Thu, Jul 1st, 2010 10:03 pm BdST
ঢাকা, জুলাই ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বিরোধীদের ওপর 'নিপীড়ন-নির্যাতনের' পথ অবিলম্বে পরিহার করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
সেইসঙ্গে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন খালেদা।
তিনি বলেন, ''জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল একটি বৈধ ও প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর তিন নেতাকে এক হাস্যকর মামলায় গ্রেপ্তার এবং পরে আরও কয়েকটি মামলায় আটক করে প্রত্যেককে অর্ধ মাসেরও বেশি সময়ের জন্য রিমান্ডে নিয়ে সরকার চরম স্বৈরাচারী পন্থায় রাজনৈতিক নিপীড়নের এক জঘন্য নজির সৃষ্টি করেছে।''
বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই বিবৃতিটি অনুমোদন দেওয়ার পর তা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খালেদা জিয়া ২৭ জুনের হরতালে গ্রেপ্তার মির্জা আব্বাস, শমসের মবিন চৌধুরী, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ সব নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবি করেছেন ওই বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, '' দেশে জুলুম-নির্যাতন, খুন, গুপ্তহত্যা, গ্রেপ্তার ও প্রতিবাদী কন্ঠকে স্তব্ধ করে সরকার দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এতে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।''
এ ব্যাপারে দেশপ্রেমিক সব দল, সংগঠন, শক্তি ও ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান তিনি।
হরতাল কর্মসূচি পালনের সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাড়িতে ইউনিফর্ম ও সাদা পোষাকধারী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় সরকারি দলের 'হামলা' এবং সাংসদ শহীদউদ্দিন চৌধুরীর এ্যানির ওপর সরকারি ছাত্র সংগঠনের 'হামলার' ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তার দাবি করেন খালেদা।
ঢাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী আলমের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, "হরতালের প্রাক্কালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাদা পোষাকধারী সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে গেছে।"
বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, ২৭ জুনের হরতালে বিএনপি কোনো ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ বা বোমাবাজির আশ্রয় নেয়নি। বরং সরকারই হরতালের মতো গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে 'আক্রমণ' চালিয়ে ব্যাপক 'সহিংসতার' আশ্রয় নিয়েছে।
এর আগে রাত সোয়া ৮টার দিকে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু হয়ে তা শেষ হয় রাত ৯টা ৫০ মিনিটে।
এতে দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, এম শামসুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, সারোয়ারি রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, রফিকুল ইসলাম মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৭ জুন সকাল-সন্ধ্যা হরতালের রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকটি হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/এইচএ/২২১৮ ঘ.
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন