26 February 2010

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ঃ এক হল থেকে ককটেল তৈরির সরঞ্জাম ও জিহাদি বই উদ্ধার




রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | তারিখ: ২৬-০২-২০১০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল থেকে ককটেল তৈরির সরঞ্জামসহ দুই শতাধিক জিহাদি ও ইসলামি বই, বিপুলসংখ্যক রড, লাঠিসোঁটা ও পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই হলে ইসলামী ছাত্রশিবির-নিয়ন্ত্রিত সাতটি কক্ষ থেকে এসব উদ্ধার করে মতিহার থানার পুলিশ। পরে ওই সাতটি কক্ষ সিলগালা করে দেয় হল প্রশাসন।

এর আগে বুধবার পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলে ছাত্রশিবির-নিয়ন্ত্রিত ১৪টি কক্ষ থেকে ককটেলসহ বিপুলসংখ্যক জিহাদি ও ইসলামি বই, রড, মুঠোফোন, লাঠিসোঁটাসহ ওই হলে অবস্থানরত ছাত্রলীগের ১৫ কর্মীর নামের তালিকা উদ্ধার করে।

সোহরাওয়ার্দী হল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পুলিশ গতকাল সকাল ১০টা থেকে সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রশিবির-নিয়ন্ত্রিত ১১৪, ২৬১, ২৬৬, ২৬৭, ২৬৮ ও ২৭৪ নম্বর কক্ষে তল্লাশি চালায়। দুপুর একটা পর্যন্ত চলা অভিযানে ককটেল তৈরির সরঞ্জাম, দুই শতাধিক জিহাদি ও ইসলামি বই, বিপুলসংখ্যক লোহার রড, লাঠিসোঁটা ও পাথর উদ্ধার করা হয়। ৩৭৪ নম্বর কক্ষ থেকে পাওয়া যায় ওই হলে অবস্থান করা ছাত্রলীগের ১৩ কর্মীর নামের তালিকা। তল্লাশির সময় ছাত্রশিবিরের কোনো নেতা-কর্মী কক্ষে ছিলেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মুসতাক আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পাসসহ আবাসিক হলগুলোতে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন জানান, বুধবার মাদার বখ্শ হল থেকে ককটেল, জিহাদি বই ও লাঠিসোঁটা উদ্ধারের ঘটনায় ওই হলের তত্ত্বাবধায়ক শরিফুল ইসলাম থানায় মামলা করেছেন। তবে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে ককটেল তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।


খবরের লিংক

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন