5 July 2010

যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রতিরোধ কমিটি করেছিল জামায়াত


নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৬-০৭-২০১০

যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রতিহত করতে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল জামায়াত। এই কমিটি বিচারবিরোধী প্রচারণার জন্য বিভিন্ন কৌশল নির্ধারণ ও পরিকল্পনা তৈরি করে। গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে থাকা জামায়াতের তিন নেতা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানান।

জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা কার্যালয়ে এর আগে থেকেই জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পল্টন থানায় দায়ের করা পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হয়। এই থানায় দায়ের হওয়া তিনটি মামলার প্রতিটিতে তাঁদের প্রত্যেকের নয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সূত্র জানায়, জামায়াতের আমিরকে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জেএমবি নেতা সিদ্দিকুর রহমান বাংলাভাই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কেন বাংলাভাইকে মিডিয়ার সৃষ্টি বলে দাবি করেছিলেন। নিজামি বলেছেন, বাংলাভাই মিডিয়ার সৃষ্টি এ কথা তিনি বলেননি। জিজ্ঞাসাবাদকারীরা তাঁকে জামায়াতের মুখপাত্র হিসেবে প্রকাশিত দৈনিকের খবর দেখালে তিনি নীরব থাকেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেরার জবাবে জামায়াতের নেতারা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধ মামলায় সরকার কাদের জড়াতে পারে তার একটি তালিকা জামায়াত করেছিল। ওই তালিকা সম্পর্কে তাঁরা পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা দেন।

সূত্র জানায়, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে চট্টগ্রাম সার কারখানা থেকে এক হাজার ১৮২ টন রক সালফার ভুয়া ভাউচারে বেরিয়ে আসা প্রসঙ্গে নিজামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নিজামী ওই সময় শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। পুলিশের জেরার জবাবে নিজামী বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছিলেন, কিন্তু কোনো হদিস করতে পারেননি। অভিযোগ আছে, ওই সব রক সালফার জঙ্গিদের হাতে চলে যায়।

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন