5 August 2010

কিছু বিদেশির কারণে উত্তরা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি: ঢাকায় পরবাসে অপকর্ম!

পারভেজ খান

রাজধানীর উত্তরা এলাকাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য 'ভীষণভাবে হুমকিস্বরূপ' হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। হুমকির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এখানে আফ্রিকা ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের বসবাসকারীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা থেকে শুরু করে দেশদ্রোহের অভিযোগও। ফলে ৫০টি বাড়ির ওপর রাখা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। সম্প্রতি র‌্যাব এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে উত্তরার বাড়ির মালিকদের। বিদেশি ভাড়াটিয়াদের ব্যাপারে বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে তথ্যও চেয়েছে র‌্যাব। তবে অনেক বাড়ির মালিকই এখনো তথ্য সরবরাহ করেননি বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তরা থেকে ৭০ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল টাকা ও ডলার এবং এসব ছাপানোর যন্ত্রপাতিসহ ক্যামেরুনের নাগরিক ইসোমো হাসান ও ফিলিপাইনের নাগরিক (মহিলা) লিজা হারনানডেজকে র‌্যাব-১ গ্রেপ্তার করেছে। গতকালই তাদের উত্তরা র‌্যাব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। ইসোমো কালের কণ্ঠকে জানায়, সে ১৪ দিনের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসায় ঢাকায় এসেছিল। ৭ মার্চ তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়। এর পরও সে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করে আসছিল। লিজা তার কোনো পাসপোর্টই দেখাতে পারেনি। তাদের চক্রে ইব্রাহিম মাদি ও ফোয়ান ফেলিক্স রুবেন নামের আরো দুজন সদস্য (ক্যামেরুনের নাগরিক) আছে বলে ইসোমো ও লিজা জানায়। ওই দুজনের ভিসার মেয়াদও শেষ বলে জানায় লিজা।
নজর ৫০ বাড়িতে : র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মোহাম্মদ সোহায়েল কালের কণ্ঠকে জানান, বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বিদেশি নাগরিকদের নথিপত্র তল্লাশি করে দেখা গেছে, তাদের ৯৫ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। তিনি আরো জানান, উত্তরা এলাকায় যারা অবৈধভাবে অবস্থান করছে, তারা প্রায় সবাই বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মধ্যে জঙ্গি সম্পৃক্ততাও আছে বলে র‌্যাবের কাছে অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকার প্রায় ৫০টি বাড়ির ওপর তাদের নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করে এ অভিযোগের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য কাজ করছেন র‌্যাব কর্মকর্তারা।
নগরীর উত্তরা, গুলশান, বনানী ও বারিধারায় অনেক বিদেশি নাগরিকের বাস। তবে এর মধ্যে বেশি বিদেশি নাগরিকের বসবাস উত্তরায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, উত্তরা এলাকায় প্রায় এক হাজার বিদেশি নাগরিক বসবাস করে। তাদের অধিকাংশই পাকিস্তানি ও আফ্রিকার বিভিন্ন এলাকার নাগরিক। এই অবৈধ বসবাসকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ২০০ জনের মতো রয়েছে, যাদের ভিসার মেয়াদ দীর্ঘদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে। উত্তরায় তাদের আবাসিক বাড়ি (ভাড়া করা) রয়েছে ১০০-র মতো। তারা রাস্তাঘাটে স্বাভাবিক অবস্থায় ধরা পড়লে বলে পাসপোর্ট বাসায় রেখে এসেছে বা হারিয়ে গেছে। কখনো বলে, পাসপোর্ট অ্যাম্বেসিতে আছে। বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তাদের সঙ্গে কঠোর হওয়া সম্ভব হয় না। এ ছাড়া তারা অধিকাংশই ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না। তাদের আচরণও অতিউগ্র।
গোয়েন্দাদের ধারণা, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া এসব বিদেশি নাগরিকের একটি অংশের সঙ্গে হরকাতুল জিহাদ ও জেএমবিসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই তারা যেকোনো সময় বড় ধরনের সহিংস ঘটনাও ঘটাতে পারে।
উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর রোডে গতকাল কথা হয় ক্যামেরুনের দুই নাগরিক লাটিমো হাসাইন ও জেরিখ আল-আমিনের সঙ্গে। তাঁরা জানান, তাঁরা বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছেন। লাটিমো জানান, গত ৪ মে তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। চেষ্টা করছেন ভিসার মেয়াদ বাড়াতে। জেরিখের কাছে তাঁর এ দেশে আসার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত ও মারমুখী হয়ে ওঠেন।
উত্তরা আবাসিক এলাকার ১৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির নিরাপত্তা কর্মকর্তা আকতার হোসেন জানান, এই বিদেশি নাগরিকদের আচরণ আর তাদের নানান অনৈতিক কর্মকাণ্ড অসহনীয় পর্যায়ে এসে পেঁৗছেছে। প্রতিরাতেই তারা মদ্যপ অবস্থায় এলাকায় হৈচৈ করে পরিবেশ নষ্ট করে। এ ছাড়া নারীঘটিত নানান কেলেঙ্কারি তো রয়েছেই। কাউকে কিছু বলতে গেলেই মারমুখী হয়ে ওঠে। এলাকার আরো কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী জানান, রাতের বেলায় উত্তরার প্রতিটি অলিগলি এই মদ্যপ বিদেশি নাগরিকদের (কৃষ্ণাঙ্গ) দখলে চলে যায়। তারা রিকশা ও ট্যাক্সিচালকদের মারধর করে এবং টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। আর বিভিন্ন বাসায় তারা একত্রিত হয়ে রাতভর হৈচৈ করে।
তথ্য চেয়ে চিঠি : গত ৭ জুলাই র‌্যাব উত্তরার ১, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর সেক্টরের বাড়ির মালিকদের সংগঠনের কর্মকর্তাদের একটি চিঠি দিয়েছে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১-এর উপপরিচালক আহসানুল কবীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, চিঠিটি 'বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তার হুমকিস্বরূপ বিদেশিদের (বিশেষত আফ্রিকান ও পাকিস্তানি) অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত হওয়া প্রসঙ্গে।'
চিঠিতে বলা হয়, 'গোয়েন্দা নজরদারি এবং বিভিন্ন সূত্র মারফত খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই বিদেশিদের বেশির ভাগই বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক (সাইবার ক্রাইম, প্রতারণা, হয়রানি, মারামারি, চুরি, চোরাচালান, জাল টাকার ব্যবসা, এনজিওর অন্তরালে দেশদ্রোহী কাজ, নারী পাচার, ধর্মান্তরিত করা ও দেশের প্রচলিত আইন না মেনে চলা) এবং অসামাজিক কার্যক্রমে ( মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন, দেহ ব্যবসা, দেশি সংস্কৃতির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করা, বাড়ির মালিক ও কেয়ারটেকারদের সঙ্গে অশোভন আচরণ) জড়িয়ে পড়েছে। ...তাদের এসব কার্যকলাপ ভীষণভাবে নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।'
চিঠিতে বলা হয়েছে, 'উল্লেখ্য, অত্র এলাকায় বসবাসরত বিশেষত বেশির ভাগ আফ্রিকান নাগরিক অত্যন্ত উগ্র মেজাজের এবং নিয়মনীতির পরিপন্থী সব ধরনের অপকর্মে লিপ্ত বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরে অবস্থানরত অনেক বিদেশির পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ (বিশেষ করে আফ্রিকানদের) হওয়া সত্ত্বেও তারা অবৈধভাবে বিভিন্ন বাসায় বসবাস করছে, যা প্রচলিত আইনবহির্ভূত।' বাড়ির মালিকদের উদ্দেশে চিঠিতে বলা হয়, 'আপনাদের বাড়িতে অবস্থানরত সব বিদেশির নাম, পেশা, পাসপোর্টের মেয়াদ ও ছবিসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র অত্র ব্যাটালিয়নে প্রদান ও তৎপরবর্তীতে অত্র এলাকায় নতুন কোনো বিদেশি বাসা ভাড়া নিতে এলে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে উপযুক্ত নথিপত্র প্রেরণের জন্য সবিনয় অনুরোধ করা হলো।'
র‌্যাবের মহাপরিচালক খন্দকার হাসান মাহমুদ কালের কণ্ঠকে জানান, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি তাদের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থাও এ সমস্যা চিহ্নিত করেছে। এসব অবৈধ বসবাসকারী যে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তার অনেক প্রমাণও হাতেনাতে পাওয়া গেছে এবং ধরাও পড়ছে অনেকে। শুধু উত্তরাবাসী নয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
নেই নজরদারি : বিদেশ থেকে কেউ বাংলাদেশে এলে সে কোথায় অবস্থান করছে, কী করছে, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কেউ অবস্থান করছে কি না_এসব দেখাশোনার দায়িত্ব পুলিশের বিশেষ শাখার সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের। র‌্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মূলত এই শাখা নামেই আছে, বাস্তবে তাদের কোনো কর্মকাণ্ড আছে বলে মনে হয় না। তদারকি বা নজরদারি থাকলে এমনটি হওয়ার কথা নয়।
এ ব্যাপারে সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের দায়িত্বরত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, সীমিত লোকবল নিয়ে হলেও তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করে আসছেন। বিদেশি নাগরিকদের ব্যাপারে তাঁদের মাঠপর্যায়ে কাজও চলছে।
মালিকদের সাড়া কম : উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আনসার খান কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকারের এ উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। এটি উত্তরাবাসীর একটি সমস্যাও বলা চলে। তিন নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন বাড়ির মালিককে বিদেশি ভাড়াটিয়াদের ব্যাপারে গত ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আনুষঙ্গিক কাগজপত্র পাঠাতে বলা হয়েছিল। অনেকেই পাঠিয়েছেন, তবে সবাই পাঠাননি। এখনো এ ব্যাপারে কাগজপত্র নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উত্তরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও বাড়ির মালিক সাবেক সচিব মইন উদ্দীন আহমেদ গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি নিজেও এক বিদেশি দম্পতিকে (লুসাকার) বাড়ি ভাড়া দিয়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের চালচলন, কথাবার্তা সবই ছিল রহস্যঘেরা আর সন্দেহজনক। ফলে তিনি তাদের উঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানান।
উত্তরায় বাড়ি আছে এমন একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদেশি নাগরিকদের কাছে বাড়ি ভাড়া দিলে তুলনামূলক বেশি ভাড়া পাওয়া যায়_এ আশায়ই তাঁরা অনেকে বিদেশি নাগরিকদের কাছে বাড়ি ভাড়া দেন। কিন্তু দেওয়ার পরই তাঁরা বুঝতে পারেন, সর্বনাশ যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। তাদের কাছে পাসপোর্ট আর ভিসার কাগজ চাইতে গেলে তারা মারমুখী হয়ে ওঠে এবং অনেক সময় হাতাহাতিও হয়।
স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আওরঙ্গজেব মাহবুব গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক মনিটর করে নিয়মিত তালিকা করে থাকে। ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার অভিযোগে প্রতি মাসেই ১৫-২০ জন বিদেশি নাগরিককে তালিকাভুক্ত করে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এ ছাড়া পাসপোর্ট আইনে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয় বলে তিনি জানান।
এদিকে তথ্য চেয়ে বাড়ির মালিকদের চিঠি দেওয়া হলেও পর্যাপ্ত সাড়া পাওয়া যায়নি। র‌্যাব-১-এর উপপরিচালক মেজর আহসানুল কবীর গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, এ সমস্যা যেকোনো সময় জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। দেশ বা রাষ্ট্রের স্বার্থেই তাঁরা উত্তরার বিভিন্ন সমিতি কর্মকর্তাদের তাঁদের এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের ব্যাপারে তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তাঁদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বাদল ও সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান তালুকদার কালের কণ্ঠকে জানান, র‌্যাবের চিঠি পেয়ে তাঁরাও এলাকার প্রতিটি বাড়িতে একাধিকবার করে নোটিশ করেছেন। বেশির ভাগ বাড়িওয়ালা সাড়া দিচ্ছেন না। ১১ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, র‌্যাবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরাও সমিতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন বাড়ির মালিককে পৃথক চিঠি দিয়েছেন।
উত্তরা থানার ওসির সামনেই গতকাল শ্যামল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা এ প্রতিবেদককে জানান, কৃষ্ণাঙ্গরা এলাকায় প্রায়ই ছিনতাই করে। কিছুদিন আগেও তারা সোহেল নামের এক ছাত্রকে মারধর করে তাঁর মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এলাকার একটি আবাসিক হোটেল ছিল এ কৃষ্ণাঙ্গদের আড্ডাস্থল। পরে স্থানীয় মসজিদ কমিটি এ হোটেলটি বন্ধ করে দিয়েছে।

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন