বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম | তারিখ: ১১-০২-২০১০
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ১২টি বিশেষ দল গতকাল বুধবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী-সমর্থকদের আস্তানা হিসেবে পরিচিত অন্তত ৪৫টি মেসে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। তবে অভিযানকালে সন্দেহজনক কাউকে আটক কিংবা অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়, নগরের ১৩৫টি মেসে শিবিরের কর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে অবস্থান করে বলে তাদের কাছে তথ্য আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিংস ঘটনার পর শিবিরের ক্যাডাররা পালিয়ে চট্টগ্রামে এসে গোপনে এসব মেসে আশ্রয় নিতে পারে—এমন ধারণা থেকে এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়। বন্দর নগরীর ১২টি থানার মধ্যে নয়টি থানার ভিন্ন ভিন্ন পুলিশ দলের সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশের তিনটি দল এই অভিযান চালায়।
মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি-নর্থ) বনজ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার এলাকায় গতকাল রাতে ৩০টি মেসে অভিযান চালানো হয়েছে।’ তিনি জানান, আজ বৃহস্পতিবারও এ ধরনের অভিযান চলবে।
মহানগর পুলিশের বন্দর অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি-পোর্ট) কুসুম দেওয়ান বলেন, ‘এক রাতেই আমরা অন্তত ১৫টি মেসে অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু সন্দেহজনক কিছু পাইনি।’
মহানগর পুলিশ প্রশাসন ১২টি থানাকে উত্তর এবং বন্দর জোনে ভাগ করে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
পুলিশ গত ১৮ জানুয়ারি মধ্যরাতে আগ্রাবাদের মিস্ত্রিপাড়ার একটি ভবন থেকে সাতটি অস্ত্র, গুলি, বিস্ফোরকসহ শিবিরের ১২ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছিল। শিবিরের নেতা-কর্মীরা গোপনে মেস করে ওই ভবনে থাকতেন বলে জানা গেছে।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন