রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | তারিখ: ১৩-০২-২০১০
পুলিশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক হল থেকে আজ শনিবার দুপুর ১২টায় দুটি চাপাতি ও অবিস্ফোরিত দুটি ককটেল উদ্ধার করেছে। একই সময় শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে থেকে পুলিশ দুজন সন্দেহভাজন ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মীকে আটক করে। তাঁরা হচ্ছেন ইংরেজি বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ফয়সাল ও শাকিল।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত নয়জন ছাত্রলীগ কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আওয়াল কবির ওরফে জয় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দল থেকে জুয়েল, রকি, রনি, মিন্নাত, দেলোয়ার হোসেন, বিল, মাসুদ, নয়ন ও মনির নামের নয়জন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য আবদুস সোবহান ৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিংস ঘটনার জন্য দায়িত্ব পালনে পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন। ছাত্রদের রক্ষা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট আন্তরিক ছিল বলে তিনি দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন শান্ত। আজ থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, অধিকাংশ বিভাগেই আজ ক্লাস হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলো ফাঁকা ছিল। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই বাড়ি চলে গেছে। ক্যাম্পাসে এখনো পুলিশ মোতায়েন আছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের হামলায় নিহত এক ছাত্রলীগ কর্মীর লাশ ৯ ফেব্রুয়ারি ভোরে উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম ফারুক হোসেন। ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে আহত হয় পুলিশসহ ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মী। হামলার সময় শিবির ক্যাডাররা ছাত্রলীগ কর্মী বাদশা, রুহুল আমিন ও ফিরোজের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন