নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৪-০৭-২০১০
রাজধানীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা করা হয়েছে। দৈনিক বাংলা মোড়ে শিবিরের হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ফকিরেরপুল এলাকায় ফুটপাতের ব্লক ভেঙে সেগুলো দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছেন শিবিরের কর্মীরা।
গতকাল শনিবার বিকেলে এসব ঘটনা ঘটে। দুটো ঘটনাতেই শিবিরের কর্মীরা আশপাশের গলি থেকে মিছিল বের করে মুহূর্তে ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যান।
জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতার মুক্তির দাবিতে গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে শিবিরের সভাপতি রেজাউল করিম গতকালের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। শিবির জানিয়েছিল, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তারা পল্টন মোড় থেকে মিছিল বের করবে। কিন্তু সেটি না করে দৈনিক বাংলা ও ফকিরেরপুলের গলিতে অবস্থান নেন শিবিরের কর্মীরা।
এসব বিষয়ে জানতে শিবিরের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘পুলিশের কারণে তাঁরা পল্টনে মিছিল করতে পারেননি।’
বিকেল চারটা ৩৫ মিনিটের দিকে দৈনিক বাংলা মোড়ের কাছে জনতা ব্যাংকের সামনের গলি থেকে শিবিরের কয়েকজন কর্মী মিছিল বের করেন। মুহূর্তেই আশপাশের গলি থেকে কয়েক শ শিবিরের কর্মী মিছিলে যোগ দেন। মিছিলে অংশ নেওয়া শিবিরের এক কর্মী এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তার ঘাড়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। তাঁর ঘাড় দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তেই শিবিরের কর্মীরা দৌড়ে আশপাশের বিভিন্ন গলি দিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান।
ওই এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল আবুল বাসার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মতিঝিল গোলচত্বর থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত আমাদের ডিউটি আছিল। হঠাৎ দেখলাম একটা মিছিল আসছে। তারা খালি দৌড়াইতেছিল। এর মধ্যে আমাদের এক এসআইরে লাঠি দিয়া পিটা দিছে না কি ইটা দিছে, বুঝলাম না। তাঁর ঘাড় দিয়া রক্ত বের হচ্ছিল। এরপর তারা দৌড়ায়্যা চলে গেছে।’
বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ফকিরেরপুল মোড়ে গিয়ে রাস্তায় এখানে-ওখানে ফুটপাতের ভাঙা ব্লক পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন জানিয়েছেন, শিবিরের কর্মীরা ফুটপাত থেকে এসব ব্লক তুলে সেগুলো ভেঙে পুলিশের ওপর হামলা করেছিলেন।
ওই এলাকায় ফুটপাতে ব্যবসা করেন অহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘দেখলাম তারা (শিবিরের কর্মী) আইস্যা দাঁড়াইল। একজন বক্তব্য দিল। হেরপর পুলিশ তাগো ধাওয়া দিল। তারা এইদিকে আইস্যা ইট (ফুটপাতের ব্লক) ভাঙাভাঙি শুরু করল। এরপর হেইগুলি দিয়া পুলিশের ওপর মারল। পরে দৌড়াইয়া চলে গেল।’
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন