পিরোজপুর প্রতিনিধি | তারিখ: ২০-০৮-২০১০
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের দল পিরোজপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত গত বুধবার থেকে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পাড়েরহাট বন্দরে রাজলক্ষ্মী পাইলট হাইস্কুলে বসে তদন্ত দল মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমানের সাক্ষ্য নেয়। মাহাবুবুর রহমান জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে করা একটি হত্যা মামলার বাদী।
তদন্ত দলে রয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন, দুই পরিদর্শক ওবায়েদুল্লাহ ও নুর হোসেন।
তদন্ত দলের প্রধান হেলাল উদ্দিন জানান, তদন্ত দল তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাবে। সে ক্ষেত্রে তাঁরা প্রয়োজনে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তদন্তের স্বার্থে যত দিন প্রয়োজন তত দিন তদন্তকারী দল পিরোজপুরে অবস্থান করে নিরপেক্ষতার সঙ্গে তাদের তদন্তকাজ করবে।
এুর আগে বুধবার সকাল নয়টায় পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামে যায় তদন্ত দল। এ গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা সৈয়জদ্দিন পশারীর ছেলে মানিক পশারীসহ ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের আগস্টে মানিক পশারী পিরোজপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে সাঈদীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
মানিক পশারী বলেন, ‘সাঈদীর নেতৃত্বে আমার বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তারা আমার বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ইব্রাহিমকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। ৩৮ বছর পর মামলা করার সুযোগ হয়েছে। আশা করি, এবার বিচার পাব।’
তদন্ত দল প্রাথমিক আলামত হিসেবে মানিক পশারীর বাড়ির ছবি সংগ্রহ করে। হেলাল উদ্দিন বলেন, তদন্ত দল নিজস্ব প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাবে, সে ক্ষেত্রে তারা প্রয়োজনে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবে।
এদিকে তদন্তের সময় চিথলিয়া গ্রামের অপর পাড় পাড়েরহাট বন্দরে স্থানীয় জনতা এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল থেকে সাঈদীর ফাঁসির দাবি জানানো হয়।
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন