চট্টগ্রামে গতকাল বুধবার পূর্বনির্ধারিত সময় ও স্থান পরিবর্তন করে আকস্মিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াত। মিছিলকারীরা তাদের তিনজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানায়। গ্রেপ্তার এড়াতে এ কৌশল নেওয়া হয় বলে নেতা-কর্মীরা জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) প্রকৌশলী বনজ কুমার মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের কাছে তথ্য ছিল, জামায়াত বিকেলে আন্দরকিল্লা মোড়ে মিছিল করবে। কিন্তু হঠাৎই তারা দুপুরে প্রবর্তক মোড়ে মিছিলের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে তখন কাউকে পাওয়া যায়নি।'
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের শতাধিক নেতা-কর্মী প্রবর্তক মোড়ে জড়ো হয়। দ্রুত মিছিল শেষে বক্তব্য দিয়ে তারা সটকে পড়ে। এর পরপরই পুলিশ পেঁৗছে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বক্তব্য দেন শাহজাহান চৌধুরী, মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, ডা. মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান ও আবদুল জব্বার।
সভায় নেতারা বলেন, সভা-সমাবেশ করা ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে জামায়াত-শিবিরকে বাধা দিয়ে সংবিধান ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। তাঁরা বলেন, সরকার পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ জনসমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়ে জনদৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যই মামলা দিয়ে নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। তাঁরা অবিলম্বে জামায়াত নেতাদের মুক্তি দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জামায়াত নেতা বলেন, 'এই কৌশল না নিলে জামায়াত নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালাত। আমাদের আটক করে মামলা দিত।'
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন