রাজশাহী অফিস | তারিখ: ৩০-১০-২০০৯
রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। দুই পক্ষের মিছিল থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়। ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে নগরের লক্ষ্মীপুর মোড়ে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে হামলা চালান।
কলেজের ছাত্রলীগের কর্মী সুমনের ভাষ্য, দুপুর ১২টা দিকে প্রতিদিনের মতো তাঁরা কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন। এর পাঁচ মিনিটের মধ্যে শিবিরের নেতা-কর্মীরাও মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে শিবিরের মিছিলটি তাঁদের মিছিলের পাশপাশি চলে আসে। এ সময় শিবিরের কর্মীরা রড, পাইপ, হাতুড়ি, বেঞ্চের পায়া প্রভৃতি দিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে ছাত্রলীগের সাগর, পিয়াস, জনি ও মামুন আহত হন। সাগরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের আহত কর্মী মামুন বলেন, ‘আমরা মিছিল শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রশিবির তাদের পরিকল্পনামতো ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা এবং বহিরাগত শিবির ক্যাডার নিয়ে আসে। হামলার পর পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের দিকে চলে যায়।’
ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি নূর মোহাম্মদ মণ্ডল দাবি করেন, শিবিরের মিছিলে ছাত্রলীগ অতর্কিতে হামলা চালায়। তিনি বলেন, রাজশাহী কলেজের ছাত্র পরিবহনের একটি বাসে করে ছাত্রলীগের প্রায় ৫০ জন সশ্রস্ত্র ক্যাডার এসে হামালায় যোগ দেয়। অ্যাম্বুলেন্সে করে অস্ত্র নিয়ে আসার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা কথা। এ ঘটনায় ছাত্র সারোয়ারসহ শিবিরের চার-পাঁচজন আহত হন বলে তিনি জানান। অন্যদের নাম তিনি বলতে পারেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানায়, হামলার ঘটনার পর ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রকাশ্যে রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে লক্ষ্মীপুর মোড়ের দিকে যান। সেখানে তাঁরা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে হামলা চালান। তাঁদের ছোড়া ইটপাটকেল লেগে হাসপাতালের ছয়টি জানালার কাচ ভেঙে যায়। হাসপাতালের ফার্মাসি ইনচার্জ আব্দুল মালেক জানান, অল্পের জন্য একজন শিশুসহ কয়েকজন রোগী ভাঙা কাচের আঘাত থেকে রক্ষা পায়।
ছাত্রলীগের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি আব্দুল মোমিন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শিবির ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা করেছে।
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, দুই পক্ষের মিছিলে হাতাহাতির পর একটু ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। এ ঘটনায় কেউ কোনো মামলা করেনি।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন