12 February 2010

সিলেটে পুলিশ-জামায়াত সংঘর্ষ

সিলেট, ফেব্রুয়ারি ১২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - সিলেট নগরীর কোর্টপয়েন্ট ও চৌহাট্টা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের সময় ১৮ জন জামায়াত-শিবির কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী।

তিনি জানান, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৪১ জনের নামে উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫০ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা (নম্বর-৩৭) হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে আছেন- জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর জামায়াতের সাবেক আমির শফিকুর রহমান, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম শাহীন, জামায়াতের সিলেট দক্ষিণ জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, উত্তর জেলা আমির হাফিজ মাওলানা অনোয়ার হোসাইন, সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির সায়েফ আহমদ, সহ-সেক্রেটারি ফখরুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়াম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, সিলেট মহনগর শিবিরের সভাপতি শিপার আহমদ।

ওসি আরো জানান, আটককৃতদের মধ্যে ১১ জনকে এই মামলায় দেখানো হয়েছে।

এরা হলেন- নুরুল পাশা (৩২) হাফিজ মেসবাহ উদ্দিন (২২), ইসা মিয়া (২২), আব্দুর রাজ্জাক (২২), হারুন আর রশিদ (২২), মাহমুদুল হাসান (২২), শফিকুল ইসলাম (২০), মিজবাউর রহমান (২১), মো. মজিদ (১৮), মো. হাবিবুর রহমান (২৩), আফজাল হোসেন (২৪)।

এদেরকে শিবিরকর্মী হিসাবে সনাক্ত করেছে পুলিশ। বাকি সাতজন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে রাতেই পুলিশ অভিযানে নামবে বলে ওসি জানান।

জামায়াত নেতারা সাংবাদিকদের জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবির নেতা শাহীন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহিউদ্দিনের খুনীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এবং রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির আতাউর রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেট মহানগর জামায়াত বাদ জুমা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

নগরীর কোর্টপয়েন্ট এলাকায় মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। জামায়াত-শিবির কর্মী ও পুলিশের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

পরে মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্রায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশ চলাকালে আবার পুলিশ বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।

সংঘর্ষে জামায়াত-শিবির কর্মী ছাড়াও আহতদের মধ্যে আছেন- স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা শ্যামল সিলেটের ফটোসাংবাদিক শাব্বির আহমদ ফয়েজ, টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের সিলেট প্রতিনিধি এমদাদ হোসেন চৌধুরী দিপু, এনটিভির সিলেট বিভাগীয় প্রধান মইনুল হক বুলবুল, র‌্যাবের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. শাহজাহান ও পুলিশের তিন সদস্য।

কোতয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের জানান, 'ওপরের নির্দেশে' তারা মিছিলকারীদের বাধা দিয়েছেন।

সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ফখরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর ডটকমকের কাছে দাবি করেন, "আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায় পুলিশ।"

তিনি দাবি করেন, পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে এদের বেশিরভাগই পথচারী।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমএসবি/১৭২০ ঘ.


খবরের লিংক

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন