3 February 2008

ড. তাহের হত্যার দুই বছর: মামলা দ্রুত নিষ্কপত্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্নারকলিপি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার বিচার দ্রুত করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গতকাল শনিবার একটি স্নারকলিপি দেওয়া হয়েছে। ড. তাহের হত্যার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে এক স্নরণসভা শেষে ফ্যাক্সযোগে এ স্নারকলিপি দেন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

স্নারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন বিভাগীয় সভাপতি কামরুল হাসান মজুমদার, বিভাগের শিক্ষক ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান সজল, ড. হামিদুর রহমান, ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, ড. চৌধুরী কামরুজ্জামান, মুশফিক আহমেদসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

ড. হামিদুর রহমান বলেন, অবিলম্বে ড. তাহের হত্যার বিচারের দাবিতে এ স্নারকলিপি দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ওই বিভাগের একটি শ্রেণীকক্ষে স্নরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। স্নরণসভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মজুমদার। এতে বিভাগীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন। বক্তারা ড. তাহেরের কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করেন এবং অবিলম্বে তাঁর হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করেন।

ড. তাহের আহমেদ ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন। ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়ায় ড. তাহেরের বাসভবন থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ড. তাহেরের ছেলে সানজিদ আহমেদ হিমেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (সাবেক) আবদুস সালাম বাদী হয়ে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন। গত বছরের ৩ জুলাই বহুল আলোচিত এ মামলার কার্যক্রম রাজশাহীর জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়। মামলাটি বর্তমানে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতে বিচারাধীন।

এ মামলায় ড. তাহেরের সহকর্মী ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী, ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর, তাঁর বাবা আজিমুদ্দিন, ভাই আবদুস সালাম, জাহাঙ্গীরের নিকটাত্মীয় নাজমুলকে অভিযুক্ত করে গত ১৮ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আচানুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন