নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১৯-০১-২০১০
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর নির্দেশ পেলে ইসলামী ছাত্রশিবির সারা দেশ অচল করে দেবে। সংগঠনটির সভাপতি রেজাউল করীম এ হুমকি দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ইসলামি দল ও নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোনো আঘাত এলে শিবিরের লাখো কর্মী জীবন দিয়ে তা প্রতিহত করবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের সদস্য সম্মেলনে সভাপতির এই বক্তব্যের পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিউর রহমান নিজামী বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাই না।... তবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যদি বিপদগ্রস্ত হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ঈমান-আকিদার ওপর আঘাত আসে, তখন কাকে কী করতে হবে, তা কি বলার অপেক্ষা রাখে?’
সরকার দেশ থেকে ইসলামি আদর্শ উত্খাত করতে চাচ্ছে অভিযোগ করে জামায়াতের আমির বলেন, এ অবস্থা মোকাবিলায় জনগণকে পরিস্থিতি সম্পর্কে বোঝাতে ছাত্রশিবিরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সম্মেলনে সারা দেশ থেকে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের শুরু হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ শিক্ষানীতি বানচালের জন্য শিবিরকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘যদি এই শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তোমাদের অবশ্যই এই নীতিকে বানচালের জন্য সর্বোচ্চ সংগ্রাম নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে ছাত্রশিবিরের বাংলাদেশ।
ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলাম খান বলেন, শিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার চালানো হয়, সন্ত্রাসের অভিযোগও আনা হয়। তবে শিবির কোথাও হামলা চালিয়েছে, তার প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না।
শিবিরের সভাপতি রেজাউল করীম বলেন, পৃথিবীর সব অস্ত্র জোগাড় করেও শিবিরকে মোকাবিলা করা যাবে না। জামায়াতের আমিরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনার একটি নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। আপনার নির্দেশ পেলে গোটা বাংলাদেশকে ছাত্রশিবির অচল করে দেবে।’
সম্মেলনে বিএনপির নেতা খায়রুল কবীর খোকন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিসের একাংশের আমির মোহাম্মদ ইসহাকসহ ডানপন্থী কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন