চট্টগ্রামে ইসলামী ছাত্রশিবিরের আস্তানা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে পুলিশ। এতে মামলার আসামি শিবিরের ছয় নেতাকে বাদ দিয়ে শুধু গ্রেপ্তার হওয়া ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
যে ছয়জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবদুল জব্বার, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, অর্থ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, সদস্য নুরনবী, আবদুল হালিম ও কাদের।
মামলার এজাহারে এই ছয়জনের বিষয়ে বলা হয়েছিল, 'তারা ফ্ল্যাটের পশ্চিম পাশ্র্বে বসবাস করত এবং শিবিরের নেতা-কর্মী বলে জানা যায়। ১৭ জানুয়ারি রাতে তারা ঢাকায় চলে গিয়েছিল। ফলে তারা উদ্ধারকৃত রিভলবার ও গুলি উলি্লখিত রুমে রেখেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।'

চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারকৃত জামায়াত ও শিবিরকর্মীদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্র। _ফাইল ছবি
এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি জানাতে যাচ্ছেন সরকার নিয়োজিত কেঁৗসুলি ও মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ। গতকাল তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমার মতামত ছাড়াই পুলিশ এই মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে। নথি আমার কাছে আসার পর আমি আদালতে এর বিরুদ্ধে নারাজি দেব।'
গত ১৮ জানুয়ারি মধ্যরাতে নগরীর আগ্রাবাদ মিস্ত্রিপাড়ায় শিবিরের একটি আস্তানা থেকে সাতটি অস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব উল আলম মোল্লা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার অভিযোগপত্রসহ মামলার নথি বিচারিক আদালতে (জজ আদালত) পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গত সোমবার আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মঞ্জুরুল হক আকন্দ। অস্ত্র আইনের ১৯ (ক ও চ) ধারায় দেওয়া অভিযোগপত্রে বিস্ফোরক আইনের ধারা সংযুক্ত করা হয়নি। অভিযোগপত্রে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এরা হলো ডা. একরামুল হক, মহিউদ্দিন, একরামুল হক, সৈয়দ আল আমিন মাহমুদ, মিজানুর রহমান, জহির উদ্দিন বাবর, লুৎফর রহমান, রকিবুল হোসাইন, আরিফ হোসেন, মঞ্জুর আলম, গোলাম আজম আব্বাসী ও জাহেদ মুনতাসির।
ছয় আসামির নাম বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, 'গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের রিমান্ডে এনে সন্দিগ্ধ আসামিদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা সংগ্রহ ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করি। কিন্তু ঠিকানা উদ্ধার কিংবা তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।' এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা ওসি এ কে এম মঞ্জুরুল হক আকন্দ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তাঁদের সন্দেহ করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় তাঁদের নাম চার্জশিটভুক্ত করা হয়নি।'
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন