22 February 2010

আলোচনা সভায় নিজামীঃ ইসলামি রাজনীতি বন্ধ করতে প্রেক্ষাপট তৈরি করছে সরকার




নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ২২-০২-২০১০

জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী বলেছেন, দেশে ইসলামি রাজনীতি বন্ধ করতে সরকার পরিকল্পিতভাবে প্রেক্ষাপট তৈরি করছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার দলের ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা হয়।

সভায় নিজামী বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের হল দখলের প্রশ্নই আসে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিবিরের নেতা-কর্মীরা হল দখল করতে যাবে, এত বোকা তারা নয়। রাতের আঁধারে পুলিশ ও ছাত্রলীগ যৌথ অভিযান শুরু করলে শিবির হল ছাড়তে বাধ্য হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে বিদেশি গুপ্তঘাতক কিংবা কোনো কমান্ডো বাহিনী অংশ নিয়েছিল।

জামায়াতের আমির বলেন, সরকার বিভিন্ন স্থাপনার নাম বদল করতে গিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, সেই পরিস্থিতিতে বিএনপিকে রাজপথে নামার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ইসলামি চেতনার সঙ্গে একুশের চেতনার বিরোধ নেই। সেই ফেব্রুয়ারি মাসে ইসলামি রাজনীতি বন্ধ করতে একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করা হচ্ছে। গোটা দেশকে অশান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। রাজশাহীর ঘটনা সরকার কোন এজেন্সিকে দিয়ে ঘটিয়েছে, তারাই তা বলতে পারবে।

নিজামী বলেন, ‘মনে আমার অনেক ব্যথা। কথা বলে সেই ব্যথা কিছুটা লাঘব করতে চাই।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলাম খান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জামায়াতের নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম, তছলিম আমিন, হামিদুর রহমান, নূরুল ইসলাম, আবদুল হামিদ প্রমুখ।

সভায় অন্য বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলনের যাঁরা পথিকৃত তাঁদের সমালোচনা করা হচ্ছে। ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের জিএস ছিলেন গোলাম আযম। আজ তাঁর নাম মুছে ফেলে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই আন্দোলনে যাঁদের কোনো ভূমিকা ছিল না, তাঁদেরই ভাষাসৈনিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে। তত্কালীন আওয়ামী লীগের নেতারা আন্দোলনের বিরোধিতা করে লিফলেট বিলি করেছিলেন।


খবরের লিংক

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন