নিজস্ব প্রতিবেদক
জঙ্গি সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হতে রিমান্ডে থাকা জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতাকে জেএমবির আমির মাওলানা সাইদুর রহমানের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। কদমতলী থানার একটি মামলায় আদালত সাইদুর রহমানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। গোয়েন্দা পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। দু-এক দিনের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে সাইদুর রহমানকে ঢাকার মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে এনে জামায়াত নেতাদের মুখোমুখি করা হবে।
এ ছাড়া আরেক নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল জিহাদ নেতা কারাবন্দি মুফতি হান্নানকে জামায়াত নেতাদের মুখোমুখি করা হতে পারে। তাকে রিমান্ডের আবেদন জানাবে পুলিশ। জামায়াত নেতাদের মুখোমুখি করা হবে রিমান্ডে থাকা হিযবুত তাহ্রীরের সিনিয়র উপদেষ্টা গোলাম মওলাকেও।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মামলায় গত ২৯ জুন জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাঁদের একাধিক মামলায় মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, রিমান্ডে থাকাকালে সাইদুর জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছিল, জামায়াত নেতারা গত মে মাসে রাজধানীতে গোপন বৈঠক করে। এ সময় জেএমবি, হিযবুত তাহ্রীর ও হুজির নেতারা উপস্থিত ছিল। ওই বৈঠকটির মূল লক্ষ্য ছিল জঙ্গিদের মাধ্যমে নাশকতা ঘটিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করা এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলা। বৈঠকের পর জামায়াতে ইসলামী জেএমবিকে মোটা অঙ্কের টাকাও দিয়েছিল নাশকতা ঘটাতে। কিন্তু গোয়েন্দারা আগাম তথ্য পাওয়ায় জামায়াতের ওই পরিকল্পনা সফল হয়নি। এসব বিষয়ে নিজামী ও মুজাহিদকে সাইদুর রহমানের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একই সঙ্গে জামায়াত ও জেএমবি করছেন_এমন ২৫ জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তারে খুব শিগগিরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাওয়া হবে। জেএমবির আমির সাইদুর গ্রেপ্তার পর রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে জামায়াতের জঙ্গি কানেকশনের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য দেন। এ ছাড়া সাইদুরের মোবাইল কললিস্টে জামায়াতের অনেক নেতার সঙ্গে তার যোগাযোগের বিষয়ে প্রমাণ পায় গোয়েন্দারা। যুদ্ধাপরাধীর বিচার ঠেকাতে জামায়াত নেতারা তার সহযোগিতা চেয়েছিল বলেও তথ্য দিয়েছিল সাইদুর। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে।
জামায়াত নেতাদের সঙ্গে পলাতক হুজি নেতা মাওলানা আবু বক্করের যোগাযোগের ব্যাপারে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন। জানা গেছে, হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ হওয়ার পরই তাদের সঙ্গে জামায়াতের তাদের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে।
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন