বিশেষ প্রতিনিধি | তারিখ: ২১-০৩-২০১০
মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর তুলনাকারীরা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন না। তাঁরা ধর্মের নামে মানুষকে ধোঁকা দেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে জামায়াত কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। এই বিচার-প্রক্রিয়াকে বাধাহীন করতে জামায়াতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিষিদ্ধ করতে হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন। জামায়াতের আমির নিজামীকে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে তুলনা করায় এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, জেএমবি ও বাংলা ভাইয়ের মতোই যুদ্ধাপরাধী নিজামী-মুজাহিদরা ফাঁসির দড়ি এড়াতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘জামায়াত মওদুদীবাদে বিশ্বাস করে। এর আগে বিএনপিও জেনারেল জিয়াউর রহমানকে নবীজির সঙ্গে তুলনা করেছে। এবার জামায়াতও নিজামীকে নবীজির সঙ্গে তুলনা করল।’
স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির বলেন, জামায়াতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিষিদ্ধ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, ‘মহাজোট সরকার জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ। আমরা এ বিচার করবই।’ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করবেন না। পরিণাম ভালো হবে না।’
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া বাধাহীন করতে জামায়াতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণের পক্ষে কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লক্ষ্যে আদালত ও তদন্তকারী সংস্থা গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত। কয়েক দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্টদের নাম ঘোষণা করা হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশ আরও বক্তৃতা করেন হাবিবুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ফয়েজউদ্দিন মিয়া, শেখ বজলুর রহমান, মুকুল চৌধুরী, আসলামুল হক আসলাম, শাহ আলম মুরাদ প্রমুখ। সমাবেশ শেষে প্রতিবাদ মিছিল ও নিজামী-মুজাহিদের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন