13 February 2010

ফারুক হত্যার দায় সরকারের ওপরই চাপাল জামায়াত




নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১৩-০২-২০১০


চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবিরের নেতাকে ‘গুলি করে হত্যা’ ও জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগর আমিরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে মিছিল করেছে জামায়াত ও শিবির।

মিছিলে রাজশাহীতে ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক নিহত হওয়ার জন্য সরকারকেই দায়ী করা হয়।

জুমার নামাজের পর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোডে মিছিল করে জামায়াত ও ছাত্রশিবির। মিছিলে ‘রাজশাহীতে রক্ত কেন, খুনি হাসিনা জবাব দে’ স্লোগান দেওয়া হয়। রাবির ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক ছাত্রশিবিরের হামলায় নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।

জামায়াত বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ করার ঘোষণা দিলেও জুমার নামাজের আগে থেকেই ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ জলকামান ও সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে অবস্থান নেয়। পরে জামায়াত-শিবির বিজয়নগর পানির ট্যাংকের মোড় থেকে বক্স কালভার্ট রোড ধরে মিছিল করে ফকিরাপুল পানির ট্যাংক মোড়ে গিয়ে তা শেষ করে।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম খান বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবিরের নেতা শাহীনকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। চট্টগ্রামে মোহাইমেন নামের শিবিরের আরেকজন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে।

গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিউদ্দিন নামের এক ছাত্র। শিবির গতকাল বলেছে, তারা ভুলে তাঁকে প্রথমে শিবিরের কর্মী মোহাইমেন বলেছিল। তবে মহিউদ্দিনকেও সংগঠনটি তাদের কর্মী দাবি করেছে।

জামায়াতের নেতা রফিকুল ইসলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন এবং জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর গ্রেপ্তার হওয়া শিবিরের নেতা-কর্মীদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এর কিছু পরই পুলিশ এসে মিছিলকারীদের ধাওয়া দেয় এবং কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে। জলকামান থেকে মিছিলকারীদের উদ্দেশ করে গরম পানিও ছোড়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নয়জনকে আটক করে।

ধাওয়া খেয়ে প্রধান সড়ক থেকে পালিয়ে যাওয়া নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কিছুক্ষণ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

মিছিলে রফিকুল ইসলাম খান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য আবদুল হালিম ও নূরুল ইসলাম বুলবুল ছাড়া কেন্দ্রীয় কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। এতে অংশগ্রহণকারীদের একটি বড় অংশই ছিলেন ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মী।


খবরের লিংক

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন