নিজস্ব প্রতিবেদক
সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলসংক্রান্ত উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, জামায়াত দেশে জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে, তাদের সংগঠিত করছে। কোনো অবস্থাতেই তাদের এ দেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। এ দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির চির অবসান ঘটানো হবে।
গতকাল শনিবার শেখ রাসেল মেমোরিয়াল একাডেমীর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত বাস্তবায়ন, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ও বিরোধী দলের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভায় আইন প্রতিমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন।
একাডেমীর সভাপতি ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল বারকাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, শেখ রাসেল মেমোরিয়াল একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রাজিয়া মোস্তাফা বক্তব্য দেন।
জামায়াতের শীর্ষ পাঁচ নেতার গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে কামরুল ইসলাম বলেন, 'এর মধ্যে কয়েকজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অচিরেই তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে এবং এ বছরের মধ্যেই চিহ্নিত ঘাতকদের বিচার কার্যক্রম শেষ করা হবে।' তিনি বলেন, 'যারা চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী তাদের বিচার আগে এবং দ্রুত করা হবে। সে যে দলের, যত বড় নেতাই হোক। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।' আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্তর্জাতিক মানের হবে। বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে না। সরকার সেভাবেই কাজ করছে।
বিএনপির সমালোচনা করে কামরুল ইসলাম বলেন, তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য তারা নানা চেষ্টা করছে।
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন