নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা | তারিখ: ১১-০৩-২০১০
খাগড়াছড়ির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট এলাকার রক্তাক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের শিবিরের প্যানেলের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী এয়াকুব আলী চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে খাগড়াছড়িতে আগুন লাগানো এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকালে এয়াকুব আলী চৌধুরীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মতিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাহাড়িদের বাড়িতে আগুন লাগানো এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি মডেল থানায় দুটি মামলা হয়। খাগড়াছড়ির পুলিশের অনুরোধে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক সপ্তাহ ধরে তাঁর গতিবিধির ওপর আমরা লক্ষ্য রাখছিলাম। তাঁকে শিগগিরই খাগড়াছড়ি পাঠানো হবে।’
পুলিশের একাধিক সদস্য জানান, এয়াকুব আলী চৌধুরী পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ কুমিল্লার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি পার্বত্য এলাকার মাটিরাঙ্গা জামায়াতেরও সভাপতি। খাগড়াছড়ির সহিংস ঘটনার পর তিনি কুমিল্লায় বাঙালি ছাত্রদের দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল করান।
কুমিল্লায় এয়াকুবের উত্থান: ১৯৯১ সালে এয়াকুব আলী চৌধুরী খাগড়াছড়ি থেকে কুমিল্লায় আসেন। তখন তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়ে শহরের ধর্মপুর এলাকায় গৃহশিক্ষক হিসেবে থাকতেন। এরপর তিনি কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হন। ১৯৯৬ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল থেকে নির্বাচন করে তিনি পরাজিত হন।
এয়াকুব পরে কুমিল্লা শহরে জামায়াতের মালিকানাধীন বেসরকারি হাসপাতাল কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টারে কাজ নেন। ২০০৫ সালে জামায়াতের সাবেক সাংসদ সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরসহ কয়েকজন কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেন। এয়াকুব ওই কলেজে জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআও) হিসেবে যোগ দেন। সেখান থেকে তিনি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লিনিকের ব্যবসায় সম্পৃক্ত হন। চারদলীয় জোট সরকারের শেষ পর্যায়ে তিনি কুমিল্লায় পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ গঠন করেন।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন