আদালত প্রতিবেদক | তারিখ: ০৫-০৭-২০১০
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কেরানীগঞ্জ থানার দুই মুক্তিযোদ্ধা হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলায় জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে গতকাল রোববার ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। গতকাল এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
আদালত ২ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও নিজামীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত থেকে নিজামীকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এই মামলায় জামায়াতের অন্য দুই নেতা মুজাহিদ ও সাঈদীকে তিন দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, অন্য একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে রিমান্ড শেষ হলেও তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়নি।
পাঁচটি মামলায় এ তিন নেতার ১৭ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে গাড়ি পোড়ানো ও হত্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শমসের মবিন চৌধুরীর এক দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ আদেশ দেন।
রমনা থানার পুলিশ শমসের মবিনকে ১ জুলাই আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল। আদালত গতকাল শমসের মবিনের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন।
শমসের মবিনের আইনজীবীরা গতকাল রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফিজুর রহমান এর বিরোধিতা করে আদালতকে বলেন, হরতালের নামে হত্যা এবং এর পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন শাখার (জিআরও) উপপরিদর্শক (এসআই) রতন শেখ প্রথম আলোকে বলেন, এর আগে গত ৩০ জুন এই মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চার দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন আদালত। তবে এ মামলায় এখনো তাঁদের রিমান্ডে নেওয়া হয়নি। রতন শেখ আরও জানান, বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাসকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন রয়েছে। মির্জা আব্বাস অসুস্থ থাকায় তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন