12 July 2010

নওগাঁ এলজিইডির বিরুদ্ধে নিয়ম না মানার অভিযোগ, পাঁচ কোটি ৬২ লাখ টাকার কাজ পেল জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় নিয়ম-নীতি না মেনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পাঁচ কোটি ৬২ লাখ টাকার কাজ এক জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ ঠিকাদাররা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামকে অভিযুক্ত করেছেন। প্রকৌশলী ও কাজ পাওয়া ঠিকাদার উভয়ই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

স্থানীয় ঠিকাদারদের সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর পত্নীতলা, ধামইরহাট, নিয়ামতপুর ও সদর উপজেলার সড়ক সংস্কারের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পাঁচ কোটি ৬২ লাখ টাকার টেন্ডার আহ্বান করে। টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় ছিল ১৬ থেকে ২৮ মার্চের মধ্যে। সে অনুযায়ী আতাউর রহমান খান, ফজলুর রহমান, সাঈদ হাসান, ইথেন এস আই জে ভি হোসেন এন্টারপ্রাইজ, শাহাদাত হোসেনসহ আটটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশ নেয়। গত ২৯ মার্চ টেন্ডার বাক্স খোলা হলে সর্বনিম্ন দরদাতা হয় ইথেন এস আই জে ভি প্রতিষ্ঠান। দরপত্র দাখিলের প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হলেও ওই প্রতিষ্ঠানের নামে কার্যাদেশ ইস্যু না করায় লিখিত অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীকে জানিয়ে দেন, প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশে মেসার্স আতাউর রহমান খানকে কাজ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ ঠিকাদাররা বিষয়টি জানতে পারলে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ঠিকাদাররা গোপনে বরাদ্দ দেওয়া কাজের টেন্ডার বাতিল করে আবার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টেন্ডার আহ্বানের দাবি জানান।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আতাউর রহমান খান বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের একজন পরিচালক ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা। জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইথেন এস আই জে ভির স্বত্বাধিকারী ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল বলেন, 'লিখিত অভিযোগ করেছি। সুরাহা না হলে আইনের আশ্রয় নেব।' এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, 'চার কোটি টাকার বেশি অঙ্কের কাজের সিদ্ধান্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। তবে টেন্ডারের অঙ্গীকার ফরম যারা পূরণ করেননি, তাঁদেরটা বাতিল করা হয়েছে।'

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন