নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১৫-০৩-২০১০
জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি রেজাউল করিম বলেছেন, শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হলে সংগঠনের এক লাখ সদস্যের জীবনের ওপর দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর শিবিরের এক লাখ কর্মী মারা গেলে আওয়ামী লীগের এক লাখ কর্মীকে জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
গতকাল রোববার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা শরিফুজ্জামান নোমানীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শিবিরের সভাপতি এই হুমকি দেন। সকালে বড় মগবাজারের আল-ফালাহ্ মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা হয়।
অবশ্য শিবির সভাপতির এই বক্তব্যের পর জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী শিবির সভাপতিকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিশোধ গ্রহণের পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন। আমরা সন্ত্রাসের বদলে সন্ত্রাসের দিকে পা বাড়াতে চাই না।’
নিজামী দাবি করেন, আবু বকরসহ কয়েকজনকে ছাত্রলীগ কর্মীরা হত্যা করেছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অথচ ফারুক হত্যাকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথ উন্মুক্ত রাখুন নইলে ফল কারও জন্য ভালো হবে না।’
শিবিরের সভাপতির এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জামায়াত-শিবিরের হত্যার রাজনীতির মুখোশ উন্মোচিত হলো। ...প্রকাশ্যে এক লাখ লোকের জীবন নেওয়ার হুমকি নিঃসন্দেহে গণহত্যার হুমকি। এমন ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনের উচিত ব্যবস্থা নেওয়া।
শরিয়া আইন চালুর দাবি: একই স্থানে বিকেলে ঢাকা মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতারা নারী নির্যাতন বন্ধে শরিয়া আইন চালুর দাবি করেন। তাঁরা দাবি করেন, কোরআনের আইন থেকে দূরে চলে যাওয়াতেই নারী নির্যাতনের পরিমাণ বাড়ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ দাবি করেন, বর্তমান সরকারের আমলে নারী নির্যাতন কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীরা এখন ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়।
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা বলেন, ইসলামি আইন বাস্তবায়ন ছাড়া ও নৈতিক চরিত্র গঠন ছাড়া নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, রাষ্ট্র থেকে কোরআনের আইন আলাদা করার কারণেই নারী নির্যাতন হচ্ছে। তিনি শরিয়া আইন চালুর দাবি জানান।
মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম, প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি তাসনীম আলম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য আবদুল হালিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন