নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৮-০৪-২০১০
রাজধানীর পল্লবী থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৭ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে এক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া পাবনায় আরেকজন শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পল্লবী থানা পুলিশ জানায়, পল্লবীর ১২/এ সেকশনের ২/২ নম্বর সড়কের একটি বাসার নিচতলায় চারটি কক্ষ নিয়ে শিবির-সদস্যদের মেস। ওই মেসের একটি কক্ষে শিবিরকর্মীদের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে সবাইকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া ১৭ জন হলেন শিবিরের পল্লবী থানা কমিটির সভাপতি আবদুল মালেক (২১), কর্মী রিফাত (২৩), রায়হানুল (২২), বেল্লাল হোসেন (২৮), রফিকুল ইসলাম (২৬), সাইফুল আলম (২৬), আবুল খায়ের (২৪), আল-আমিন (১৯), হারুন (২০), আবদুল মতিন (২০), শরীয়ত উল্লাহ (২৮), তারেক হাসান (২৫), আবদুর রহিম (১৬), হোসাইন (২৬), আরিফ হোসেন (৩৪), আবুল হাসনাত (১৯) ও ওয়াহিদুল আলম ভূঁইয়া (২৭)। এঁদের মধ্যে ওয়াহিদুল আলম ভূঁইয়া কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পাস করেছেন। তিনি সম্প্রতি ছাত্রশিবির থেকে জামায়াতের কর্মী হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, এঁদের সবাইকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বুধবার আদালতে পাঠানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের বৈঠকে কোনো নাশকতামূলক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল বলে পুলিশ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
আমাদের পাবনা অফিস জানায়, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ পাবনার সুজানগর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শিবির নেতা মো. মনসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। তিনি শিবিরের রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফারুক হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, মনসুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী শিক্ষা বিষয়ের ছাত্র। তিনি রাজশাহী শহরের সাধুপাড়া এলাকার একটি মেসে থাকতেন। ফারুক হত্যার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন