নিজস্ব প্রতিবেদক
মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজধানীর পল্লবীর দুয়ারীপাড়ার গণহত্যার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রমনা থানায় দায়ের হওয়া ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল শনিবার বিকেলে নিজামীকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর গণহত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. নূরুল ইসলাম সিদ্দিকী তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানালে মহানগর হাকিম মোয়াজ্জেম হোসেন পাঁচ দিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ ছাড়া হাকিম শামীমা পারভীন উত্তরা থানার মামলায় গত ৩০ জুন মঞ্জুর হওয়া তিন দিনের রিমান্ডে নিজামীকে নেওয়ার ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছেন। উত্তরা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণহত্যা মামলায় জামায়াত আমিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে জেএমবির শীর্ষ নেতা সাইদুর রহমানের পাশাপাশি শুক্রবার রাতে জেএমবির বর্তমান প্রধান ভাগ্নে শহীদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সাইদুরের মুখোমুখি করার পর ভাগ্নে শহীদ জানায়, ঢাকায় বোমারু মিজান গ্রেপ্তার হলে সে নিজের কাছে থাকা বিস্ফোরক ও বোমা পানিতে ফেলে দেয়। মুজাহিদের মুখোমুখি করা হলে ভাগ্নে শহীদ দাবি করে, জামায়াত নেতাদের নির্দেশেই সে জেএমবিতে যোগ দিয়েছিল। নিজেকে শিবিরের সাবেক বড় নেতা দাবি করে শহীদ বলে, বাংলা ভাইকে বাঁচাতে নিজামী বলেছিলেন, বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি। এর পর দিনই শহীদ জামায়াত নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিল।
জেএমবি নেতা সাইদুর রহমানকে গতকাল আরো তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। কদমতলী থানায় সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নতুন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে একই মামলায় ১২ জুলাই তাকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন