নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | তারিখ: ১৯-০২-২০১০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের হামলায় ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হোসেনের নৃশংস হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগর সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদকে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহীর অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ওই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ব্যাপারে মহানগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আবুল কালাম আজাদকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই আদালতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখার সাবেক সভাপতি তারেক সাইফুল্লাহকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। আদালত তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বুধবার বিকেলে আবুল কালাম আজাদকে মহানগরের ছোট বনগ্রাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন তারেক সাইফুল্লাহকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগের দিন মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি সিদ্দিক হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর মতিহার থানার পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের সভাপতি হাসমত আলীর দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড চলছে।
আরও পাঁচজন গ্রেপ্তার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, একই ঘটনায় গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হল থেকে পুলিশ শিবিরের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। সকাল ১০টার দিকে মাদার বখ্শ হলের ২০৬ নম্বর কক্ষ থেকে শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী সিদ্দিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পরে একই হলের ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে সংগঠনটির আরেক কর্মী আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে রাজশাহী মহানগরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের মোট ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি জানান, পাবনার চাটমোহর উপজেলা থেকে গত বুধবার শিবিরের কর্মী সন্দেহে শাহীন মাহমুদ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও দলের নিমাইচড়া ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহীদ আলম জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিমাইচড়া ইউনিয়নের মাঝগ্রামের বাড়ি থেকে শাহীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। শাহীনের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘শাহীন শিবির করে না। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার সময় সে বাড়িতেই ছিল।’
খবরের লিংক
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন