নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১৫-০২-২০১০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই তাদের কর্মী ফারুক হোসেন খুন হন। শিবিরকে বেকায়দায় ফেলার জন্য ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ ফারুকের লাশ ম্যানহোলে ঢুকিয়ে রাখে। জামায়াতে ইসলামীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার নেতা-কর্মীরা আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
জামায়াতের নেতারা আরও বলেন, রাজশাহীর শিবিরের নেতা হাফিজুর রহমানকে (২৫) পুলিশ শিবগঞ্জে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। শিবগঞ্জ থানা পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পুলিশ নিহত শাহীনের বন্ধু মাহফুজকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
রাজশাহীর শিবিরের নেতা হাফিজুর রহমান হত্যাকারীর বিচার, শিবির নেতা মাহফুজের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, রাজশাহী মহানগরের জামায়াতের আমির আতাউর রহমানের মুক্তির দাবিতে জামায়াত ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা নিজস্ব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন জেলা আমির রফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি আবু জার গিফারী, পৌর শাখার সেক্রেটারি আবুল হাসান।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হোসেনের লাশ ১০ ফেব্রুয়ারি ভোরে ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়। ফারুক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী হাফিজুর রহমান গত বুধবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যপুর গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাতে সেখানে অভিযান চালিয়েছিল। তবে পুলিশের এসআই ইয়ামিন আলী বলেছেন, তাঁরা ওই বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই গুলির শব্দ শুনতে পান। কার গুলিতে হাফিজুর রহমান মারা গেছেন, তা জানা যায়নি বলে তিনি জানান।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন