Showing posts with label রাজশাহী. Show all posts
Showing posts with label রাজশাহী. Show all posts

23 April 2011

সাঈদীর ছেলের মাহফিল: রাজশাহীতে জামায়াত বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ৫০

রাজশাহী অফিস

রাজশাহীর চারঘাটে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাওলানা রাফিক বিন সাঈদীর তাফসির মাহফিলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, পুলিশের লাঠিপেটা, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে।

চারঘাটের শলুয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে গতকাল শনিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সন্ধ্যার পরও এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছিল এবং বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এর আগে তাফসির মাহফিলস্থল ও এর আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, 'শলুয়া গ্রামবাসীর' ব্যানারে জামায়াত-শিবির গতকাল দুপুর ২টা থেকে চারঘাট উপজেলার শলুয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে 'তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের' আয়োজন করে।

মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে রাফিক বিন সাঈদীকে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদ চাঁদের। সে অনুযায়ী গত কয়েক দিন এলাকায় পোস্টার ও মাইকিং করে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়।

সাঈদীর ছেলে মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে পারে_এ আশঙ্কায় উপজেলা আওয়ামী লীগ গতকাল চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানায়। গতকাল সকাল থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মাহফিল বন্ধ করতে তৎপরতা শুরু করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে চারঘাট উপজেলা প্রশাসন শলুয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।

এলাকায় রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান আবদুস সামাদের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গতকাল দুপুর ২টা থেকে এলাকাবাসীকে শান্ত থাকতে পুলিশ মাইকিং করে। পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা গতকাল দুপুর থেকে মাহফিলের পুরো মাঠটি ঘিরে রাখেন।
এদিকে দুপুরের পর থেকে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থকরা ওই মাঠের আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে তাঁরা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে মাঠের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ ও তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। কলেজ মাঠ ও আশপাশের এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা। পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ আরো ব্যাপক আকার নেয়। এ সময় শলুয়া কলেজ মাঠ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। পরে রাজশাহী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে আহতদের পাশের পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ডা. নেফাউর রহমান (৩৪), আবদুস সামাদ (৩২), রাকিবুল ইসলাম (২২), এরশাদ আলী (৩৫), খায়রুল ইসলাম (৩৫), শামীম হোসেন (২৮), জয়নাল আবেদিন (২২), রজব আলী (৩৪), ফজলুল ইসলাম (৩০), নূরুল হক (৪০) ও আবুল কালাম (৪০)।
মাহফিলের প্রধান অতিথি চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদ চাঁদ অভিযোগ করেন, এই ঘটনার জন্য পুলিশই দায়ী। তারা মুসলি্লদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

চারঘাট থানার ওসি হামিদুর রশিদ বলেন, সাঈদীর ছেলের তাফসির মাহফিলের ঘোষণা দেওয়া হলেও মূলত সেটি ছিল বিএনপি ও জামায়াতের রাজনৈতিক সমাবেশ। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে গতকাল সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সেটি ভঙ্গ করে সমাবেশ করার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালান। ঘটনায় ১০ জন পুলিশও আহত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

রাজশাহীর পুলিশ সুপার এস এম রোকন উদ্দিন জানান, মুসলি্লরা প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখান প্রায় এক হাজার র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৫০ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

12 March 2011

প্রতারণা করে শিক্ষার্থীদের দলে ভেড়াচ্ছে ফুলকুঁড়ি আসর

কুদরাত-ই-খুদা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | তারিখ: ১৩-০৩-২০১১

রাজশাহী নগরের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতারণা ও কৌশলের আশ্রয় নিয়ে শিশু সংগঠন ‘ফুলকুঁড়ি আসরে’ ভেড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফুলকুঁড়ি আসর ছাত্রশিবির পরিচালিত শিশু সংগঠন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। অভিভাবকেরা এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

শিক্ষক, অভিভাবক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে নগরের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে শ্রেণীকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে ফুলকুঁড়ি আসরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন। পরে শিক্ষার্থীদের হাতে সদস্য ফরম ধরিয়ে দেন। এই ফরমে ফুলকুঁড়ি আসরের পরিচিতি, আদর্শ ও উদ্দেশ্য, মূলমন্ত্র, স্লোগানসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে সদস্য হওয়ার আবেদনপত্র। ফুলকুঁড়ি আসরের কেন্দ্রীয় প্রধান পরিচালক বরাবর ওই আবেদনপত্রে লেখা রয়েছে, ‘ভাইয়া, আস্সালামু আলাইকুম। আমি ফুলকুঁড়ি আসরের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচির সাথে একমত হয়ে এর সদস্য হতে চাই। আমার অভিভাবকের এতে কোন আপত্তি নেই। আমি নিজে এ সংগঠনের নিয়ম শৃংখলা ও আইন মেনে চলবো এবং অন্যের কাছে ফুলকুঁড়ির আহ্বান পৌঁছে দিতে চেষ্টা করবো।’ আবেদনপত্রে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামসহ স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, টেলিফোন বা মুঠোফোন, ই-মেইল, অভিভাবকের স্বাক্ষর ইত্যাদি বিষয় পূরণের জন্য নির্ধারিত জায়গা রাখা হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক জানান, ১৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের অনুমতি না নিয়েই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন কয়েকজন তরুণ। তাঁরা শ্রেণীকক্ষে গিয়ে ‘সুন্দর হাতের লেখা’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। পরে বিজয়ীদের পুরস্কারও দেওয়া হয়। এরপর ফুলকুঁড়ি আসরের উদ্দেশ্য বর্ণনা করে সদস্য ফরম ধরিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে ফরম পূরণ করে নেওয়ার পর অভিভাবকদের স্বাক্ষরের জন্য নির্ধারিত জায়গায় শিক্ষার্থীদের দিয়েই স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। নগরের অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, অভিভাবকদের না জানিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এভাবে ফুলকুঁড়ি আসরের সদস্য ফরম পূরণ করানো অবশ্যই অন্যায়। আবার অভিভাবকদের স্বাক্ষরও করিয়ে নেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। অভিভাবকেরা এ ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে একে মিথ্যাচার ও প্রতারণা হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

বিশিষ্ট নাট্যকার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের সভাপতি মলয় ভৌমিক বলেন, ফুলকুঁড়ি আসর যে জামায়াত-শিবিরের শিশু সংগঠন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাই করে নিজেদের সংগঠনে ভেড়ানোর মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরের ‘নীল নকশা’ বাস্তবায়ন করাই তাঁদের উদ্দেশ্য।

ফুলকুঁড়ি আসরের সদস্য ফরমের শেষ পৃষ্ঠায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা হিসেবে ‘১১৪/২, সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড, মৌচাক, ঢাকা-১২১৭’ লেখা রয়েছে। সেখানে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোন নম্বর, ই-মেইল ও ওয়েবসাইটের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে উল্লিখিত মুঠোফোন নম্বরে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

ফুলকুঁড়ি আসর ছাত্রশিবির পরিচালিত সংগঠন কি না, সে ব্যাপারে শুক্রবার রাতে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে রাজশাহী মহানগর শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ফুলকুঁড়ি আসর একটি শিশু সংগঠন। ফুলকুঁড়ি আসর তাদের মতো করে কাজ করে আর আমরা আমাদের মতো করে কাজ করি। ফুলকুঁড়ি আসরের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ততা নেই বলে তিনি দাবি করেন।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, কোমলমতি শিশুদের দলে ভেড়ানোর জন্য প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

12 February 2011

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: ফারুক হত্যা মামলার তদন্তে গাফিলতি, তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে নোটিশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | তারিখ: ১২-০২-২০১১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও গণিত বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন হত্যা মামলার তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তিন দিন আগে এ নোটিশ জারি করা হলে গতকাল শুক্রবার রাতে বিষয়টি জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন উপকমিশনার (রাজশাহী-পূর্ব) প্রলয় কান্তি সরকার, সহকারী পুলিশ কমিশনার এম শাখাওয়াত হোসেন ও মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, সোহেল রানা বর্তমানে মতিহার থানায় কর্মরত থাকলেও শাখাওয়াত হোসেন বর্তমানে গোপালগঞ্জ ও প্রলয় কান্তি সরকার মাগুরা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কারণ দর্শানোর নোটিশ রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থলে পাঠানো হয়েছে।

16 January 2011

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত: গবেষণা, বই জালিয়াতি ও ভুয়া সনদ দিয়ে পদোন্নতির চেষ্টা

কুদরাত-ই-খুদা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | তারিখ: ১৭-০১-২০১১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্যের গবেষণাপত্র ও বই জালিয়াতি করে নিজের নামে প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে। এসব প্রকাশনা দেখিয়ে তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার চেষ্টাও করছেন। তিনি আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু ইউনুছ খান মুহম্মদ জাহাঙ্গীর। ক্যাম্পাসে তিনি জামায়াতপন্থী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সম্প্রতি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। এর আগে ২০০১ সালে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর কাগজপত্র তলব করেছিল।

জানা গেছে, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক ও একজন গবেষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগকারী ব্যক্তিরা হলেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম ও রেজাউল করিম এবং কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষক মোস্তাক মোহাম্মদ ও এ এস মোহাম্মদ আলী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, আবু ইউনুছ খান মুহম্মদ জাহাঙ্গীর বিভিন্ন ব্যক্তির গবেষণাপত্র, প্রকাশিত বইয়ের কোনো কোনো অংশ হুবহু ও কোনো অংশ আংশিক ঘুরিয়েফিরিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মালিকানাধীন বা প্রতিষ্ঠানের জার্নালে নিজের নামে প্রবন্ধ আকারে প্রকাশ করেছেন। তাঁরা প্রকাশিত এমন সাতটি প্রবন্ধের বিষয়ে অভিযোগ আনেন।

অভিযোগে বলা হয়, ওই সব প্রবন্ধ দেখিয়ে মুহম্মদ জাহাঙ্গীর ২০০৯ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর আবেদন করেন। আবেদনপত্রে সংযুক্ত ফাজিল পরীক্ষার নম্বরপত্রে উল্লিখিত ‘পাস’ ফলাফলকে তিনি দ্বিতীয় বিভাগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা বেআইনী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর আগে ঠিক একই ধরনের ঘটনায় (‘পাস’ ফলাফল বদলে প্রথম বিভাগ উল্লেখ করায়) একই বিভাগের শিক্ষক মুজিবর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত হয়েছিলেন।

দুদকে কাগজপত্র তলব: বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ১৯৯৭ সালে মুহম্মদ জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৯ সালের জুলাই মাসে তিনি একই বিভাগের অধীনে এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হন। একই সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি না নিয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) অধীনে পরিচালিত অগ্রণী স্কুলে আরবি বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি সাত বছর বিনা ছুটিতে সরকারি বেতন-ভাতা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেলোশিপ গ্রহণ করেছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্টে অবৈধ। অভিযোগকারী ব্যক্তিরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী চাকরি করা কোনো ব্যক্তি এমফিল বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হলে অবশ্যই তাঁকে কমপক্ষে এক বছরের শিক্ষাকালীন ছুটি নিতে হবে। তিনি তা করেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, দুদক ২০০১ সালে তাঁর এসব কাগজপত্র তলব করেছিল। কিন্তু কিছুদিন পর বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে বিষয়টি আর এগোয়নি। দুদকে কাগজপত্র তলব করার বিষয়টি আবু ইউনুছ খান মুহম্মদ জাহাঙ্গীর স্বীকারও করেছেন।

দ্বিতীয় তদন্ত কমিটি: গত ৬ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট কৃষি অনুষদের ডিন সোহরাব আলীকে আহ্বায়ক করে উচ্চতর কমিটি গঠন করে। কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এর আগেও এসব অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক মাহবুবর রহমানকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করেছিল। মাহবুবর রহমানের সঙ্গে গতকাল মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওই কমিটির কাছে আবু ইউনুছ খান মুহম্মদ জাহাঙ্গীর তাঁর দোষ স্বীকার করেছিলেন। কমিটি সুপারিশসহ প্রতিবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে জমাও দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য কৃষি অনুষদের ডিন সোহরাব আলীকে আহ্বায়ক করে আরেকটি কমিটি করেছে।

আবু ইউনুছ খান মুহম্মদ জাহাঙ্গীরের সঙ্গে গতকাল বিকেলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে রোববার (আজ) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বলেন। তখনই তাঁর বক্তব্য জানা জরুরি বলে জানালে তিনি অভিযোগগুলো শোনেন এবং সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহান বলেন, আগের কমিটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিয়েছে। এখনকার কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

11 December 2010

পৌর নির্বাচন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ: নাটকীয়ভাবে নতুন প্রার্থী ঘোষণা করল জামায়াত, দলে ফাটল

শহীদুল হুদা অলক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র জামায়াত নেতা আতাউর রহমানই আগামী নির্বাচনে দলীয় সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন_এমন প্রচার থাকলেও শেষ মহূর্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে জামায়াত আনুষ্ঠানিকভাবে সাবেক এমপি ও সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক লতিফুর রহমানকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। প্রার্থী সমর্থন নিয়ে সংগঠনের ভেতরে চলা তুমুল তৎপরতার অংশ হিসেবে প্রার্থী পরিবর্তনকে ঘিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জামায়াত। গত উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী সমর্থন নিয়ে বিভক্তির পর আবারও নতুন করে জামায়াত নেতাদের দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতের একাধিক নেতা বিভেদের কথাটি স্বীকারও করেছেন।

প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা চাঁপাইনবাবগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরেই জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। জামায়াত-বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সুযোগে মধ্যখানে একবার আওয়ামী লীগ ছাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়র পদটি বহু বছর ধরে তাদেরই দখলে। সে কারণে জামায়াতের কেন্দ্রীয় এবং জেলা নেতারা আগামী মেয়াদেও এ পৌরসভা জামায়াতের দখলে থাকুক এমন তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন। তবে প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে খোদ দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মতানৈক্যের কারণে তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জামায়াত নেতা জানান, বতর্মান পৌর মেয়র অধ্যাপক আতাউর রহমানের অনুসারীরা চেয়েছিলেন তিনিই মেয়র প্রার্থী হিসেবে বহাল থাকুক। আতাউর রহমানও সেই লক্ষ্যে কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু জেলা জামায়াতের একাংশ তাঁর বিরোধিতায় মুখর হয়ে উঠলে তাঁর ইচ্ছে পূরণের ক্ষেত্রে অন্তরায় ঘটে। জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, এ নিয়ে জামায়াতকে কয়েক দফা বৈঠক করতে হয়েছে। এমনকি কেন্দ্রের হস্তক্ষেপও চাইতে হয়েছে। জামায়াত নেতারা জানান, আতাউর রহমান দলীয় সমর্থন নিয়ে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর নিজের ভাগ্য বদলালেও দলে এর আশানুরূপ প্রভাব পড়েনি। নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী তিনি দলের পক্ষে কাজ করেননি। এমনকি সংকটাপন্ন সময়েও তিনি দলের পাশে সক্রিয়ভাবে দাঁড়াননি। এদিকে জামায়াতের অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির বিদ্রোহী নেতা রফিকুল ইসলাম বুলবুলকে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক লতিফুর রহমান সমর্থন দিলে জামায়াতের আতাউর রহমান অংশ সমর্থন দিয়ে বসেন জেলা জাসদের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে। তখন থেকেই প্রকট আকার ধারণ করে জামায়াতের লতিফ গ্রুপ ও আতাউর গ্রুপ। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, 'জেলা কর্মপরিষদের বৈঠকে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনো বিভক্তির খবর আমার কাছে নেই। আর এ রকম হওয়ার কোনো সুযোগও নেই।' পৌর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ওমর ফারুক বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হলে তাঁকে বহিষ্কারের মতো কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে জামায়াতের গঠনতন্ত্রে। আর জামায়াত এমন একটি সুশৃঙ্খল দল, যেখান থেকে একবার কোনো নেতা-কর্মীর বিচ্যুতি ঘটলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা অসম্ভব। সমর্থন পাওয়া সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক লতিফুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কোনো বিভেদ সৃষ্টি হয়নি। আমাদের সংগঠনের নিয়ম হচ্ছে_কেউ কোনো পদ চাইলে পাবেন না। আবার কাউকে দায়িত্ব দিলে অস্বীকার করা যাবে না। সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রার্থী ঘোষণার সময় আতাউর সাহেব সঙ্গে ছিলেন। তিনি আমার জন্য কাজ করবেন।' এ ব্যাপারে বর্তমান মেয়র আতাউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য চেষ্টা করে তাঁর সেলফোনে পাওয়া যায়নি।

8 November 2010

সাতক্ষীরা, রাজশাহীতে শিবিরের সাতজন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা ও রাজশাহী | তারিখ: ০৯-১১-২০১০

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের ছয়জন নেতা-কর্মীকে রোববার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে রাজশাহী কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক নেতাকে গতকাল সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আশাশুনি উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে থেকে রোববার রাতে গোপনে বৈঠক করার সময় ছাত্রশিবিরের ছয়জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আশাশুনি থানার ওসি ফজলুর রহমান জানান, গতকাল তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় রাজশাহী কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আলমকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

2 October 2010

রাজশাহীতে জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | তারিখ: ০২-১০-২০১০

রাজশাহীতে ককটেল বিস্ফোরণ করে ত্রাস সৃষ্টির মামলায় আজ শনিবার দুপুরে চঁাপাইনবাবগঞ্জের জামায়াতে ইসলামীর সাবেক পেৌর আমির ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর কাশিমপুর আলিম মাদ্রাসার সুপার আবদুস সবুরকে গ্রপ্তোর করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার পুলিশ তঁাকে গ্রপ্তোর করে নগরের বোয়ালিয়া থানায় পাঠিয়েছে।

নগরের বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, গত ৩০ জুন রাজশাহী মহানগরে মিছিল করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে বোয়ালিয়া থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়। এ মামলায় ৩৪ জনের বিরুদ্ধে এজাহার এবং ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। সম্প্রতি মামলার আসামি জামায়াতের রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আবদুল মালেককে গ্রপ্তোর করা হয়। তঁার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ আবদুস সবুরকে আজ তঁার মাদ্রাসার সামনে থেকে গ্রপ্তোর করে।
আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, আবদুস সবুরকে কাল রোববার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

24 September 2010

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাউবো অফিসে হামলা: ছাত্রলীগের সঙ্গে সাবেক এক শিবির কর্মীও অংশ নেয়!

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৩৫ কোটি টাকার দরপত্র গ্রহণের নির্ধারিত সময়ের পরে দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সাবেক এক কর্মীর অংশ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়ের করা মামলায় ওই শিবির কর্মীকে আসামিও করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই জেলা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মনির হোসেন বকুলকে গ্রেপ্তার করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও রাজশাহী পাউবো সার্কেল অফিসে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দরপত্র গ্রহণের শেষ সময় ছিল। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৩ ঘণ্টা পর জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাকিবুল হাসান বিরুসহ ১০-১২ জনের একটি দল পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসে গিয়ে দুটি দরপত্র জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কর্মকর্তারা জমা নিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁরা পুলিশের উপস্থিতিতেই নির্বাহী প্রকৌশলীর টেবিলের কাচ ভাঙচুর করেন। এ গ্রুপে ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ে কয়েকজন নেতাসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী শহীদও ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শহরের উসকাঠিপাড়া গ্রামের তোবজুল হকের ছেলে শহীদ দীর্ঘ দিন শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিল। সম্প্রতি ছাত্রলীগের সঙ্গে মেশা শুরু করে শহীদ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খলিলুর রহমান সদর থানায় বৃহস্পতিবার রাতে দ্রুত বিচার আইনে যে মামলা করেছেন তাতে চারজন এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে শহীদও রয়েছে। মামলায় চারজনের বাইরে ১০-১২ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে। সদর থানার ওসি জানান, এ হামলার ঘটনায় মামলার পর পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই মহারাজপুর মেলা এলাকা থেকে জেলা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মনির হোসেন বকুলকে গ্রেপ্তার করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল মাহমুদ খান খান্না বলেন, 'শহীদসহ আরো কয়েকজন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত নয়, এরা ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।'

1 September 2010

জামায়াত-শিবিরের ২ নেতাকর্মী জেলগেটে গ্রেপ্তার

Mon, Aug 30th, 2010 10:12 pm BdST

রাজশাহী, অগাস্ট ৩০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- একটি বিস্ফোরক মামলায় রাজশাহীর জামায়াত ও শিবিরের ছয় নেতা-কর্মী সোমবার খালাস পেয়েছেন।

বিকালে কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় ফটক থেকে তাদের মধ্যে দু'জনকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার রাজশাহীর অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম রুহুল আমিন ওই ছয়জনকে খালাস দেন।

এরা হলেন- রাজশাহী মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আবু বকর সিদ্দিক, রাজপাড়া থানা আমির আব্দুল মালেক, সেক্রেটারি মাহবুবুল আহসান, নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ড সেক্রেটারি মোখলেছুর রহমান, ১ নম্বর ওয়ার্ড শিবির সেক্রেটারি মোহাম্মদ হাসান এবং ২ নম্বর ওয়ার্ড শিবির সেক্রেটারি নাইমুল হক।

রায় ঘোষণার সময় তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

বিকাল ৫টার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় এই ছয়জনের মধ্যে জামায়াত নেতা মোখলেছুর রহমান ও শিবির নেতা মোহাম্মদ হাসানকে আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার করে মতিহার পুলিশ।

মতিহার থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, গত ৮ ফেব্র"য়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগের মামলায় এই দু'জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

গত ৮ ফেব্র"য়ারি রাতে হলে হলে শিবির নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের উপর হামলা করে। এতে এসএম হলের ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন খুন হন। পুলিশসহ আহত হয় অর্ধশত নেতা-কর্মী। এসব ঘটনায় মতিহার থানায় ১৪টি মামলা হয়। এর মধ্যে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়।

এদিকে বিস্ফোরক মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ৩০ জুন রাত ৮টার দিকে রাজশাহীর জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ঢাকায় দলীয় তিন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলকারিরা নগরীর সোনাদীঘির মোড়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত-শিবিরের ছয় নেতাকর্মীকে আটক করে।

ওই রাতেই বোয়ালিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা হয়। ১৪ জুলাই ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/২১৫৮ ঘ.

ঢাকার ৩ মামলায় শিবির নেতা মর্তুজা গ্রেপ্তার

Tue, Aug 31st, 2010 8:45 pm BdST

রাজশাহী, অগাস্ট ৩১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - ছাত্রশিবিরের সমাজ কল্যাণ ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মর্তুজাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তাকে দুই-একদিনের মধ্যে ঢাকায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ।

পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শিবিরের কেন্দ্রীয় এই নেতাকে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়।

বিকালে রাজশাহীর রাজপাড়া থানা পুলিশ মর্তুজাকে মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে।

হাকিম জিয়াউর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শনিবার রাতে রাজশাহীর র‌্যাব-৫ এর একটি দল নগরীর বাইপাস এলাকা থেকে মর্তুজাকে আটক করে।

রোববার তাকে রাজপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার মর্তুজাকে একদিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

মর্তুজার বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বামনদিঘী গ্রামে।

রাজপাড়া থানার ওসি শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, মর্তুজার কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, মর্তুজাকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ দুই-এক দিনের মধ্যে তাকে ঢাকায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

এর আগে র‌্যাব-৫ রাজশাহীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩ অগাস্ট মোহাম্মদপুরে শিবিরের একটি মেস থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, বিস্ফোরক ও সাংগঠনিক বইসহ জামায়াতের সহযোগী শিবিরের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা নাশকতার পরিকলপনা করছিলো বলে জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে জানায়। ওই নাশকতার পরিকল্পনার সঙ্গে মর্তুজার সরাসরি স�পৃক্ততা ছিলো।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসবাদে মর্তুজা জানান, জামায়াতের শীর্ষ নেতারা আটকের পর তৃণমূলের কর্মীরা ভীত হয়ে পড়েছে। তাদের মনোবল বাড়াতে এবং মিছিল মিটিং-এ বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতি নেয় তারা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমএসবি/২০৪৪ ঘ.

22 August 2010

বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল বা কোনো সরকারি কার্যালয়ে বোরকা কিংবা ধর্মীয় পোশাক পরতে কাউকে বাধ্য করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে মেয়েদের বাধা না দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল রবিবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে সুয়োমোটো এসব আদেশ দেন। এর আগে গত ২ মার্চ হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ বোরকা না পরার কারণে কোনো মহিলা বা বালিকাকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন বা হয়রানি না করতে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

গতকাল নাটোরের সরকারি রানী ভবানী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হককে ২৬ আগস্ট আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে আদালত বোরকা পরতে বাধ্য করা এবং খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেকে মেয়েদের বাধা দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছেন। শিক্ষা, স্বরাষ্ট্রসচিব, সংস্কৃতি, সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং নাটোরের সরকারি রানী ভবানী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের প্রতি এই রুল জারি করা হয়। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

'নাটোরের সরকারি রানী ভবানী মহিলা কলেজ, বোরকা না পরলে আসতে মানা' শিরোনামে গতকাল রবিবার দৈনিক 'কালের কণ্ঠ' পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, "নাটোর রানী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও খেলাধুলায় ছাত্রীদের অংশ নেওয়ার ওপর জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক মাস দুয়েক আগে কলেজে যোগ দেওয়ার পরই নির্দেশ দেন, বোরকা পরে আসতে হবে ছাত্রীদের। এ নির্দেশ না মানায় অনেককেই কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ 'অবাধ্য' ছাত্রীদের গায়ে হাত তুলতে পর্যন্ত দ্বিধা করেন না।"

এই প্রতিবেদনটি গতকাল সংশ্লিষ্ট আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক ও অ্যাডভোকেট কে এম হাফিজুল আলম। তাঁরা গতকাল 'কালের কণ্ঠ' পত্রিকাটি আদালতে উপস্থাপন করে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আদালত সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে ওই আদেশ দেন।

ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক আদালতে শুনানিকালে বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। এ কারণেই দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা ধর্মের লোক কর্মরত থাকেন। সেখানে বিশেষ ধর্মের পোশাক পরতে বাধ্য করা হলে অন্য ধর্মের যারা আছেন, তাঁদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়। এ ছাড়া মুসলিমদের মধ্যে যারা ধর্মীয় পোশাক পরতে ইচ্ছুক নন, তাঁদেরও ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়। তিনি বলেন, সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য দেখাতে পারবে না। রাষ্ট্র ও জনজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষ সমান অধিকার লাভ করবে। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী কারো মেধা বিকাশে বাধা দেওয়া যাবে না। স্কুল-কলেজে মেধা বিকাশের একটি অপরিহার্য বিষয় হচ্ছে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। তাই এ কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। বাধা দেওয়াটা সংবিধান লঙ্ঘন। এ ছাড়া আইনের দৃষ্টিতে এটা অবৈধ ও বেআইনি। তিনি বলেন, মেয়েদের খেলাধুলা থেকে বিরত রাখা ও বোরকা পরতে বাধ্য করা বৈষম্যমূলক।

উল্লেখ্য, রানী ভবানী মহিলা কলেজের আড়াই শ শিক্ষার্থী তাদের অভিযোগসংবলিত একটি চিঠি গত ৭ আগস্ট শিক্ষাসচিব বরাবর কুরিয়ারে পাঠান। তবে এখন পর্যন্ত সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি। চিঠিতে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, জুন মাসে এ কলেজে যোগ দেন অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক। এরপরই তিনি ছাত্রীদের বোরকা ও মার্কিন সাদা কাপড়ের স্কার্ফ পরে আসার নির্দেশ দেন। নির্দেশ অমান্যকারীদের কলেজ গেট থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়। দু-একজন ছাত্রী তাঁর চোখ এড়িয়ে কলেজে ঢুকে পড়লে অধ্যক্ষ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও গায়ে হাত তোলেন। শিক্ষার্থীদের আরো অভিযোগ, অধ্যক্ষ কলেজে মেয়েদের সব ধরনের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি হোস্টেলের মেয়েদের জানান না দিয়েই অনেকের কক্ষে ঢুকে পড়েন। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে ছাত্রীরা। শিক্ষাসচিবের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার কয়েকজন ছাত্রী স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

রংপুরের ঘটনা
গত মার্চে বোরকা না পরার কারণে রংপুরে চিড়িয়াখানা ও সুরভী উদ্যান থেকে ১৯ যুবক-যুবতীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ইসলামপরিপন্থী, ধর্মীয় আইনবিরোধী ও বেপর্দানশীন অবস্থায় চলাফেরা করায় তাদের আটক করা হয়।

এ ঘটনায় গত ২ মার্চ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক, অ্যাডভোকেট কে এম হাফিজুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার ইমতাজুল হাই একটি রিট আবেদন করেন। এর ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত রংপুরে চিড়িয়াখানা ও সুরভী উদ্যান থেকে যুবক-যুবতীদের আটকের ঘটনার কেন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ওই তদন্তের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না_তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। ওই রুল এখনো বিচারাধীন। এই রুলের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ মার্চ হাইকোর্ট বোরখা না পরার কারণে কোনো নারী বা বালিকাকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন বা হয়রানি না করতে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

রানী ভবানী কলেজের ছাত্রীরা উল্লসিত

রেজাউল করিম রেজা, নাটোর

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোরকা পরতে কাউকে বাধ্য না করার ব্যাপারে হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ায় উল্লসিত নাটোরের রানী ভবানী সরকারি কলেজের ছাত্রীরা। আদালত এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করায় তাঁরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া নাটোরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষও হাইকোর্টের অদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

রানী ভবানী সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন খাতুন, একাদশ শ্রেণীর প্রিতিকা, দ্বাদশ শ্রেণীর খায়রুন নাহার কহিনূর বলেন, কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করায় ছাত্রীদের চলাচল এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ সহজ হবে। তারা বলেন, আমরা এতদিন ভয়ের মধ্যে ছিলাম। কলেজে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে আড়াইশ' ছাত্রী কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে শিক্ষা সচিবের বরাবরে আবেদন করে। এখন হাইকোর্ট রুল জারি করায় আমরা আশান্বিত হয়ে উঠেছি।

রানী ভবানী মহিলা কলেজের কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক বিকাশ জ্যোতি কুণ্ডু বলেন, 'ছাত্রীরা শিক্ষা সচিব বরারব অভিযোগ পাঠানোর পর গত ১৬ আগস্ট কলেজ অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক কলেজ হোস্টেলের প্রধান গেটের তালা বন্ধ করে দেড় শতাধিক ছাত্রীর কাছ থেকে জোর করে একটি আবেদনপত্রে সই করিয়ে নেন। সেখানে লেখা ছিল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্যি নয়।'

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করা অধ্যক্ষ মোবাইল ফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি কম্পিউিটার শিক্ষক বিকাশ জ্যোতি কুণ্ডুর অনৈতিক কাজ সমর্থন করলে আজ এ অবস্থা হতো না। ১৬ তারিখে আমি নাটোরেই ছিলাম না। তাহলে ছাত্রীদের কাছ থেকে সই নিলাম কী করে!' হাইকোর্টের আদেশের কথা জানেন না দাবি করে তিনি বলেন, নাটোরে ফিরে এ বিষয়ে কথা বলবেন।

এদিকে হাইকোর্টের আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করে নাটোর এন এস সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের বোরকা পড়ে আসার নির্দেশ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলা বন্ধ করে দেওয়া কোনেভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ নিজে থেকে বোরকা পড়ে এলে সেটি ভিন্ন বিষয়। কিন্তু এটা বাধ্যতামূলক করা সমীচীন নয়।'

চাঁদপুর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন সরকার বলেন, 'বাংলাদেশ শরিয়া আইন দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে না। সুতরাং কলেজ ইউনিফর্মের বাইরে বোরকা পড়া বাধ্যতামূলক করার কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার মাধ্যমে ছাত্রীদের মেধা বিকাশের পথ রুদ্ধ করা কোনভাবে সমর্থন করা যায় না।' দিঘাপতিয়া এম কে কলেজের উপাধ্যক্ষ আহমেদুল হক চৌধুরী স্বপন এবং নাটোর সরকারি বালক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইকবাল হোসেন বোরকা পড়া বাধ্যতামূলক করার কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন।

21 August 2010

রানী ভবানী মহিলা কলেজ: বোরকা না পরলে আসতে মানা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোর রানী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও খেলাধুলায় ছাত্রীদের অংশ নেওয়ার ওপর জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক মাস দুয়েক আগে কলেজে যোগ দেওয়ার পরেই নির্দেশ দেন, বোরকা পরে আসতে হবে ছাত্রীদের। এ নির্দেশ না মানায় অনেককেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি কলেজে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ 'অবাধ্য' ছাত্রীদের গায়ে হাত তুলতে পর্যন্ত দ্বিধা করছেন না।

কলেজের আড়াই শ শিক্ষার্থী এসব অভিযোগসংবলিত একটি চিঠি গত ৭ আগস্ট শিক্ষা সচিব বরাবর কুরিয়ারে পাঠিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি। ছাত্রীদের লেখা চিঠির একটি অনুলিপি কালের কণ্ঠ প্রতিনিধির হাতে এসেছে। চিঠিতে শিক্ষার্থীরা লিখেছে, জুন মাসে রানী ভবানী সরকারি কলেজে যোগ দেন অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক। এরপরই তিনি ছাত্রীদের বোরকা ও মার্কিন সাদা কাপড়ের স্কার্ফ পরে আসার নির্দেশ দেন। নির্দেশ অমান্যকারীদের কলেজ গেট থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়। দুই-একজন ছাত্রী তাঁর চোখ এড়িয়ে কলেজে ঢুকে পড়লে অধ্যক্ষ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও গায়ে হাত তোলেন।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ কলেজে মেয়েদের সব ধরনের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক কলেজ হোস্টেলের মেয়েদের জানান না দিয়েই অনেকের কক্ষে ঢুকে পড়েন। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে ছাত্রীরা। শিক্ষা সচিবের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার কয়েকজন ছাত্রী স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ছাত্রীরা জানায়, অনেক মেয়ে অধ্যক্ষের কারণে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কলেজে গেলে শিক্ষকরাও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তাঁরা জানান, অধ্যক্ষের আচরণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষককেও হেনস্থা হতে হয়েছে। কলেজের কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক বিকাশ জ্যোতি কুণ্ডু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ অবস্থা পরিবর্তনের ক্ষমতা আমাদের নেই। আপনি কলেজের মেয়েদের প্রশ্ন করলেই সব কিছু জানতে পারবেন।' সেখানে উপস্থিত আরো দুই শিক্ষক বিকাশ জ্যোতি কুণ্ডুর বক্তব্য সমর্থন করেন। তবে তাঁরা নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, কলেজের কিছু শিক্ষক তাঁর পেছনে লেগেছেন। তিনি অবশ্য স্বীকার করেন, মেয়েদের বোরকা পরে আসতে ও খেলাধুলা না করে পড়াশুনায় মন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ছাত্রীদের শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ ঠিক নয়।

19 August 2010

নওগাঁয় জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার হিমু গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও নওগাঁ প্রতিনিধি

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা'আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সাবেক শীর্ষ নেতা সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও সংগঠনের নওগাঁ অঞ্চলের কমান্ডার মো. হেমায়েত হোসেন ওরফে হিমুকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে র‌্যাব-৫ রাজশাহীর জঙ্গি দমন সেলের সদস্যরা নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আটগ্রামে নিজ বাড়ি থেকে হিমুকে গ্রেপ্তার করেন।

র‌্যাব জানিয়েছে, হিমু নওগাঁর রানীনগর উপজেলার আলোচিত ইদ্রিস আলী খেজুর ও আত্রাই উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শেখ ফরিদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত পলাতক আসামি। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও নির্যাতন এবং বোমবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আত্রাই ও রানীনগর থানায় চারটি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সম্প্রতি এলাকায় ফিরে হিমু গোপনে জঙ্গি তৎপরতা শুরু করে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছিল।

গতকাল দুপুরে হিমুকে রাজশাহীতে র‌্যাব ৫-এর সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। এ সময় র‌্যাব ৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঈন উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরীসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাব সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের ২৬ এপ্রিল বিকেলে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর হাইস্কুল মাঠে বাংলা ভাই সর্বহারাদের মাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার জন্য সমাবেশ আহ্বান করে। সমাবেশ উপলক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে এলাকায় মাইকে প্রচার করা হয়। মাইকের ঘোষণায় জেএমবির পক্ষ থেকে বলা হয়, যারা সমাবেশে আসবে তারা বাংলা ভাইয়ের সমর্থক, আর যারা আসবে না তারা সর্বহারার সমর্থক। সমাবেশস্থলে এই কারণে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ হাজির হয়। ওইদিন বাংলা ভাইয়ের নির্দেশে হিমুসহ ৩০-৩৫ জন জেএমবি ক্যাডার আত্রাই উপজেলার ভুপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শেখ ফরিদকে বাড়ি থেকে ধরে সমাবেশস্থলে নিয়ে আসে। ফরিদকে উদ্দেশ্য করে হিমু জনতার সামনে বলে, 'তুমি সর্বহারাদের নেতা ও তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষক'। শেখ ফরিদ তা অস্বীকার করলে বাংলা ভাইয়ের নির্দেশে জেএমবি ক্যাডাররা হকিস্টিক, লোহার রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে ফরিদকে নির্দয়ভাবে পেটায়। ফরিদের আর্তচিৎকার মাইকে শোনানো হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় ফরিদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে জেএমবির হাতে নির্যাতিত ভুপাড়া এলাকার কমর উদ্দিন মণ্ডল ১ মে আত্রাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে সিআইডি পুলিশ আসামি হিমুসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

র‌্যাব জানায়, বাংলা ভাই গ্রেপ্তারের পর হিমু এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং বাংলা ভাইয়ের ফাঁসির আদেশ কার্যকর হওয়ার পর এলাকায় ফিরে আবারও জেএমবির কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। ফরিদ হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের পর সে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। এ ছাড়াও হিমুসহ জেএমবি ক্যাডাররা ২০০৪ সালের ১৪ মে ইদ্রিস আলী খেজুরকে অপহরণ করে রানীনগর উপজেলার ভেটি দাখিল মাদরাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করে হত্যা করে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায়ও হিমু অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, হিমুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

18 August 2010

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রশিবিরের আরও ছয় কর্মী আটক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | তারিখ: ১৯-০৮-২০১০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, ক্যাম্পাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন কাজলা ও মির্জাপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাঁদের আটক করে। তাঁরা ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মতিহার থানা সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে নয়টার দিকে দিনাজপুর থেকে রাজশাহীগামী একটি যাত্রীবাহী বাস বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন কাজলায় পৌঁছালে পুলিশ বাসটি থামানোর নির্দেশ দেয়। পরে ওই বাস থেকে শিবিরের কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নুরুদ্দীন ও সোহেল রানা, একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের হাবিবুল্লাহ ও আবদুল হাই সিদ্দিক এবং তৃতীয় বর্ষের শিমুলকে আটক করা হয়। একই রাতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ হোসেনকে মির্জাপুর এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।

10 August 2010

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াতের দুই নেতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ | তারিখ: ১১-০৮-২০১০

জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আবদুল মালেক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর আমির মোখলেসুর রহমানকে গত সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া থানা সূত্র জানায়, সোমবার ভোরের দিকে নগরের ছোট বনগ্রাম এলাকার বাসা থেকে মহানগর জামায়াতের নেতা আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনই তাঁকে রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আজ বুধবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে হাকিম আমিরুল ইসলাম তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রাজ্জাক জানান, ২৯ জুন রাতে নগরে ঝটিকা মিছিল এবং ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আবদুল মালেক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমির মোখলেসুর রহমানকে সদর উপজেলার বালুগ্রাম মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোখলেসুর রহমান বালুগ্রাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসানুল হক জানান, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করার অভিযোগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেশ কয়েক দিন ধরে তিনি এই তৎপরতা চলাচ্ছেন বলে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে।

25 July 2010

ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার পরিকল্পনা ছিল শিবিরের, রিমান্ডে নেতাদের দেওয়া তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বড় ধরনের নাশকতার প্রস্তুতি নিয়েছে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। নাশকতার পরিকল্পনার মধ্যে আছে মহাসড়ক অবরোধ করে হাজার পাঁচেক গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে এবং রেললাইনের স্লিপার তুলে ফেলে অন্তত এক মাসের জন্য ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও অন্যান্য স্থানের যোগাযোগব্যবস্থা অচল করে দেওয়া। এ জন্য অস্ত্র, বোমা ও বিস্ফোরক সংগ্রহ করেছেন শিবিরের নেতা-কর্মীরা। গত এক সপ্তাহে ঢাকা-রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা শিবির নেতা-কর্মীরা জিজ্ঞাসাবাদে এ রকম তথ্য দিয়েছেন বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র দাবি করেছে।

সূত্র জানায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ হাজার লোক জড়ো করে যানবাহন আটকে পাঁচ হাজার গাড়ির চাবি কেড়ে নেওয়া এবং রেললাইনের স্লিপার উপড়ে ফেলাসহ নানা পরিকল্পনার কথা ফাঁস করেছে আটক শিবির ক্যাডাররা। শিবিরের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক মিয়া মুজাহিদ জিজ্ঞাসাবাদে জানান, নাশকতার কাজে অর্থ সহায়তা করছেন মিশন গ্রুপের পরিচালক মীর সাখাওয়াত। এ ছাড়া রিমান্ডে থাকা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদও জিজ্ঞাসাবাদে শিবিরের পরিকল্পনা সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছেন। তিনি শিবিরের অনেক ক্যাডারের নামও প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রটি দাবি করেছে।

পুলিশ জানায়, দেশে হরতাল আহ্বান করার পরিকল্পনাও ছিল শিবিরের। শিবির নেতা মিয়া মুজাহিদ গোয়েন্দাদের জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সড়ক অবরোধ করে গাড়ির চাবি কেড়ে নেওয়ার মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। একই সঙ্গে ঢাকায় প্রবেশের অন্য পথগুলোতেও অবরোধের পরিকল্পনা ছিল। এমনকি রেল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য কিছু জায়গায় লাইন থেকে স্লিপার তুলে ফেলার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ নাশকতার পরিকল্পনা সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছেন। পরে পুলিশ অভিযানে নেমে শিবিরের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছে অনেক অবৈধ অস্ত্র আছে বলে গ্রেপ্তার হওয়া শিবির ক্যাডাররা স্বীকার করেছে। একটি অস্ত্র উদ্ধারও করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিছু বোমা তারা নষ্ট করে ফেলেছে বলে দাবি করলেও তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, তাদের সর্বশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া শিবির ক্যাডার আবদুল্লাহ ওমর নাসির ওরফে শাহাদত হোসেনের কাছ থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার হয়। ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শুক্রবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস-সংলগ্ন কাজলা এলাকা থেকে শাহাদতকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতেই ডিবির একটি দল রাজধানীর ৪৩/এ দক্ষিণ সায়েদাবাদে শিবিরের গোপন অফিসে অভিযান চালায়। ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় শিবিরের অফিস কাম মেসের ড্রয়িং রুম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। পরে টিভি-বাক্সের ভেতর থেকে ম্যাগাজিনসহ একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়। শাহাদত নিজে ঢাকায় এসে অস্ত্রটি দলের এক নেতার কাছে রেখেছিল বলে পুলিশকে তথ্য দেয়। ওই মেস থেকেই ফরিদুল কবীর নামের আরেক শিবির ক্যাডারকেও আটক করে পুলিশ।
ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার এস এম রফিকুল ইসলাম জানান, শাহাদত ভয়ংকর এক সন্ত্রাসী। উদ্ধার করা অস্ত্রটি সে-ই রাজশাহী থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে।

গোয়েন্দা পুলিশের আরেকটি সূত্র জানায়, জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুলনার সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ারের ভাই শিবিরের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক মিয়া মুজাহিদকে এর আগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মিয়া মুজাহিদ নাশকতার পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম। গোয়েন্দাদের তিনি জানান, নাশকতার কাজে অর্থ সহায়তা করেছেন মিশন গ্রুপের উদ্যোক্তা পরিচালক মীর সাখাওয়াত। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় মীর সাখাওয়াত এবং সাবেক শিবির নেতা শাকিল আহমেদ ও আবদুল্লাহ আল মাসুমকে। রিমান্ডে নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ।

20 July 2010

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: জোট সরকারের আট বছরে ২৩ কোটি টাকার দুর্নীতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আট বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ কোটি ২২ লাখ টাকার দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কার্যক্রম, শিক্ষা প্রকল্প এবং প্রকৌশল খাতে এসব দুর্নীতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে এ প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়েছে।

সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফাইসুল ইসলাম ফারুকী, অধ্যাপক এম আলতাফ হোসেন এবং উপউপাচার্য অধ্যাপক কে এ এম শাহাদত হোসেন মণ্ডল ও অধ্যাপক মামনুনুল কেরামত এসব দুর্নীতির জন্য দায়ী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক এম লুৎফর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রহিম, পিজিডি ইন আইটি প্রকল্প পরিচালক খাজা জাকারিয়া আহমেদ চিশতী এবং লিগ্যাল সেলের সহকারী রেজিস্ট্রার তাজুল ইসলামকেও দায়ী করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদনটি পাঠানো হবে বলে উপাচার্য জানিয়েছেন।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত প্রশাসনের দুর্নীতি তদন্ত করতে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এর আহ্বায়ক ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক এম এন্তাজুল হক। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়াও সেবাখাত ও অন্য খাতগুলোয় এসব অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। গত সোমবার এ প্রতিবেদন উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।'

জানা গেছে, তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০০৩ সালের এপ্রিল-মে মাসে কোনো ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই দলীয় বিবেচনায় ৫৫৩ জন কর্মচারীর নিয়োগ প্রদান করে। ২০০৯ সালের মে মাস পর্যন্ত এসব কর্মচারীর বেতন ভাতা বাবদ সাত কোটি তিন লাখ ৭৫ হাজার ৪৩৫ টাকা ব্যয় হয়। প্রতিবেদনে এটি অনিয়ম ও দুর্নীতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এসব নিয়োগের আগে কোনো মঞ্জুরি নেওয়া হয়নি। নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষ গ্রহণেরও অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিরোজা খাতুন নামের একজন কর্মচারী তদন্ত কমিটিকে জানান, কয়েকজনের চাকরির জন্য তিনি সাবেক উপউপাচার্য ড. শাহাদাৎ হোসেন মণ্ডলকে আট লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন। অবশ্য সাবেক প্রো-ভিসি কমিটির কাছে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এ ছাড়া উন্নয়ন ও পরিকল্পনা দপ্তরের অধীনে উন্নয়ন খাতে আট কোটি ৬১ লাখ ৪৩ হাজার টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে শহীদ হবিবুর রহমান হল পুনর্নির্মাণ, ৫০ শয্যার এমফিল ডরমেটরি এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে এসি সংযোজন বাবদ এ দুর্নীতি করা হয়েছে। ২০০০-০১ এবং ২০০৩-০৪ অর্থবছরে বই ও জার্নাল কেনার জন্য দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হলেও এ খাতে এক কোটি ৫২ লাখ টাকা খরচ করা হয়। প্রকৌশল দপ্তর হিসেবের বাইরে শুধু টিএসসি ভবন নির্মাণ বাবদ চার লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৩ টাকা খরচ করেছে। এ ছাড়া অন্য ১৭টি নির্মাণ কাজের জন্য এ দপ্তর দুই কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৪১৫ টাকা অবৈধভাবে পরিশোধ করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া প্রকল্প পরিচালকের গাফিলতির ফলে ২০০২-২০০৫ সালের মধ্যে পিজিডি ইন আইটি প্রোজেক্টে ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। লিগ্যাল সেল ১৪ লাখ টাকা বিভিন্ন জনকে অবৈধভাবে প্রদান করেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি সাবেক দুই উপাচার্যসহ অন্যদের কাছে কৈফিয়ত তলবের সুপারিশ করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম সোবহান বলেন, 'এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সুপারিশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।'

15 July 2010

জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির মামলা: রাজশাহীতে জামায়াত-শিবিরের ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বিক্ষোভের সময় ককটেল ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও জঙ্গি মিছিল করার অভিযোগে পুলিশ রাজশাহীর ছয় জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। গতকাল বুধবার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার এসআই ইমামুল হক রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ৩০ জুন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা ঢাকায় তাদের শীর্ষ তিন নেতার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজশাহীর সাহেববাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ অভিযোগে বোয়ালিয়া থানার এসআই মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার দিনই মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্তরা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।

যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে তাঁরা হলেন_মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আবু বকর সিদ্দিক, রাজপাড়া থানা আমির আব্দুল মালেক ও সেক্রেটারি মাহবুবুল আহসান, জামায়াতকর্মী ও রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ও ২ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি মোখলেসুর রহমান, ১ নম্বর ওয়ার্ড শিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ হাসান ও ২ নম্বর ওয়ার্ড শিবির সেক্রেটারি নাইমুল হক।

মহানগর পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক দেবেন্দ্রনাথ দাস জানান, মুখ্য মহানগর হাকিম আমিরুল ইসলাম গতকাল অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পরবর্তী শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেন।

দুই স্থানে জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মী আটক

প্রিয় দেশ ডেস্ক

নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের ছয় নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

নাটোর : জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ শীর্ষ নেতার মুক্তির দাবিতে নাটোরে বুধবার সকালে মিছিল শেষে শহরের ইসলামী হাসপাতালে গোপন বৈঠক করার সময় জামায়াতের শহর আমিরসহ পাঁচ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

নাটোরের পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, 'জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের হরিশপুর বাইপাস মোড়ে গ্রেপ্তারকৃত শীর্ষ ৫ নেতার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় পুলিশ শহর আমির আতিকুল ইসলাম রাসেল, কর্মী জামাল উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান এবং শিবিরকর্মী আবদুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর হাট এলাকা থেকে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে এন্তাজুল নামের এক জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।