1 July 2010

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়পরীক্ষার ফরম পূরণ করছে ফারুক হত্যা মামলার আসামিরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হল শাখা শিবিরের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তহিরুল ইসলাম। তাঁরা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারুক হত্যা মামলার আসামি। ফরম পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হয়নি। আসামিরা কেউ সশরীরে আসেননি। হল প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক তাঁদের ফরম পূরণে সহযোগিতা করেন।

মাদার বখশ হল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান শিবিরের হল শাখার সভাপতি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র সাখাওয়াত হোসেনের ফরম পূরণ করতে হলে আসেন। কিন্তু হলের সেকশন অফিসার অসিত কুমার সরকার এতে সহায়তা করেননি। গতকাল বুধবার আরবি বিভাগের দুজন এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের একজন শিক্ষক হল শাখা শিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরীক্ষার ফরম নিয়ে হলে আসেন। পরে হলের প্রাধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন হাওলাদারের নির্দেশে আবাসিক শিক্ষক এস এম ফারুক হোসাইন স্বাক্ষর করলে ফরম পূরণের কাজ সম্পন্ন হয়। সাধারণ সম্পাদক তহিরুল ইসলামও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। ফরম পূরণে সহায়তাকারী শিক্ষকরা হলেন_আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিলাল হুসাইন ও নেছার উদ্দিন এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ-আল-মামুন

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের নিশ্চিত করেছেন, সাখাওয়াত ও তহিরুল দুজনই ফারুক হত্যা মামলার আসামি। তিনি বলেন, পুলিশ তাঁদের অনেক দিন ধরে খুঁজছে।

এ ঘটনায় মাদার হল শাখা ছাত্রলীগ প্রাধ্যক্ষর পদত্যাগ এবং ওই তিন শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে। ছাত্রলীগ রাবি শাখার সভাপতি আওয়াল কবির জয় ও সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'হল প্রশাসনের সহযোগিতা করার বিষয়টি খুবই হতাশাজনক।'

আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিলাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ বিষয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ-আল-মামুন ভালো বলতে পারবেন।'

আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, 'ওই দুই ছাত্রের অনুরোধের ভিত্তিতেই আমরা হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। হল প্রাধ্যক্ষ ফরম পূরণের বিষয়ে যেভাবে কাজ করতে বলেছেন আমরা সেভাবেই করেছি।'

হত্যা মামলার আসামিদের সহযোগিতার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'আমরা আসলে আইনকেই সহযোগিতা করেছি। কেননা ওই ছাত্ররা পরীক্ষা দিতে এলে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারবে।'

আবাসিক শিক্ষক এস এম ফারুক হোসাইন বলেন, 'প্রাধ্যক্ষর নির্দেশে আমি ফরমে স্বাক্ষর করেছি।'

এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন হাওলাদারের মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন