বিশেষ প্রতিনিধি | তারিখ: ১২-০২-২০১০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের হাতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হতাহতের ঘটনায় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। আর যেসব শিক্ষাঙ্গনে জামায়াত-শিবিরের ছোঁয়া আছে সেগুলো চিহ্নিত করে সেখানে চিরুনি অভিযান চালানো হবে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেছেন। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা সভা হয়। এতে প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রসচিব আবদুস সোবহান সিকদার, পুলিশের মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ, ঢাকার পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহিদুল হক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরও আগে, কুয়েত সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পরে গত বুধবার দিবাগত রাতে স্বরাষ্ট্রসচিব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাসভবন যমুনায় গিয়ে দেখা করেন। জানা যায়, এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এর পরই গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠকে সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের হামলা একটি পরিকল্পিত ঘটনা। যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর আগে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত জামায়াতে ইসলামী তাদের ছাত্রসংগঠন দিয়ে সারা দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। সরকার এ অবস্থা কখনোই মেনে নেবে না। চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় যেভাবে কার্যকর করা হয়েছে, ঠিক একইভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারও করা হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনা নানা দিক দিয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতদের বের করার চেষ্টা চলছে। কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে নয়জন পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে দুজন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন নায়েক এবং ছয়জন সেপাই। এঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন