10 August 2010

সিলেটে মিছিলে বাধার জের: জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বেধড়ক পেটাল পুলিশকে

সিলেট অফিস
'আমরা সচেতন সিলেটবাসী'র ব্যানারে গতকাল মঙ্গলবার সিলেট নগরীতে জামায়াত-শিবিরের বের করা জঙ্গিমিছিলে বাধা দিতে গিয়ে উল্টো বেধড়ক পিটুনির শিকার হয়েছে পুলিশ। নগরীর জিন্দাবাজারে বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশসহ আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।

ঘটনার পর পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করে। পুলিশের হাতে আটকরা হলেন_মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা ইমরান আহমদ, জয়নাল আবেদীন, ইয়াহইয়া ও মাওলানা জলিল উদ্দিন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গতকাল 'আমরা সচেতন সিলেটবাসী'র ব্যানারে বিরাট জঙ্গিমিছিল বের করে। রমজানকে স্বাগত জানিয়ে ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে মিছিলটি বের করা হলেও জামায়াত-শিবিরের লোকজন প্রথম থেকেই ছিল মারমুখী। তারা কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিকেলে জমায়েত হতে থাকে রেজিস্ট্রি মাঠে। পুলিশ শুরুতে বাধা দিলেও বাধা উপেক্ষা করে তারা সুরমা পয়েন্ট থেকে মিছিল বের করে।

মিছিলটি জিন্দাবাজারের সোনালী ব্যাংকের সামনে আসার পর পুলিশ আবারও বাধা দেয়। কিন্তু মিছিলকারীরা এগোতে থাকলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। এ সময় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরাও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা পুলিশ সদস্যদের ধরে কিল-ঘুষি মারে, ইট দিয়ে আঘাত করে এবং বেধড়ক পেটায়। হামলায় চার পুলিশ ও সাতজন পথচারী আহত হয়।

আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি টিয়ার সেল ছোড়ে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সোনালী ব্যাংকের করপোরেট শাখা ভবন ও একটি টেম্পো ভাঙচুর করেছে। সংঘর্ষের সময় জিন্দাবাজার ও বন্দর বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। পথচারীরা ভয়ে এদিক-ওদিক ছুটতে থাকে।

ঘটনার পর পুলিশ হামলাকারীদের ধরতে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যা ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত ছিল। কোতোয়ালি থানার ওসি খন্দকার নওরোজ আহমদ পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, 'আমরা পাঁচজনকে আটক করেছি।'

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন