11 August 2010

পল্টনে জামায়াত কার্যালয় থেকে ২৫ কর্মী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর নয়াপল্টনে জামায়াতে ইসলামীর মহানগর অফিসে অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার ভোরে জামায়াত ও শিবিরের ২৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সেখানে রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে।
পল্টন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, জামায়াতের মহানগর কার্যালয়ের নিচতলায় অভিযান চালিয়ে ওই ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা গত ১ ও ৩ জুলাই পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। ওই সব ঘটনায় পল্টন থানায় আলাদা দুটি মামলায় হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের অনেকেই ওই সময় ভাঙচুর, অগি্নসংযোগের সঙ্গে জড়িত ছিল। গতকাল দুপুরেই তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।
ওসি আরো বলেন, 'কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে রাতে এত লোক থাকতে পারে_এটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। নাশকতার উদ্দেশ্যেই হয়তো তারা সেখানে জড়ো হয়েছিল।'
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কয়েক দিন ধরেই জামায়াতের মহানগর কার্যালয়ে রাতে কর্মীদের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল। এ কারণে ওই এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। পরে গতকাল ভোরে অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ইকবাল হোসেন, শাহাদত হোসেন, আ. খালেক, শেখ কাওসার, দেলোয়ার হোসেন, নাহিদ জামাল, জসিম উদ্দিন, হুমায়ুন কবির, ইউসুফ, আবুল হোসেন, নুরুন্নবী, মোসলেম উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, ইনছান আলী, আলমগীর, আ. মান্নান, লুৎফর রহমান, সাইদুর রহমান, হাদিউল, কামাল, আ. মান্নান, তবিবুর রহমান, মাইনুদ্দিন, সুলতান আহমেদ ও শাহাদত। গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছে, রমজান উপলক্ষে আলোচনা করতে তারা দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয়েছিল। তবে দলীয় কার্যালয়ে রাত কাটানোর ব্যাপারে তারা সদুত্তর দিতে পারেনি।
এদিকে দলের কার্যালয়ে পুলিশের তল্লাশি ও ২৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম। এক বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, সকাল ৭টায় প্রায় অর্ধশত পুলিশ অফিসে ঢুকে দলের সাংগঠনিক বৈঠক থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। অথচ তল্লাশি চালিয়ে তারা কোনো কিছুই পায়নি।
আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, গ্রেপ্তারকৃত ২৫ নেতা-কর্মীকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ তাদের গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা, বেআইনি মিছিল সমাবেশ করার মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। মহানগর হাকিম মোস্তফা শাহরিয়ার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশি প্রতিবেদনে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বড় ধরনের কোনো নাশকতা ঘটাতে তারা জামায়াতের মহানগর কার্যালয়ে জড়ো হয়েছিল।

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন