নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা | তারিখ: ১৩-০৬-২০১০
শ্রেণীকক্ষে রোলকলের সময় হাজিরা দেওয়া ও পরবর্তী সময়ে হুমকি দেওয়ার জের ধরে খুলনা মেডিকেল কলেজে আবারও ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং পুলিশের লাঠিচার্জের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে চার নম্বর লেকচার গ্যালারির সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনার পর ছাত্রলীগ প্যাথলজি বিভাগের এক শিক্ষককে শিবিরের মদদদাতা চিহ্নিত করে তাঁর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন। অন্যদিকে শিবিরের পক্ষ থেকে সাধারণ ছাত্রদের মারধরের বিচার ও নির্বিঘ্নে ক্লাস করতে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
শিবিরের কর্মীরা অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করলে ছাত্রলীগ তাঁদের ঘেরাও করে। পরে পুলিশ শিবির কর্মীদের নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে প্যাথলজি বিভাগের শিক্ষক আবু সাঈদকে শিবিরের মদদদাতা চিহ্নিত করে তাঁর অপসারণ ও শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
প্রায় দুই ঘণ্টা পর দুপুর একটায় পুলিশের পাহারায় শিবির কর্মীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় পেছন থেকে ছাত্রলীগ কর্মীরা ধাওয়া করলে শিবির কর্মীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেট থেকে ছাত্রলীগের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
পুলিশ শিবির কর্মীদের হটিয়ে দিলে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালায়। এ সময় পুলিশ তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি চয়ন বিশ্বাসসহ প্রায় ১৫ জন আহত হন।
অধ্যক্ষ কাজী হামিদ আসগার প্রথম আলোকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলরের বৈঠকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন