4 May 2010

বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতাঃ দিগন্ত মিডিয়ার নামে বিপুল অর্থ পাঠিয়েছেন মীর কাসেম আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ওঠার পর দেশের বাইরে চলে যাওয়া মীর কাশেম আলী নিজ প্রতিষ্ঠান দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের নামে ৫০ হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। সম্প্রতি একটি দেশের দূতাবাস এ ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার পর বিভিন্ন ব্যাংককে সতর্ক করে গত সোমবার সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অনুকূলে ৫০ হাজার ডলার বা এর চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স অথবা অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন হলে তা বাংলাদেশ ব্যাংককে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া ওই অর্থ ছাড় করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ম. মাহফুজুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই সার্কুলারটি জারি করা হয়েছে। তবে মীর কাশেম আলীর অর্থ পাঠানোর সঙ্গে সার্কুলারের সম্পর্ক আছে কি না সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগের নতুন দায়িত্ব পাওয়া নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেমের সঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, সার্কুলার জারি করার পর এখন পর্যন্ত অস্বাভাবিক লেনদেন হওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি করা যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় মীর কাশেম আলীর নাম রয়েছে বলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি জামায়াতের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল বা সিআইসি সম্প্রতি মীর কাশেমের পরিবারের সদস্যদের নামে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ ও লেনদেন বিষয়ে জানাতে সব ব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়েছে।

মীর কাশেম আলী ২৪ মার্চ কাতার যান। ১৫ দিনের মধ্যে দেশে ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফেরেননি। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আছেন বলে জানা গেছে।


খবরের লিংক

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন