নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | তারিখ: ১০-১১-২০১০
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের কলেজ শাখার সভাপতি, সেক্রেটারিসহ ছয়জনকে কলেজ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ শিবিরের আরও ৪১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৪৭।
কলেজ প্রশাসন সূত্র জানায়, কলেজের অধ্যক্ষ ওসুল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক হয়। প্রাথমিকভাবে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সর্বসম্মতভাবে তাঁদের সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন শিবিরের মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষার্থী নাসিফ রিয়াজুজ্জামান, সেক্রেটারি পঞ্চম বর্ষের সাজ্জাদ হোসেন, একই বর্ষের শিবিরকর্মী মারুফ শাহরিয়ার, চতুর্থ বর্ষের সাইফুদ্দিন খালেদ ও সালাউদ্দিন কাদের এবং তৃতীয় বর্ষের শাহরিয়ার শফিক।
এদিকে গত সোমবার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সিলেট নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় ২৮ জনকে। তাঁরা হলেন মো. ছালে আহমদ, মো. কামরুল হাসান, মো. সাহেদ আহমদ, মো. রফিকুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, ফয়জুর রহমান, ফয়েজ আহমদ, সাইফুর রহমান, ফারুক আহমদ, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. ছানা উল্লাহ, মো. মাসুদুর রহমান, মো. শফিকুল ইসলাম, ইসলাম উদ্দিন, আবদুল হান্নান, লায়েক হোসেন, কামরান হোসাইন, মো. মাহমুদুর রহমান, রাহাত নূর, মো. ইসলাম উদ্দিন, কামরান আহমদ, শামসির আহমদ, মাসুম খান, ইমতিয়াজ হোসেন, সেবুল উদ্দিন, মামুন খান, মো. মসুমুল হক, মো. আহবাবুর রহমান।
সিলেট কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক নারায়ণ দত্ত জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার রাতে দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি এবং মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ অপর মামলাটি করে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া ৩৪ জনকে এ দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে র্যা বের সদস্যরা গতকাল নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিবিরের আরও ১৩ জন কর্মীকে আটক করে। রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় তাঁদের সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আফজল হোসেন, কুদরতুল ইসলাম, মো. জাহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, জিয়াউদ্দিন, নজরুল ইসলাম, রাসেল আহমদ, শিহাবউদ্দিন, রেজাউল করিম, জাহিদুর রহমান, শাখাওয়াত হোসেন, আবদুল বাতেন ও আবুল হাসনাত।
কোতোয়ালি থানায় কর্তব্যরত উপপরিদর্শক (এসআই) রোকনউদ্দিন বলেন, আটক ১৩ জন শিবিরকর্মীকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন