নিজস্ব প্রতিবেদক
পাবনায় টানা তিন দিন তথ্যানুসন্ধান শেষে ঢাকায় ফিরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা আবদুস সুবাহান, মাওলানা ইসহাক, মাওলানা ইদ্রিসসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত নানা অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত সে সময়ে নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল সোমবার ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের কক্ষে এ প্রেস ব্রিফিং হয়। এতে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী জানান, তদন্তের অংশ হিসেবে গত ৪ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের চারজন আইনজীবীসহ সাত সদস্যের দল পাবনা এলাকায় যান। সেখানে তাঁরা ঈশ্বরদী, পাকশী, সাঁথিয়া, আতাইকুলাসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থিত বধ্যভূমি পরিদর্শন করেন। তদন্ত দলকে এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধীদের আস্তানা, টর্চার সেল ও ক্যাম্পগুলো ঘুরে-ফিরে দেখান। এ এলাকা থেকে ৫৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষীরা জানিয়েছেন, একাত্তরে এসব জায়গায় ৯৭৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নানা কায়দায় নির্যাতন ও হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হতো। সে সময় ৪০ জন নারীকেও ধর্ষণ করা হয়।
তদন্তকারী দলে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর আলী, আলতাফ উদ্দিন আহমেদ, আবদুর রহমান হাওলাদার, সৈয়দ হায়দার আলী, তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক, আলতাফুর রহমান ও ইদ্রিস আলী। প্রেস ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুসহ অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হায়দার আলী জানান, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সঠিক সময়েই প্রতিবেদন দেওয়া হবে। অন্যদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'চূড়ান্ত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলেই তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য আবেদন করা হবে।'
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন