10 January 2009

রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়: শিবির-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে ২০ জন আহত, সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) গত বুধবার রাতে ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আবাসিক হল খোলা থাকলেও পরীক্ষা স্থগিত করায় অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্যাম্পাস সুত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্র্মীরা নতুন মহাজোট সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে জিয়াউর রহমান হল থেকে মিছিল বের করে। এ সময় হলের শিবির ক্যাডাররা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে কটুক্তি করে। এ নিয়ে উভয় সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রথমে বাগ্বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মুহুর্তে সংঘর্ষ জিয়াউর রহমান হল থেকে শহীদ শহীদুল ইসলাম ও লে. সেলিম হলে ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে শিবিরের রুয়েট শাখার সভাপতি তবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান, রবিউল ইসলাম, রুমেল, রব্বানী, নোবেল, মাসুদ, জুলিয়ান, রাকিব, রুহুল আমীন এবং ছাত্রলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান সেতু ও হাফিজ আল আসাদসহ উভয় সংগঠনের ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে সাতজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য রশিদুল ইসলাম রাশিদ ও রুয়েট শাখা ছাত্রলীগ নেতা আল আমীন বলেন, শিবির ক্যাম্পাসে কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাস, দখলদারি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, শিবির ক্যাডাররা তাদের মিছিলে বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়।

রুয়েট শাখা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আরিফ দাবি করেন, ‘ছাত্রলীগ কর্মীরা সেলিম হলের শিবিরকর্মীদের কয়েকটি কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। তারা আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে।’

রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফজলুল বারী জানান, বৃহস্পতিবার তাঁর সভাপতিত্বে জরুরি সিন্ডিকেট সভা হয়। এতে সার্বিক পরিস্িথতি পর্যালোচনা করে পূর্বনির্ধারিত ১২ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় রুয়েটের সব বিভাগের পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে প্রথম বর্ষের ভর্তি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনাসহ আবাসিক হল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম খান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এখন পরিস্িথতি শান্ত আছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বিকেল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন