নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের হালিশহরে শিবিরের ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতকানিয়ার এমপি শামসুল ইসলামসহ শীর্ষ দুই জামায়াত নেতা ও দুই ব্যবসায়ীকে খুঁজছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই চারজনের জড়িত থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা নিশ্চিত হয়েছি, শীর্ষস্থানীয় জামায়াত নেতা ও সমবায় সিঙ্গাপুর মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কয়েকজন নেতার ইন্ধনে এ হামলা হয়েছিল। এসব ইন্ধনদাতাকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নগর জামায়াতের আমির ও সাতকানিয়ার এমপি শামসুল ইসলাম, নায়েবে আমির অধ্যাপক আহসান উল্লাহ, সমবায় সিঙ্গাপুর মার্কেটের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন এবং মাওলানা সিএনজির মালিক মোহাম্মদ আসরারকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিতে শামসুল ইসলাম এমপি, অধ্যাপক আহসান উল্লাহ, অধ্যাপক মফিজুর রহমানকে 'থিংক ট্যাংক' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের নির্দেশেই পরিচালিত হয় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি।
প্রসঙ্গত রবিবার বিকেলে জামায়াত ও শিবিরের কয়েক শ কর্মী নগরীর হালিশহর এলাকায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় হালিশহর ও ডবলমুরিং থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে রেস্টুুরেন্ট থেকে গ্রেপ্তারের ঘটনা সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে শিবির। গতকাল বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে শিবির জানায়, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পরিচালিত ডিএনএ ভর্তি কোচিং সেন্টার নবীনবরণের আয়োজন করেছিল। এমনকি প্রকাশ্যে ব্যানার টানিয়ে অনুষ্ঠানও করেছিল তারা। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতাদের ইন্ধনে পুলিশ সেখানে হামলা চালিয়ে অধ্যাপক মফিজুর রহমানসহ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এটি কোনো গোপন বৈঠক ছিল না বলে তাঁরা দাবি করেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে খুলশীর অভিজাত রেস্টুরেন্ট তাবা থেকে গ্রেপ্তারকৃত শিবির কর্মীদের মধ্যে ১০ জনকে ডবলমুরিং থানায় দায়েরকৃত গাড়ি ভাঙচুর ও ১৫ জনকে পাঁচলাইশ থানার গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন