রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | তারিখ: ০৮-০৬-২০১০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রশিবিরের সশস্ত্র হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল সোমবার ছাত্রশিবিরের আট কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে ছাত্রলীগের কর্মীরা মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শহীদুল্লাহ কলাভবনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের একটি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার হলে ছাত্রশিবিরের ১০-১৫ জন কর্মী পরীক্ষা দিচ্ছেন—এমন তথ্য পেয়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী কলাভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন। পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হওয়ার পর ছাত্রলীগের কর্মীরা শিবিরের কর্মী ফারুক, করিম ও বায়েজিদকে আটক করে পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ছাড়া পুলিশ ছাত্রশিবিরের কর্মী হাসান-উজ্জামান, শামীম, আবুল কালাম, হাবিবুল্লাহ ও ইসহাককে আটক করে। তাঁদের মতিহার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটক ব্যক্তিরা সবাই ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আওয়াল কবির বলেন, ‘ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিবির কর্মীদের মারধর করে থাকতে পারে।’
এ ব্যাপারে ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, ‘আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কারও বিরুদ্ধে ৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রশিবিরের সশস্ত্র হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হোসেন নিহত হন। ছাত্রশিবির ওই রাতে ছাত্রলীগের অপর চারজন কর্মীর হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। ছাত্রশিবির ওই রাতে হামলা চালিয়ে পুলিশসহ ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতা-কর্মীকে আহত করার পাশাপাশি ছাত্রলীগের অনেক কর্মীর কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে।
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন