কুদরাত-ই-খুদা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | তারিখ: ১১-০২-২০১০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডারদের তাণ্ডবে গণিত বিভাগের মেধাবী ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন নৃশংসভাবে খুন হওয়ার ঘটনায় সারা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। শিবিরের বর্বরতার নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেশের অনেক স্থানে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। একটি প্রশ্নই সবার মুখে মুখে ফিরছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের এত শক্তির উত্স কোথায়?

রাজশাহীতে গ্রেপ্তার করা শিবির কর্মীদের প্রিজন ভ্যানে করে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছেঃ ছবি: প্রথম আলো
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৮৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। নগরের মতিহার থানায় মঙ্গলবার রাতে মামলা দুটি করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম ও মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এরশাদুল আলম।
মাজেদুল ইসলামের করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামসুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনসহ ২৯ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় শিবিরের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়।
এসআই এরশাদুলের মামলাতেও শিবিরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় শিবিরের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, ভীতি প্রদর্শন, হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়।
শিবিরের তাণ্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে নবাব আবদুল লতিফ হল শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শিবির কর্মী সন্দেহে ৪৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ৩৪ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মতিহার থানা ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের বিনোদপুর, কাজলা, বুধপাড়া, মেহেরচণ্ডী এলাকাসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত শিবিরনিয়ন্ত্রিত ছাত্রাবাস থেকে শিবির কর্মী সন্দেহে ৪৫ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে লতিফ হল শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসমত আলী ও একই হলের শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকও রয়েছেন। আরও আছেন মনিরুল আলম, তাহা বক্কর, জাহিদ, আবু আউয়াল, মনজুরুল রহমান, শহীদুল ইসলাম, রাসেল, আতাউজ্জামান, মুস্তাফিজ, মোসা কালিমুল্লাহ, সোহেল, জাকারিয়া, কিবরিয়া প্রমুখ।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত ৩৪ জনকে রাজশাহী মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। বিচারক ২৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্য ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তা চান।
আইজিপি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত শিবির কর্মীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তারে দেশব্যাপী অভিযান চালানো হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদেরও চিহ্নিত করা হবে। এ অভিযান চলতে থাকবে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।
সংঘর্ষের সময় পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার ব্যাপারে জানতে চাইলে আইজি বলেন, ইটপাটকেল ছোড়ার সময় পুলিশ সরে গিয়েছিল। এই সুযোগে শিবির তাণ্ডব চালায়। এ ঘটনার দোষী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, শিবির আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পারিবারিকভাবে শক্ত অবস্থান নিয়ে একটা ভিত্তি তৈরি করেছে। ওই এলাকার অনেক মানুষ সীমান্তের ওপার থেকে আসা। তারা শিবির কর্মীদের কর্মকাণ্ড সমর্থন করে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক গতকাল দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে রাজশাহী পৌঁছান। এরপর তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ছাত্রলীগ কর্মীদের দেখতে যান। তিনি তাঁদের চিকিত্সার খোঁজখবর নেন।
হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছাত্রলীগ কর্মীদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তবে হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ায় গুরুতর আহত ফিরোজ মো. আরিফুজ্জামান ও সাইফুর রহমানকে উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁকা: গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ছিল প্রায় ফাঁকা। আবাসিক হলগুলোও ছিল প্রায় শিক্ষার্থীশূন্য। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।
ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত আটটা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস ছিল পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। একটার দিকে হঠাত্ করে ক্যাম্পাস চলে যায় শিবিরের নিয়ন্ত্রণে। এ সময়ই ১০টি আবাসিক হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর তারা একতরফা হামলা চালায়। তারা ছাত্রলীগের তিনজনের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় এবং গণিত বিভাগের ফারুক হোসেনকে নৃশংসভাবে খুন করে লাশ ম্যানহোলে ফেলে দেয়। এরপর পুলিশের সঙ্গে শিবির কর্মীদের রাতভর গুলি বিনিময় হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করলে শিবিরের এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে একটি শক্ত ভিতের চিত্র ফুটে ওঠে। প্রশ্ন এখানেই, এই ভিত তারা কোথায় পেল? আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার-সমর্থিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থাকা সত্ত্বেও এ ঘটনা কেন ও কীভাবে ঘটল, তা জানতে আগ্রহী তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সূত্র বলছে, শিবিরের অস্ত্র ও শক্তির মূলে রয়েছে স্থানীয় কিছু লোকের জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, ছাত্রলীগের ভেতরে শিবিরের চরদের ঢুকে পড়া, শিবিরকে পুলিশের কিছু কর্মকর্তার সহযোগিতা, শিবিরের বহিরাগত ক্যাডারদের ক্যাম্পাসে ঢোকার সুযোগ।
জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বুধপাড়া, মেহেরচণ্ডী, বিনোদপুর, কাজলা, কাটাখালি, খড়খড়িসহ আশপাশের এলাকায় রয়েছে অনেক মাদ্রাসা, এতিমখানা, স্কুল ও কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কর্মী ফরহাদ আহমেদ, মোমিনুল ইসলামসহ অনেকে জানান, শিবির ইসলামের কথা বলে ও ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসসংলগ্ন বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কৌশলে দলে ভেড়ায়। ক্যাম্পাসে শিবিরের মিছিল-সমাবেশে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীসহ বিপুলসংখ্যক বহিরাগত যুবকের সমাগম ঘটে। ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ চলাকালে তারা শিবিরের পক্ষে অংশ নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগ কর্মী তৌহিদুর রহমানসহ অনেকে জানান, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ শিবির ক্যাডার ছিল বহিরাগত। এদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজের ছাত্র।
শিবিরের বহিরাগত শক্তি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রেজুয়ান আহমদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সহজেই বহিরাগত শিবিরসমর্থক ও ক্যাডাররা ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে। হামলার আগ থেকেই শিবির ক্যাডাররা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিভিন্ন ছাত্রাবাসে অস্ত্র মজুদ রাখে।
পুলিশ নিষ্ক্রিয়: ছাত্রলীগের আহত কর্মীরা শিবিরের তাণ্ডবের পেছনে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে অনেকাংশে দায়ী করেছেন। আহত তৌফিক ও লুত্ফর রহমানসহ কয়েকজন বলেন, পুলিশ প্রথম দিকে নিষ্ক্রিয় না থেকে শিবিরের মিছিল লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে বা লাঠিপেটা করে ক্যাম্পাস থেকে তাড়িয়ে দিলে এ ঘটনা ঘটত না। সেদিন শাহ মখদুম হলের নিরাপত্তা রক্ষায় বেশ কয়েকজন পুলিশসদস্য মোতায়েন ছিলেন। কিন্তু তাঁদের চোখের সামনেই ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে শিবির ক্যাডাররা কুপিয়ে হত্যা করে লাশ টেনেহেঁচড়ে ম্যানহোলে ফেলে রাখলেও পুলিশ কিছুই বলেনি।
আট পুলিশ বরখাস্ত: শিবিরের বর্বর হত্যাকাণ্ডের সময় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শকসহ আট পুলিশসদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের একজনের পা ধরে এক ছাত্র বাঁচার জন্য কাকুতি-মিনতি করেছিলেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মহসীন আলম, নায়েক আল মামুন, কনস্টেবল নাইমুল হক, আরিফুর রহমান, ইসহাক আলী, মনোয়ারুল ইসলাম, আক্কাস আলী ও খায়রুল ইসলাম দায়িত্বে ছিলেন। গতকাল রাতে তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এই পুলিশ সদস্যদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হোসেনকে শিবির ক্যাডাররা নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ম্যানহোলে ফেলে দেয়।
ছাত্রলীগের কর্মী শাহ নেওয়াজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শিবিরনিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন ছাত্রাবাসে পুলিশ নিয়মিত তল্লাশি চালালে অনেক অস্ত্র পাওয়া সম্ভব। কিন্তু তা না হওয়ায় ছাত্রশিবির যেকোনো সময় হামলা করার সাহস পায় এবং নানা ধরনের ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক জানান, অনেক জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতি মাসে তাঁদের বেতনের একটি নির্দিষ্ট অংশ শিবিরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য দিয়ে থাকেন।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় অনেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে চাকরি পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন জামায়াত-শিবির সমর্থক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে অনেক সময় শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযানে যাওয়ার আগে তথ্য ফাঁস করে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি শামসুল আলম দাবি করেন, ছাত্রশিবির একটি আদর্শ রাজনৈতিক সংগঠন। এ সংগঠন সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। অর্থের উত্স সম্পর্কে তিনি বলেন, একটি সংগঠনের অর্থের বিভিন্ন উত্স থাকা অস্বাভাবিক কোনো কিছু নয়। তিনি শিবিরের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, শিবিরের অস্ত্র মজুদসহ ক্যাম্পাসে বহিরাগত শিবির নেতা-কর্মীদের অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম অফিস জানায়, নগরের বিভিন্ন এলাকায় শিবিরের ১৩৫টি মেসে গতকাল রাত থেকে অভিযান শুরু করেছে নগর পুলিশের ১২টি দল। শিবির ক্যাডাররা রাজশাহী থেকে পালিয়ে এসে চট্টগ্রামের মেসে অবস্থান করতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
এ নিয়ে গতকাল রাতে নগর পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জমানের সভাপতিত্বে তাঁর দপ্তরে পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। এতে মেসগুলোতে অভিযান পরিচালনার ছক চূড়ান্ত করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি-ডিবি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, শিবিরের মেসগুলোতে কিছু বহিরাগত লোকের আনাগোনা বেড়ে গেছে। এ কারণে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন