19 February 2010

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ঃ সাত শিক্ষকও শিবিরের সহিংসতায় মদদদাতা!

রাজশাহী অফিস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের হাতে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনকে খুন এবং ক্যাম্পাসে সহিংস ঘটনার মদদদাতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষকসহ ১৯ জনের নাম তালিকাভুক্ত করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আরো ৫০ জনকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

তালিকাভুক্ত শিক্ষকরা হলেন_বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আব্দুল হাসেম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাসেদ আলী সরকার ও শামসুর রহমান, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বেলাল হোসেন, আরবি বিভাগের নিজাম উদ্দিন, রসায়ন বিভাগের আব্দুর রহিম খান এবং ভূগোল বিভাগের আব্দুল ওহাব। অন্যরা হলেন_রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আব্দুস সামাদ, বুধপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন, বুধপাড়া এলাকায় বসবাসকারী মান্নান মোল্লা, জামায়াতের রাজশাহী মহানগর আমির আতাউর রহমান (গ্রেপ্তারকৃত) ও সেক্রেটারি জেনারেল আবুল কালাম আজাদ (গ্রেপ্তারকৃত), বিনোদপুর ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্দিক হোসেন (বর্তমানে আরএমপির মতিহার থানার পুলিশের রিমান্ডে রয়েছেন), শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন, মোশারফ হোসেন মিন্নু, তাসলিম উদ্দিন, হুমায়ন, সারোয়ার ও পার্শ্ববর্তী কাটাখালী পৌরসভার চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান। তালিকাভুক্তদের সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে গতকাল রাতে টেলিফোনে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক কাসেদ আলী সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। এমনকি আমি ওদের রাজনীতি পছন্দও করি না। বুঝতে পারছি না, আমার নাম কেন এই তালিকাভুক্ত হবে।' ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, 'জামায়াত-শিবিরকে মদদ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। উদ্ভট মিথ্যা কথা। আমি ওই রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম।' রসায়ন বিভাগের শিক্ষক আব্দুর রহিম খান বলেন, 'আমি জামায়াত-শিবির করি না। কেউ দুষ্টুমি করে আমার নাম দিয়েছে।' ভূগোল বিভাগের শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব বলেন, 'জামায়াত-শিবিরকে মদদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমাকে অহেতুক জড়ানোর চেষ্টা চলছে।' তালিকাভুক্ত অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি-ডিবি) তারিকুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের এ হামলার পেছনে আরো অর্ধশতাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, '৮ ফেব্রুয়ারির সহিংস ঘটনার পর থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক সেদিনের ঘটনায় মদদ দিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।'


খবরের লিংক

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন