নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১২-০২-২০১০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের বর্বর হামলায় ফারুক হোসেন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও নিন্দা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ সমাবেশে ফারুকের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে শিবিরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করা হয়। বিভিন্ন ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা আজ শুক্রবারও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। অনেক সংগঠন গতকাল বিবৃতি দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় বাস্তবায়নের মুহূর্তে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টির জন্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি অপতত্পরতায় লিপ্ত হয়েছে। জামায়াত-শিবির যাতে অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা না ঘটাতে পারে, সে জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তাঁরা। আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাজশাহীতে ছাত্র হত্যা, রগ কেটে দেওয়া ও বোমা হামলার ঘটনা ১৯৭১ সালে জামায়াত-শিবিরের ভূমিকার পুনরাবৃত্তি।
বাংলাদেশ নাগরিক সমাজ ৩৪ দিনের ব্যবধানে শিক্ষাঙ্গনে তিনটি প্রাণ ঝরে যাওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। তারা শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য দলীয় প্রভাবে পরিচালিত ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি জানায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক গতকাল পঙ্গু হাসপাতালে রাজশাহীতে আহত চিকিত্সাধীন ছাত্রদের দেখতে যান।
ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে যেসব সংগঠন বিবৃতি দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে—বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ অভিভাবক পরিষদ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন, যুব গণফোরাম, ৯০ দশকের ১৫১ জন যুবনেতা, সুপ্রিম কোর্টের ১১৫ জন আইনজীবী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র সমিতি।
সভা-সমাবেশ করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ এবং বাংলাদেশ ফেত্না প্রতিরোধ কমিটি।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন