রোজিনা ইসলাম | তারিখ: ২২-০৩-২০১০
ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটি (আইইএস) পরিচালিত আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাঝেমধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের গোপন বৈঠক ও প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয় বলে একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ১৭ মার্চ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রসচিব আবদুস সোবহান সিকদার প্রথম আলোর কাছে প্রতিবেদনটি পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।’ স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটির বিভিন্ন প্রকাশনার ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন প্রকাশনায় সরকারের অনুমোদন রয়েছে কি না, তা-ও খুঁজে দেখতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানে কারা অর্থায়ন করছে, সে ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটি জামায়াতে ইসলামী পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এই সোসাইটি দেশে আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। জামায়াতে ইসলামীর একজন “থিংক ট্যাংক” হিসেবে পরিচিত সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফ সোসাইটির চেয়ারম্যান।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবদুর রউফ প্রথম আলোকে জানান, ‘আমি ওই নামের কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নই এবং এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানও আমি নই। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থাকলেও এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই।’
তবে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, সোসাইটি পরিচালিত একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে। প্রধান ক্যাম্পাস উওরার ৫ নম্বর সেক্টরে এবং শাখা ক্যাম্পাস মগবাজারের নয়াটোলায়। এ ছাড়া সোসাইটি পরিচালিত আরও সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, নৈশ বিদ্যালয়, মক্তব, এতিমখানা প্রভৃতি।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং গোপন কার্যক্রম চালায়, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সরকার ব্যবস্থা নেবে। প্রতিষ্ঠানের প্রকাশনার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন কোনো বই অনুমোদন দিই না, যা জঙ্গিবাদের শিক্ষা দেয়, যা থেকে প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা যায় না।’
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন