রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | তারিখ: ০৯-০২-২০১০
ছাত্রশিবিরের কর্মীদের হামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলেন কাওসার আলম ও আসাদুর রহমান। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুনরায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বঙ্গবন্ধু হলসহ বিভিন্ন আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বঙ্গবন্ধু হল সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী আসাদুর রহমান বঙ্গবন্ধু হলে ওঠার জন্য গতকাল রাত আটটার দিকে বিছানাপত্র নিয়ে ওই আসেন। হল ফটকের সামনে শিবিরের নেতা-কর্মীরা তাঁকে শিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান নোমানীর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ও অনাবাসী ছাত্র উল্লেখ করে হলে উঠতে বাধা দেন। এ নিয়ে প্রথমে শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ও সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগের অপর কর্মী কাওসার আলমের বাগিবতণ্ডা শুরু হয়। বাগিবতণ্ডার একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসাইনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন শিবিরকর্মী তাঁদের লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। হলের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিত্সা কেন্দ্রে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
সহকারী প্রক্টর মুসতাক আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আওয়াল কবির ও সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিবিরের নেতা-কর্মী ও ক্যাডারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তাঁরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শামসুল আলম ওরফে গোলাপ ঘটনা শুনেছেন বলে জানালেও এ সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে গতকাল রাত নয়টা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা বা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে তিনি জানান।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন