বগুড়া অফিস
বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান জুয়েল গণপিটুনিতে মারা গেছে। পুলিশের ভাষ্যমতে, চাঁদাবাজি করতে গিয়ে একজনকে ছুরিকাঘাত করে জনতার হাতে ধরা পড়ে সে। যাকে ছুরিকাঘাত করেছিল, ইউসুফ হোসেন নামের (৫৫) সেই ব্যক্তিটিও মারা গেছেন। নন্দীগ্রাম উপজেলার ওমরপুর হাটে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
জুয়েল এক সময় ইসলামী ছাত্র শিবির করত বলে দাবি করেছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউনুস আলী। বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুর রহমান দুলুর দুটি মোবাইল ফোনই বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল বিকেলে জুয়েল তার দুই সহযোগীকে নিয়ে ওমরপুর হাটে চাঁদা চাইতে যায়। এ সময় হাটের ইজারাদার শেরপুরের শফিকুল ইসলাম শিরু হাটে ছিলেন না। তাঁর কর্মচারী আনোয়ার হোসেন তাদের তিন শ টাকা দিয়ে বিদায় করতে গেলে জুয়েল ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাটের 'তোলা' আদায়ের রসিদ বই ছিনিয়ে নেয়। এ সময় অন্য কর্মচারীরা বাধা দিতে গেলে জুয়েল ও তার দুই সহযোগী হাট কর্মচারী ইউসুফ হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে। তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে সামছুল হক (৩৫) ও পার্শ্ববর্তী কদমা গ্রামের মাহফুজার রহমান মাফু (৩৭) ছুরিকাহত হন।
চাঁদাবাজরা পালানোর সময় জনতা জুয়েলকে ধরে ব্যাপক মারধর করে। পুলিশ গিয়ে জুয়েলকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইউসুফ ও জুয়েলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তারা মারা যায়।
ইউসুফ ওমরপুর গ্রামের কদু মিয়ার ছেলে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউনুস আলী চাঁদাবাজির ঘটনা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'জুয়েল একসময় ছাত্রশিবির করত। তার বাবাও ছিল চিহ্নিত রাজাকার। সেই জুয়েল কী করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হয়ে গেল তা এখন খুঁজে দেখতে হবে।'
গতকাল রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের মধ্যে ছাত্রশিবির ঢুকে পড়েছে_৯ ফেব্রুয়ারি বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন