নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | তারিখ: ২১-০৩-২০১০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের নৃশংস হামলায় ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হোসেন খুন, পুলিশের ওপর হামলা ও সহিংস ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতের রাজশাহী মহানগর শাখার আমির আতাউর রহমান, সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ এবং শিবিরের হবিবুর রহমান হল শাখার সভাপতি রাইজুল ইসলামকে এবার মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, জামায়াত-শিবিরের এ তিন নেতাকে ঢাকায় টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বৃহস্পতিবার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাঁদের রাজশাহী মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। হাকিম জিয়াউর রহমান আজ রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাঁদের জেলহাজতে পাঠান।
পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকা নিয়ে যাওয়া এবং টিএফআই সেলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে যে সময় লাগবে, তার জন্য ন্যূনতম সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হতে পারে। এর মধ্যে রাজশাহীতে এক দিন সময় পেলে এখানে তাঁদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কারণ আতাউর রহমান গ্রেপ্তারের পর বলেছিলেন, তিনি ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার পরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তাঁর মুঠোফোনের কল তালিকা ধরে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, তিনি রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ১৫-১৬ বার কথা বলেছেন। সূত্র জানায়, কল তালিকা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জামায়াতের আমির অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিত্সা শেষে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। রিমান্ডে নেওয়ার পর আবুল কালাম আজাদও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
ঢাকায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি র্যাবের হাতে রাইজুল ইসলাম গ্রেপ্তার হওয়ার পরের দিন তিনি অকপটে জামায়াতের নেতাদের নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংস ঘটনা ও হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা স্বীকার করেছেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়। পরদিন তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রাজশাহী মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী কমিশনার তারিকুল ইসলাম বলেন, তাঁদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করার একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেটা টিএফআই সেলে করা হবে। সময় পেলে রাজশাহীতেও করা হবে।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন