নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | তারিখ: ১২-০২-২০১০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্র মহিউদ্দিনের লাশ নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে নগরের জামালখানে পুলিশের সঙ্গে শিবির কর্মীদের সংঘর্ষ চলছে। এ সময় পুলিশ ৭০ জন শিবির কর্মীকে আটক করে। সংঘর্ষে পুলিশসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা ৭০ জন শিবির কর্মীকে আটক করেছি। তারা গলি, উপগলি থেকে পুলিশের ওপর চোরাগুপ্তা হামলা চালাচ্ছে।’ এর আগে নগরের প্রবর্তক মোড়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিপুলসংখ্যক জামায়াত-শিবির কর্মী জড়ো হন। এ সময় তারা পুলিশের কাছে লাশ দাবি করে। কিন্তু পুলিশ লাশ না দেওয়ায় তারা সেখানেই গায়েবানা জানাজা আদায় করে। এরপর সেখান থেকে শিবির কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জামালখানের দিকে যায়।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ষোলশহর রেলস্টেশনে এ এ এম মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই সময় তিনি স্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র। তাঁর বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ায়। তিনি আলাওল হলের আবাসিক ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চার-পাঁচজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পাথর দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেঁতলে তাঁকে খুন করে। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন