজ অনির্দিষ্টকাল বন্ধ
দিনাজপুর অফিস | তারিখ: ১৫-০১-২০১০
দিনাজপুর সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ছাত্র আহত হয়েছে। আহত ছাত্রদের বেশির ভাগই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় কলেজের মুসলিম হোস্টেলের ৩০টি কক্ষ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে কলেজ কর্তৃপক্ষ উচ্চমাধ্যমিক ছাড়া সম্মান ও মাস্টার্স শ্রেণীর সব ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। আজ বিকেলে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে সব ছাত্রকে এবং কাল শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, আজ কলেজে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা ছিল। দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শেষ হলে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে মিছিল বের করা হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্রশিবির মিছিল করার পর ছাত্রলীগ মিছিল বের করে। বেলা একটার দিকে মিছিলটি কলেজের বাংলা বিভাগের সামনে ছাত্রশিবিরের প্রচার কেন্দ্র অতিক্রম করে বিজ্ঞান ভবনের দিকে যায়। এ সময় শিবির কর্মীরা পেছন থেকে ছাত্রলীগের মিছিলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে। তখন কলেজ মাঠে ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষে ১০ জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী আহত হয়।
আহত নেতা-কর্মীদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়। শিবির কর্মীরা কলেজের মুসলিম হোস্টেলের ১৫টি কক্ষ ভাঙচুর করে।
কলেজের ছাত্রশিবিরের নেতা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছাত্রলীগ মিছিল নিয়ে তাদের প্রচার কেন্দ্র অতিক্রমের সময় শিবিরের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন শিবিরের নেতা-কর্মী আহত হয়। পরে ছাত্রলীগ মুসলিম হলে শিবিরের ১৫টি কক্ষ ভাঙচুর করে এবং লেপ-তোশক, বালিশ ও বইপত্রে আগুন দেয়।
তবে কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন শিবিরের এ অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন মিয়া জানান, সংঘর্ষ, ছাত্র আহত, কক্ষ ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনার পর ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজে সম্মান ও মাস্টার্স শ্রেণীর ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে ছাত্রদের এবং পরদিন সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম ইকবাল হাসান বলেন, ঘটনার পরপরই অধ্যক্ষের ডাকে শতাধিক পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে সংঘর্ষ থামায়। বহিরাগতদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে পুলিশ থাকবে বলেও তিনি জানান।
খবরের লিংক
দিনাজপুর অফিস | তারিখ: ১৫-০১-২০১০
দিনাজপুর সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ছাত্র আহত হয়েছে। আহত ছাত্রদের বেশির ভাগই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় কলেজের মুসলিম হোস্টেলের ৩০টি কক্ষ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে কলেজ কর্তৃপক্ষ উচ্চমাধ্যমিক ছাড়া সম্মান ও মাস্টার্স শ্রেণীর সব ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। আজ বিকেলে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে সব ছাত্রকে এবং কাল শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, আজ কলেজে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা ছিল। দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শেষ হলে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে মিছিল বের করা হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্রশিবির মিছিল করার পর ছাত্রলীগ মিছিল বের করে। বেলা একটার দিকে মিছিলটি কলেজের বাংলা বিভাগের সামনে ছাত্রশিবিরের প্রচার কেন্দ্র অতিক্রম করে বিজ্ঞান ভবনের দিকে যায়। এ সময় শিবির কর্মীরা পেছন থেকে ছাত্রলীগের মিছিলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে। তখন কলেজ মাঠে ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষে ১০ জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী আহত হয়।
আহত নেতা-কর্মীদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়। শিবির কর্মীরা কলেজের মুসলিম হোস্টেলের ১৫টি কক্ষ ভাঙচুর করে।
কলেজের ছাত্রশিবিরের নেতা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছাত্রলীগ মিছিল নিয়ে তাদের প্রচার কেন্দ্র অতিক্রমের সময় শিবিরের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন শিবিরের নেতা-কর্মী আহত হয়। পরে ছাত্রলীগ মুসলিম হলে শিবিরের ১৫টি কক্ষ ভাঙচুর করে এবং লেপ-তোশক, বালিশ ও বইপত্রে আগুন দেয়।
তবে কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন শিবিরের এ অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন মিয়া জানান, সংঘর্ষ, ছাত্র আহত, কক্ষ ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনার পর ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজে সম্মান ও মাস্টার্স শ্রেণীর ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে ছাত্রদের এবং পরদিন সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম ইকবাল হাসান বলেন, ঘটনার পরপরই অধ্যক্ষের ডাকে শতাধিক পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে সংঘর্ষ থামায়। বহিরাগতদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে পুলিশ থাকবে বলেও তিনি জানান।
খবরের লিংক
1 January 2008
লালমনিরহাটে জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা: মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ
লালমনিরহাট ও কালীগঞ্জ প্রতিনিধি
লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় নেতা এবং কাশীরাম আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সামছুল হকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত রোববার দুপুরে লালমনিরহাট বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ রোকন উদ্দিন আহম্মেদ।
আদালত মামলা গ্রহণ করে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মাওলানা সামছুল হক জরুরি ক্ষমতা আইনে একটি মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে আটক আছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, মাওলানা সামছুল হক জাল সনদের মাধ্যমে পদোন্নতি নিয়ে ১৯৯০ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অবৈধভাবে সরকারি বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন। মাঝে ১৯৯৪ সালে জাল সনদের বিষয়টি ধরা পড়ে। ১৯৯৫ সালে জেলা প্রশাসকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা না করার সিদ্ধান্ত নেয় মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু ১৯৯৭ সালে তিনি প্রভাব খাটিয়ে এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত করান। আর বিগত জোট সরকারের সময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়। অবশেষে গত ৩ ডিসেম্বর পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে গত শুক্রবার কালীগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ আবদুল গফুর মাস্টারের স্ত্রী সালমা বেগম (৬০) এক সংবাদ সম্মেলনে সামছুল হকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে হত্যার অভিযোগ করে তাঁদের বিচার দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৭১-এর মার্চের শেষের দিকে বাড়ি থেকে তাঁর স্বামীকে সামছুল হকসহ কয়েকজন রাজাকার ডেকে নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে নির্মমভাবে হত্যা করে। কয়েক দিন পর গফুর মাস্টারের লাশ কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের পাশের একটি ডোবায় পাওয়া যায়।
লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় নেতা এবং কাশীরাম আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সামছুল হকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত রোববার দুপুরে লালমনিরহাট বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ রোকন উদ্দিন আহম্মেদ।
আদালত মামলা গ্রহণ করে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মাওলানা সামছুল হক জরুরি ক্ষমতা আইনে একটি মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে আটক আছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, মাওলানা সামছুল হক জাল সনদের মাধ্যমে পদোন্নতি নিয়ে ১৯৯০ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অবৈধভাবে সরকারি বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন। মাঝে ১৯৯৪ সালে জাল সনদের বিষয়টি ধরা পড়ে। ১৯৯৫ সালে জেলা প্রশাসকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা না করার সিদ্ধান্ত নেয় মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু ১৯৯৭ সালে তিনি প্রভাব খাটিয়ে এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত করান। আর বিগত জোট সরকারের সময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়। অবশেষে গত ৩ ডিসেম্বর পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে গত শুক্রবার কালীগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ আবদুল গফুর মাস্টারের স্ত্রী সালমা বেগম (৬০) এক সংবাদ সম্মেলনে সামছুল হকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে হত্যার অভিযোগ করে তাঁদের বিচার দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৭১-এর মার্চের শেষের দিকে বাড়ি থেকে তাঁর স্বামীকে সামছুল হকসহ কয়েকজন রাজাকার ডেকে নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে নির্মমভাবে হত্যা করে। কয়েক দিন পর গফুর মাস্টারের লাশ কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের পাশের একটি ডোবায় পাওয়া যায়।
Subscribe to:
Posts (Atom)