শুক্রবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে ওই ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে তাদের কারাগারে চালান দেওয়া হয়।
ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে তাদের পক্ষে জামিন চাওয়া হলে হাকিম মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সে আবেদন নাকচ করে ২১ জনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মী বলে পুলিশের দাবি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-
- মহব্বত আলী (শিবিরের ঢাবি শাখার প্রচার সম্পাদক ও রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী)
- আবুল কাশেম (অর্থ সম্পাদক ও ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী),
- জামাল উদ্দিন (প্রকাশনা সম্পাদক এবং ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী),
- হাফিজুর রহমান,
- মো. হাবিব (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বে),
- নাইমুল ইসলাম (গণিত, স্নাতকোত্তর),
- সাখাওয়াত হোসেন (অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগ, স্নাতকোত্তর),
- হাদিয়ার রহমান (প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগ, স্নাতকোত্তর),
- শফিউল�াহ খান (লোকপ্রশাসন, স্নাতকোত্তর),
- আব্দুল গফুর (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ),
- ময়েন উদ্দিন (ইংরেজি প্রথম বর্ষ),
- মো. কবির (ফলিত রসায়ন, স্নাতকোত্তর),
- ইনসানাল (সমাজবিজ্ঞান, ৩য় বর্ষ),
- মুনতাসীর মামুন (সমাজ বিজ্ঞান ২য় বর্ষ),
- আতিকুল ইসলাম (সমাজবিজ্ঞান ২য় বর্ষ),
- এহতেসামুল হক (ফলিত রসায়ন বিভাগ, স্নাতকোত্তর),
- আমিনুল ইসলাম (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, প্রথম বর্ষ),
- ইব্রাহিম খলিল (আরবি বিভাগ, স্নাতকোত্তর) ও
- মাসুদ রানা (উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ, তৃতীয় বর্ষ)।
গ্রেপ্তার অপর দুজন হলেন-
- ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. ছাব্বির ও
- আইবিআইটি'র শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হওয়ার পর সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু চিরুণী অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার পরই শাহবাগে অভিযান চালানো হলো।
শাহবাগ থানার ওসি রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাত ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পেছনের একটি মেস থেকে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে ১৯ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গ্রেপ্তারকৃতরা শিবিরকর্মী বলে দাবি করেন তিনি।
গ্রেপ্তারের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, "ওই মেসে তারা রাষ্ট্রবিরোধী বৈঠক করছিলো।"
ওসি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু সিডি ও কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।
"এর মধ্যে ছাত্রলীগের ৭৪ জন নেতা-কর্মীর নামের একটি তালিকাও রয়েছে।"
গত ৮ ফেব্র"য়ারি রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত হয় ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন। পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্র শিবিরের হামলায় তিনি মারা যান।
এর পরপরই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামের আমির আতাউর রহমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এফএফ/এমআই/১৬১০ ঘ.
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন